দেশের মাটিতে মিষ্টি আলুর নতুন জাত ‘অরেঞ্জ স্টার’
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল যুক্ত ‘পার্পল স্টার’ এর পর আবারো অধিক ফলনশীল মিষ্টি আলুর নতুন জাত ‘অরেঞ্জ স্টার’ এর সাথে পরিচিত হলো বাংলার কৃষি। সাধারণত বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো হওয়া এই মিষ্টি আলু চাষে বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না বলে সহজেই এটি চাষ করা যায়। এই ফসলের পুষ্টিমানও অনেক বেশি।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিষ্টি আলুর জাত কমলাসুন্দরীর চেয়ে গঠনগত ও উৎপাদনশীলতায় ভিন্ন এই জাতটি ‘পজিটিভ সিলেকশন’ এর মাধম্যে দীর্ঘ সময় গবেষণার পরে দেশের মাটিতে অভিযোজন করাতে সক্ষম হয়েছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল ফয়েজ মো. জামাল উদ্দীন।
অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন জানান, ‘অরেঞ্জ স্টার একটি উচ্চফলনশীল মিষ্টি আলুর জাত। এর বাইরের ও ভেতরের রঙ কমলা (অরেঞ্জ) থেকেই এমন নামকরণ। অরেঞ্জ স্টারের হেক্টর প্রতি ফলন ৫০-৫২ টন যা দেশীয় উচ্চফলনশীল জাতগুলোর চেয়েও ৮-১০ টন বেশি। এ ছাড়া সাধারণ সাদা আলুর চেয়ে এর মিষ্টতাও অনেক বেশি।’
গত ৯ আগস্ট জাতীয় বীজ বোর্ড জাতটিকে নিবন্ধভুক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামানুসারে জাতটির নাম দেয়া হছে SAU SWEET POTATO 2 বা ‘অরেঞ্জ স্টার’।
জাতটির উৎস দেশ হলো জাপান। জাপান থেকে জারমোপ্লাজম সংগ্রহ করে পজেটিভ সিলেকশান এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এর বাণিজ্যিক চাষের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। গবেষনায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম জামাল উদ্দিন কে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর এর কয়েকজন শিক্ষার্থী।
অধ্যাপক মো. জামাল আরও বলেন, বিশেষত জাপানে মিষ্টি আলুর বেশ চাহিদা রয়েছে কিন্তু চাষ উপযোগী জমি কম। তাই আমরা এটি দেশের প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি রপ্তানী করতে পারব। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দশ হাজার চারা দিয়েছি। ইতোমধ্যে তাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘অরেঞ্জ স্টার’ এর চাষ শুরু হয়েছে।