জবি ছাত্র রাব্বি হত্যা: পিবিআই-সিআইডিকে তদন্তে চান বোন-সহপাঠীরা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রাব্বির বোন ও সহপাঠীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে নিহত রাব্বির বোন ও সহপাঠীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ১২তম ব্যাচের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন খান রাব্বি হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ পাঁচমাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি কোনো সুরাহা। বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রামের খুলশী থানায় প্রক্রিয়াধীন।

তবে দীর্ঘদিন পরেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি না পেয়ে আকবরের পরিবার চায় মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা পুলিশের অপরাধ দমন ইউনিটের (সিআইডি) অধীনে দেয়া হোক। এজন্য তাদের পরিবার থেকে একটি লিখিত আবেদন করলেও মামলাটি এখনো আগের অবস্থাতেই রয়েছে।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) কার্যালয়ে আকবর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও আকবরের বড় বোন লাবণী খানম আঁখি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ২৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ১২তম ব্যাচের মানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মো. আকবর হুসাইন খান রাব্বি পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যান এবং তার সহপাঠীরা বিভিন্ন সময়ে ফোনে যোগাযোগ করলে আশপাশে রয়েছেন বলে জানান। সর্বশেষ রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে যখন আকবরের সাথে যোগাযোগ করা হয়, তখন একটু পর বাসায় ফিরবেন বলে আকবর তার বড় বোনকে জানান।

তারা বলেন, এরপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায় আকবরকে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন একটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে কে বা কারা ফেলে দেয় এবং প্রতক্ষ্যদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। এসময় তার কোমরের বাম পাশে ভোতা অস্ত্র দিয়ে গভীর এক ক্ষত ছিল। ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়ায় তার ব্রেইন অনেকাংশে থেঁতলে যায়। ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে, টানা ৫দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ আইসিইউ তে জীবন-মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবর এর মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ পাঁচমাস পার হয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে, পুলিশ এখনো সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। কে বা কারা, গত ২৭ আগস্ট রাতে পরিকল্পনা মাফিক ঢাকা হতে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে, তা এখনও এক রহস্য রয়ে গেছে। আকবর এর মোবাইল ফোনটি ঘটনার এক দুইদিনের মধ্যেই থানা থেকে লক খুলতে গিয়ে হার্ড রিসেট দেয়া হয়, ফলে তার ফোন থেকে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সূত্র, চট্টগ্রাম খুলসী থানা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে চট্টগ্রাম খুলসী থানা পুলিশ এটিকে পরিকল্পনা মাফিক হত্যা বলে নিশ্চিত করে।

সংবাদ সম্মেলনে আকবরের সহপাঠীরা বলেন, ‘আমাদের সহপাঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের একজন সহপাঠীর এমন রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবো। তারা সকলেই শঙ্কা প্রকাশ করে, তদন্তে এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণে এর অগ্রগতি ব্যহত হচ্ছে। এজন্য তারা বাংলাদেশ পুলিশের দায়সারা ভাবকে প্রধান কারণ মনে করছেন।’

তারা আরও বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক মেধা, শ্রম দিয়ে এ পর্যায়ে আসে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে এতগুলো বছর পড়াশোনা, কত স্বপ্ন কত আশা, আকবর এর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি হওয়ার, সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন। ঠিক ফাইনাল পরিক্ষার আগে আগে তার এ রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড, এটা মেনে নেয়া তার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব সকলের জন্য কষ্টকর।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজ বলেন, মামলার তদন্ত চলছে, তার ল্যাপটপ সিআইডি’র ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে।

   

শেকৃবিতে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাবিধ আয়োজনে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২৪। 

দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরতে প্রথমেই অনুষদের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্য, ট্রেজারার, অনুষদের ডিন, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বৃক্ষরোপণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার এবং অনুষদটির ডিন। 

পাশাপাশি, অনুষদের ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে ফ্রি ভেটেরিনারি ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করা হয়। যেখানে ফ্রি ভ্যাকসিনেশন ও ঔষধ প্রদানসহ অন্যান্য চিকিৎসাজনিত সুবিধা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে অনুষদের বর্তমান ডিনের দ্বিবার্ষিক কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনুষদীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি নিউ হোপ বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষদে প্রথমবারের মত জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল সাড়া ফেলেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। 

