নানা আয়োজনে বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) জামালপুর জেলার মেলান্দহে অবস্থিত বশেফমুবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থাপিত মঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও বশেফমুবিপ্রবি পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানোর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি ও জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আলহাজ্ব মির্জা আজম এবং মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় বশেফমুবিপ্রবি ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ আবদুল মাননান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালেহ শফি গেন্দা, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহ প্রমুখ।
এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লিংক রোড প্রদক্ষিণ করে ফের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সকাল ১১টায় শুরু হয় আলোচনা সভা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মির্জা আজম, এমপি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমার অন্যতম স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকেরা ভবিষ্যতে দেশে-বিদেশে তাদের গবেষণা কর্ম দিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
‘আমরা বিশ্বাস করি এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় নয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে,’ যোগ করেন তিনি।
সভাপতিত্ব বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় যাতে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে- সেজন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এখান থেকেই সৃষ্টি হবে অনেক স্বনামধন্য গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও মনীষীর।
শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করি।
এদিকে দিবসটি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আলপনায় সেজেছে বশেফমুবিপ্রবি চত্বর। অনুষ্ঠানমালার শেষটায় ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান।