শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১টায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ।

ফলাফল ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি ভবন-ই এর সামনে ফলাফল টানিয়ে দেয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানতে যেকোনো মোবাইল থেকে SUST RESULT Admission Roll No লিখে ১৬২৪২ এ এসএমএস করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.sust.edu ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

গত ১৩ অক্টোবর এ ও বি ইউনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারে ২৮টি বিভাগে মোট ১৭০৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৭৬১৮০ জন শিক্ষার্থী।

   

রাবিতে শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দিলো ছাত্রলীগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফের আবাসিক হল থেকে এক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৮ মে) দিনগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রোববার (১৯ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে ফেসবুকের একটি গ্রুপে ঘটনাটি বিবরণ জানিয়ে পোস্ট করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. কুদ্দুস আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, অভিযুক্তরা হলেন- বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. ফজলে রাব্বি ও তার অন্তত ৮/১০ জন অনুসারী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী।

ফেসবুক পোস্টে ভুক্তভোগী কুদ্দুস আলী উল্লেখ করেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একজন অনাবাসিক ছাত্র। বিভাগের বড় ভাইয়ের নামে বরাদ্দ করা ৪০২ নম্বর কক্ষে তিনি অবস্থান করছিলেন।

তিনি আবাসিক হওয়ার জন্য হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেন। প্রাধ্যক্ষ আবেদন গ্রহণ করে তাকে ওই সিটে থাকতে বলেন। আগামী মাসে বিভাগের ওই বড় ভাই ক্যাম্পাসে এলে তার সিট বাতিল করলে তিনি ওই সিটে স্থলাভিষিক্ত হবেন।

এরই মধ্যে শনিবার দিনগত রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী এসে তাকে জোর করে সিট থেকে নামিয়ে দিয়ে অন্য একজনকে উঠিয়ে দেন।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী কুদ্দুস আলী বলেন, আমি ফেসবুক পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি। বিভাগের শিক্ষকেরা এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, এই ব্যাপারে দ্রুতই সমাধান করা হবে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বি বলেন, কুদ্দুস আলী যে সিটে উঠতে চেয়েছিল, সেই সিটে সে-সহ আরো একজন থাকতো। তারা আমার কাছে সমাধান চাইতে এলে আমি তাদের বলি, এ ব্যাপারে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের এই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। এরপর তারা দুইজনই চলে যায়।

বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে রাব্বি বলেন, এর সঙ্গে ছাত্রলীগ বা আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে এ বিষয়ে কিছু বলবেন না জানিয়ে বলেন, আমি এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তারপর কথা বলবো। আর ফোনে আমি কোনো কথা বলবো না। দেখা করার জন্য সময় চাইলে তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত নই। দ্রুত এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা হবে।

;

‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন' পাচ্ছেন জাবির ২ অধ্যাপক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন' -এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ ও অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান৷

গত ১৩ মে (সোমবার) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন থেকে জাবির দুই অধ্যাপকের মনোনয়ন প্রাপ্তির তথ্য জানা যায়৷ এর মধ্যে বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২৩’ এর জন্য প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজকে এবং 'বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২৪’ এর জন্য একই ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়৷

রোববার (১৯ মে) এক অভিনন্দন বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২৩’ এর জন্য ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ ও ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২৪’ এর জন্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মনোনীত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। এ পদক পরিবেশ বিষয়ে তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম ও গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপাচার্য তার অভিনন্দন বার্তায় ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ ও অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসানের অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন৷

উল্লেখ্য, সুন্দরবনের বাঘ ও প্রাণ প্রকৃতি গবেষণার মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালে ড. মোহাম্মদ আবদুল আজিজের গবেষণার সূত্রপাত। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নির্ণয়সহ বাঘের জিনভিত্তিক নানা রহস্য উন্মোচন ছিল তার গবেষণার বিষয়। গবেষণার জন্য ২০১৮ সালে ডারেল ট্রাস্ট ফর কনজারভেশন বায়োলজি পুরস্কার পান। সুন্দরবনের বাঘের ওপর তার প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৯ সালে জাতীয় বাঘ শুমারির তথ্য বিশ্লেষণে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

ড. কামরুল হাসান একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্যপ্রাণী গবেষক ও শিক্ষক। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত তার শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে (Journal) প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বন ও বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত ৭টি বইয়ের লেখক/ সহলেখক৷ বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী তালিকায় ১৪টি প্রজাতি নতুন (New record) হিসেবে যোগ করেছেন৷

প্রসঙ্গত, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ এর প্রতিটি শ্রেণিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও ৫০ হাজার টাকার অ্যাকাউন্ট পে-ই চেক এবং সনদপত্র বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুনে অনুষ্ঠাতব্য বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে।

;

জাবিতে চারুকলা ভবন নির্মাণে শিক্ষার্থীদের বাধা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের আগেই চারুকলা ভবন নির্মাণে ফের বাধা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গাছ কেটে ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষ্যে নির্ধারিত জায়গার চারপাশে টিন দিয়ে বেষ্টনী দেয় চারুকলা বিভাগ। এর কিছুক্ষণ পর প্রতিবাদ জানিয়ে বেষ্টনীর টিন খুলে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরের দিকে ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে বেষ্টনী দেওয়ার জন্য লাগানো টিনগুলো খুলে ফেলে কাজ বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা অভিযোগ করেন, অনেকদিন ধরেই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ যখন উদ্যোগ নিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলে তা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

