শাবিপ্রবি আন্দোলনকারীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারীদের আর্থিক সহায়তা আসা ৬টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে সবগুলো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ব্যাংক, বিকাশ, নগদ ও রকেটের মোট ৬টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহায়তার অর্থ পাঠান। এসব অর্থ দিয়ে প্রায় ৩ হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর খাবার ও আনুসাঙ্গিক খরচ চলে।
আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পেজ থেকেও এমন তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়- সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আন্দোলনকারীদের খাবার ও চিকিৎসার জন্য যেসব ভাই-আপুরা অর্থ সহায়তা পাঠাচ্ছিলেন সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এসব অ্যাকাউন্টে কেউ টাকা পাঠাবেন না।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের খাবার-দাবারসহ কিছু আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহযোগিতা করেন। ইস্টার্ন ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট, তিনটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট, একটি রকেট ও একটি নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ অর্থ সহায়তা আসতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু'জন শিক্ষার্থী জানান, প্রতিদিন অ্যাকাউন্টগুলোতে লাখ দুয়েক টাকার মতো আসতো। তবে আজ থেকে এ অ্যাকাউন্টগুলোতে আমরা কোনো লেনদেন করতে পারছি না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সবগুলো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আমার স্থানীয়ভাবে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর পাইনি।
এ ব্যাপারে বিকাশের সিলেটের ডিস্ট্রিবিউটর নাসিম হোসাইন বলেন, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিকাশে লেনদেনের কিছু নিয়ম আছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ও ব্যাবসয়িক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়। এর বেশি হলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের। অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যার দিকে হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রোববার ছাত্রীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে ভিসিকে মুক্ত করে। এতে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।