বিলম্বে হল খোলার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জাবি শিক্ষার্থীদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হল আগামী ২১ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

হল খোলার এ সিদ্ধান্ত আগামী ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বলেছে, ২১ অক্টোবর হল খোলার সিদ্ধান্ত ছাত্র স্বার্থবিরোধী। গড়িমসি না করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই হল খুলে দিতে হবে।

৩০ সেপ্টেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যখন হল খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার পথে আছে, তখন ২১ অক্টোবর হল খোলার সুপারিশ দূরভিসন্ধিমূলক।

বিজ্ঞাপন

ইতিপূর্বে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ অক্টোবরের মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সভায় শিক্ষকেরা পূজার ছুটি শেষে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। সে কারণে ২১ অক্টোবর হল খুলে দেওয়া হবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের টিকার একটি ডোজের সনদ দেখিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। হল খোলার পর ১৪ দিন হলে থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে ১৮ মাস বন্ধ থাকা হলের ফি এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী পরিশোধ করায় আগামী ১৮ মাসের হল ফি মওকুফ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতে গণরুমে থাকতে না হয় সেজন্য ৪৯ ব্যাচের (প্রথম বর্ষ) শিক্ষার্থীদের হলে উঠার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে, ছাত্রত্ব নেই এমন কাউকে হলে থাকতে দেওয়া হবে না বলেও জানান অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিল সভা ও ২ অক্টোবর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।