কতটুকু জায়গা জুড়ে ভবন নির্মাণ করা হবে, তার কোনো হিসাব দিতে পারেননি প্রকল্প পরিচালক। প্রথমদিকে বাস্কেটবল কোর্টের একটু অংশ ভবনের মধ্যে পড়বে বললেও লেকের ধার পর্যন্ত ভবন নির্মাণের জন্য ঘিরে ফেলা হচ্ছে। ফলে, নির্ধারিত জায়গার বাইরে থাকা ঘন জঙ্গল ও গাছপালাগুলো কাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্ব পাশের টিন ও খুঁটি স্থাপনের জন্য যে স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, তা একেবারেই লেক ঘেঁষে, ছবি- বার্তা২৪.কম

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, এছাড়া নির্ধারিত স্থানের পাশেই রয়েছে, একটি লেক। প্রতিবছর শীতের সময়ে দেশ-বিদেশ থেকে অন্যান্য লেকের মতো এখানেও পরিযায়ী পাখিরা আসে। ওইস্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আবাসস্থল।

সরেজমিন দেখা যায়, ভবন নির্মাণ কাজের বেষ্টনী দেওয়ার জন্য বাস্কেটবল গ্রাউন্ডসংলগ্ন স্থানের উত্তর পাশের পুরো খালি জায়গাটিতে লোহার খুঁটি স্থাপন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পূর্ব পাশ থেকে একটি অংশে টিন দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর নাগাদ শিক্ষার্থীরা টিনের বেষ্টনীগুলো খুলে ফেলেন আর খুলে ফেলা টিনগুলো খুঁটির পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আরো দেখা যায়, পূর্ব পাশের টিন ও খুঁটি স্থাপনের জন্য যে স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, তা একেবারেই লেক ঘেঁষে। এছাড়া এই স্থানটির ভেতরে ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ একটি জঙ্গলও রয়েছে।

কাজে বাধা দেওয়ার সময় উপস্থিত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। প্রকল্পের পরিচালককে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু তিনি তা করেননি। তাই, আমরাও কাজে বাধা দিয়েছি। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না।’

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘আল বেরুনী এক্সটেনশনে এর আগেও প্রশাসন হল করার পাঁয়তারা করেছিল। আমরা তা রুখে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিত ভবন নির্মিত হওয়ায় গত তিন দশকে ২৮ শতাংশ জলাশয় এবং স্থলভূমি নাই হয়ে গেছে। এই জায়গাটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ আছে। পাশের যে লেক আছে, বড় ভবন নির্মাণ করা হলে তা পরিযায়ী পাখির জন্য অনিরাপদ হবে। নতুন কলার এক্সটেনশন হলে এবং লেকচার থিয়েটার হলের কাজ শেষ হলে শ্রেণিকক্ষ সংকটের সুযোগ নেই। তাই, মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া আমরা ভবন হতে দেবো না’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ময়েজউদ্দীন বলেন, আমি শুনেছি, শিক্ষার্থীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। সেখানে যাচ্ছি। আমাদের কাজ চলমান থাকবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখি।

;

শেকৃবি'তে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের বিভিন্ন পদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হলেও অফিস সহায়ক পদে (২০তম গ্রেড) লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সনাক্তকরণের জন্য প্রার্থীর কোনো ছবি ছিল না। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার হলে প্রার্থীদের উপস্থিতির স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়াও লিখিত পরীক্ষার খাতায় (মূল্যায়নপত্র) হল পরিদর্শকের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি পরীক্ষার খাতায় কোনো ধরনের কোডিং বা ডিকোডিং ছিল না।

লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, পরীক্ষার প্রবেশপত্রে প্রার্থীদের কোনো ছবি ছিল না। হলে অনেকে প্রক্সি দিতে এসেছিল। উত্তরপত্রে কোনো পরিদর্শক স্বাক্ষর করেননি। এছাড়া আমাদের কাছ থেকেও স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।

লিখিত পরীক্ষায় হল পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষক জানান, লিখিত পরীক্ষার উত্তর মূল্যয়নপত্রে কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। খাতায় প্রার্থী উপস্থিত আছে কিনা নিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রেশন নম্বর সম্বলিত পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল। পরবর্তীতে উপাচার্য পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে তাকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ১৩শ শিক্ষার্থী আবেদন করায় আমরা লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করি। এক্ষেত্রে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করার তথ্য পায়নি। তবে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলেও ভাইভা বোর্ডে সে উত্তীর্ণ হতে পারবে না।

অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা স্বচ্ছতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, স্বচ্ছতা তো পরের বিষয় উপাচার্য এককভাবে প্রশ্ন প্রণয়ন করতে পারেন যদি নিয়োগ বোর্ডের সবাই মিলে উনাকে দায়িত্ব দেয়। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া উনি এটা করতে পারেন না।

রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অফিস সহায়ক মোট পদপ্রার্থী ছিল ১ হাজার ২৮৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪৯৪ জন এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫০ জন। গত ২ মে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষা জন্য ১৫০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

;