দুর্নীতির কবল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষার দাবি

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন

দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. সুফী সাগর সামস।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর জীবন। এত বেশি অনিয়মের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মানও ক্রমেই নিম্নমুখী।

নর্থ সাউথ এখনও জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে দাবি করে ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাফিস ইমতিয়াজকে ১০ বছর পর পুনরায় ভর্তি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি কার্যত জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করছে বলে মনে করে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের কম দামের জমি বেশি দামে ক্রয়, ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির বিনিময়ে কমিশন, ছাত্রদের টিউশন ফি থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ সদস্যের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়, এক লাখ টাকা করে সিটিং এলাউন্স, অনলাইনে মিটিং করেও সমপরিমাণ এলাউন্স গ্রহণ, নিয়ম ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এফডিআর, মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকগুণ শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নানা অনিয়ম ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগের পাহাড় জমেছে।

‘বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং এমএ কাসেম সিন্ডিকেটের হাতে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই জিম্মি হয়ে আছে।’

এ দুজন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বেনজির আহমেদ, রেহেনা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আজিজ আল কায়সার টিটো এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন সুফী সাগর সামস।

তার দাবি, আজিম-কাশেম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অমান্য করে আটটি কমিটির বিপরীতে ২৫টি কমিটি গঠন করে অতিরিক্ত সিটিং এলাউন্স আদায় করেন। এ সব কমিটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছেন তারা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ-অবৈধ সব কমিটিতেই আজিম বা কাশেম নিয়ম বহির্ভুতভাবে সদস্য হন।

সংবাদ সম্মেলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আজিম-কাসেম সিন্ডিকেটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এই মানবাধিকারকর্মী।