মৎস অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধির সংশোধন চান শিক্ষার্থীরা

  • শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ধীন মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার নিয়োগে চলমান বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৎস স্নাতকধারী শিক্ষার্থীরা। তারা নিয়োগের পদ্ধতির সংশোধন ও সুষ্ঠ নিয়োগ পদ্ধতির দাবি করেন।

রবিবার মৎস্যবিজ্ঞান সম্পর্কিত দেশের সতেরটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উক্ত দাবির প্রেক্ষিতে মানববন্ধন করেছেন। এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সাইন্স অনুষদের শিক্ষার্থী নাইমুল হাসান সাকিল বলেন, ‘ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের দক্ষতার কারণেই বাংলাদেশ আজ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম, বদ্ধ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ। বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশেন ৮৬ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। দেশের জিডিপিতে মৎস্য সম্পদের অবদানের হার ৩.৫৭ শতাংশ। তাই কর্মক্ষেত্রে যদি ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের বঞ্চিত করা হয় তা হবে দেশের অর্থনীতির উপর আঘাত। আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি যেন চলমান নিয়োগ কার্যক্রমে টেকনিক্যাল পদসমূহে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের সুযোগ প্রদান করা হয় এবং নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সংশোধন করা হয়।’

মূলত, গত ২৩ ডিসেম্বর মৎস্য অধিদপ্তরের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা- ২০২০ অনুযায়ী বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত দশম গ্রেডের মৎস্যবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সেখানে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। সম্প্রতি বিজ্ঞাপিত নিয়োগে এ নিয়োগবিধি অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারি হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা পদের বিপরীতে মোট ২০১ টি শূন্য পদে এ বৈষম্য করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ি দশম গ্রেডভুক্ত এমন ১১ টি পদে এমন অসামঞ্জস্য নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ’

এদিকে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী নবম গ্রেডের ২৫ টি পদে মৎস্য স্নাতকদের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকদেরও আবেদনের যোগ্যতা দেয়া হয়েছে।

নিয়োগবিধি পরিবর্তন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে এ সম্পর্কে মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো.আতিয়ার রহমান বলেন, ‘একটা নিয়োগবিধি সংশোধন বেশ সময়সাপেক্ষ ও জটিল প্রক্রিয়া। তাছাড়া তাদের চাওয়ামতো সংশোধন করা হলে তারাই প্রশ্ন তুলতে পারে আমাদের অপমান করা হয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনায় আপাতত অনুমোদিত নিয়োগবিধির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’