আন্দোলনে টাকা দেওয়ায় শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ‘টাকা দেওয়ায়’ বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ জানান, পাঁচ শিক্ষার্থীকে সিলেটের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন এবং স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ এবং এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।

কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, এদেরকে শাবিপ্রবি উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অর্থ যোগান দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব অর্থ যোগান তারা কিসের ভিত্তিতে দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে, আটকের বিষয়ে রেজা নূর মুঈনের স্ত্রী জাকোয়ান সালওয়া তাকরিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রেজা সন্ধ্যায় উত্তরা অ্যাগোরার কাছে কেনাকাটার জন্য গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তুলে নেয়। পরে তারা রেজার গাড়ি ফেরত দিতে বাসায় আসে এবং জানায় যে রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা বাসায় এসেছিল তাদের গাড়িতে সিআইডির স্টিকার লাগানো ছিল বলে জানান রেজার স্ত্রী। তিনি নিজেও শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং কিছু অর্থ সহযোগিতা করেছি।

তবে, এবিষয়ে সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, কাউকে গ্রেফতার কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসার বিষয়ে তথ্য তাদের জানা নেই।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের। অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যার দিকে হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রোববার ছাত্রীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে ভিসিকে মুক্ত করে। এতে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠে।