শেকৃবির দুই অনুষদে নিয়োগ পেলো নতুন ডিন
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অনুষদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন ডিন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।কৃষি অনুষদের ১৩তম ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস এবং ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ৩য় ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন।
০৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ডিনবৃন্দ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস ১৯৫৮ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে কৃষিতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ২০০১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি শেকৃবি'র পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আমিষ সমৃদ্ধ সুপারফুড কিনোয়ার একটি জাত আবিষ্কার করেন যা 'এসএইউ কিনোয়া-১' নামে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ড কতৃক অনুমোদিত হয়েছে। পেরিলা গবেষণায় ১জন পিএইচডি ছাত্রের সুপারভাইজার কমিটিতে যুক্ত আছেন। তার ৪টি বই ও ১০০টির অধিক প্রকাশনা রয়েছে। তিনি ১০০ জনের অধিক এমএস এবং ২০ জনের অধিক পিএইচডি ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণার সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন ১৯৭৮ সালে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেলিয়াই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে ফিশারিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ২০০৬ সালে একোয়াকালচার টেকনোলজিতে গোল্ডমেডেল সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের মিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে গবেষণায় অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। তিনি বাংলাদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের বায়োফ্লক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে যথেষ্ট কৃতিত্ব ও প্রশংসা অর্জন করেছেন।