চরম দুর্দশা বিরাজমান শেকৃবি মেডিকেল সেন্টারে
করোনাকালীন দীর্ঘ বিরতির পরে অক্টোবরের শুরুতেই খুলতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সকল বিষয় পযর্বেক্ষন ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে মেডিকেল সেন্টারের উপর। কিন্তু শেকৃবি মেডিকেল সেন্টারের অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্থ। পদের বিপরীতে নেই যথেষ্ট মেডিকেল অফিসার। নেই কোনো আইসোলেশনের ব্যাবস্থা।
মেডিকেল সেন্টারের দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা নিয়ে প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বার্তা২৪ কে বলেন, ‘শেকৃবি ক্যাম্পাসে অনেক বড় বড় কাজ হলেও কারো মেডিকেল সেন্টার এর উন্নতি নিয়ে নেই কোনো চিন্তা। একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ মেডিকেল সেন্টার বলতে যা বোঝানো হয় তার কিছুই নেই এই মেডিকেল সেন্টারে। শুধুমাত্র কিছু ঔষুধপত্র ও দুইজন ডাক্তার দিয়ে কোনো ভাবে চলছে এই মেডিকেল সেন্টার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে দেখতে পাচ্ছি টিএসসি সহ অনেক বড় বড় হল হচ্ছে। এছাড়াও অনেক কাজ হচ্ছে। কিন্তু কেউ মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে কথা বলছে না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো নিয়ে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান করেন তিনি।’
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কেন কোনো আইসোলেশন সেন্টার নেই এমন প্রশ্নে প্রধান মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টার করা হলে এর পরিচালনা করার জন্য নেই যথেষ্ট লোকবল।’
খোজ নিয়ে জানা যায় ৬ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে কর্মরত আছে আছেন দুইজন মেডিকেল অফিসার এবং মোট ১৭ টি পদের বিপরীতে ৪-৫ টি পদে লোকবল নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছে। বাকি পদগুলো ফাঁকাই রয়েছে। তাছাড়া মেডিকেল সেন্টারের রুম গুলোর অবস্থাও নাজুক। বৃষ্টির সময় পানি আসে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনের লোকদের সাথে কথা বললে তারা উল্লেখ করেন, ‘সমস্যা রয়েছে। তবে সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ করা হবে। মেডিকেল সেন্টারের বাজেট বাড়ানোর জন্য ইউজিসি বরাবর চিঠি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টার থেকে বাজেট বাড়ানোর জন্য কোনো সুপারিশ না আসা নিয়েও অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন। তাছাড়া আইসোলেশন সেন্টারের জন্য মেডিকেল অফিসারদের থেকে কোনো সুপারিশ আসে নি বলে জানা যায়। তাদের কাজের গাফলতি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।’
মেডিকেল সেন্টারের এমন দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন শেকৃবির শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে শেকৃবির কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকেই পরামর্শ নেয়। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সামনের দিনগুলোতে মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা অনেক। এক্ষেত্রে আমাদের মেডিকেল সেন্টার পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কতটুকু প্রস্তুত তা আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে অজানা।পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া প্রয়োজন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসোলেশন সেন্টারের প্রসঙ্গে ভিসি শহিদুর রশিদ ভুঁইয়া বার্তা২৪ কে বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে হলগুলোতে বেসিন সহ বিভিন্ন ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা ব্যক্ত করেন।’