উক্ত জব ফেয়ারে তাৎক্ষণিকভাবে ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে কোম্পানিটির টেকনিক্যাল অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে।

অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কে, বি, এম, সাইফুল ইসলাম বলেন, দিবসটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রথম বড় পরিসরে আমরা অনুষদভিত্তিক এই দিবস পালন করছি। মূলত ফ্রি ভেটেরিনারি সেবা, বৃক্ষরোপণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য জব ফেয়ারের আয়োজন উক্ত দিবসকে কেন্দ্র করে করেছি যা সকল শিক্ষক এবং অনুষদীয় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। জব ফেয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ এক আকর্ষণ। অনুষদের অনেক শিক্ষার্থী অনার্স শেষ হওয়ার সঙ্গেই চাকরি পেয়ে যাবে, হয়তো সার্টিফিকেট পাওয়ার পর একদিনও বেকার থাকতে হবে না। এমন উদ্যোগ নিতে পারা অনুষদের ডিন হিসেবে আমার জন্য আনন্দের ও প্রশান্তির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, দিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় তাদের ডিনের উদ্যোগে এই দিবস জাঁকজমকের সাথে অনুষদে প্রথমবারের মত পালিত হচ্ছে যা সত্যিই প্রসংশনীয়। এই দিবস থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যৎ ভেটেরিনারি সেক্টরকে কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায় সেই পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের দেশের ভেটেরিনারি সেক্টরকে গবেষণাখাতে আরো উন্নত করতে হবে। ভেটরিনারিয়ানগণ অবলা প্রাণীর চিকিৎসা করেন যা সত্যিকার অর্থেই অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ। তাছাড়া আমাদের দুধ কিংবা মাংস উৎপাদনকারী নিজস্ব কোনো কোনো ব্রিড নেই। এগুলোর দিকেও আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।

;

রাঙামাটিতে জিএসটি প্রথম ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) প্রথম ধাপের জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাঙামাটি রাবিপ্রবি’র অধীনে মোট আটটি কেন্দ্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম দফায় ৮ হাজার ৫শ ৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন, রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

রাবিপ্রবি’র বঙ্গবন্ধু কর্নারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, দেশের অন্যতম পর্যটন শহর রাঙামাটিতে এবছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তিন দফায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ ইউনিটে অংশ নেবেন সর্বমোট ১৪ হাজার ৫শ ৩০ জন পরীক্ষার্থী।

তিনি বলেন, শনিবার প্রথম দফা ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শহরের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা গুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, এবার জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৫শ ৮২, ‘বি’ ইউনিটের অধীনে ২ হাজার ৭শ ৪৪ এবং ‘সি’ ইউনিটের অধীনে ৩ হাজার ২শ ৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

পুলিশ প্রশাসন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমকর্মী, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, অটোরিকশা মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সুন্দর ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভিসি।

এলাকাবাসীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, আমাদের রাঙামাটি জেলায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ। এতবড় আয়োজনে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য রাঙামাটির পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

এসময় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম (বার), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার প্রথমবারের মতো রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত রাবিপ্রবি’র গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রায় ২শ ৫০ পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে পুরো রাঙামাটি শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয়।

রাবিপ্রবি'র তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রধান কেন্দ্র হচ্ছে, রাবিপ্রবি ক্যাম্পাস এবং উপ-কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, রাঙামাটি সরকারি কলেজ, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোনঘর আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আবদুল আলী একাডেমি এবং ভেদভেদী পৌর উচ্চ বিদ্যালয়।

;

‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ নিয়ে পরিক্ষার্থীদের পাশে ইবি ছাত্রলীগ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছ ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশংসিত হচ্ছে শাখা ছাত্রলীগের সহায়তামূলক কার্যক্রমগুলো। অন্যান্যবারের মতো এবারও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে শাখা ছাত্রলীগের জয়বাংলা বাইক সার্ভিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো দূরে হওয়ায় পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে শেষ মুহুর্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি ‍পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, অভিভাবক ছাউনির ব্যবস্থা করেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, আবাসন, স্যালাইন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিনামূল্যে কলম বিতরণ করেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেরিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে মেইন গেইটে অপেক্ষায় আছে একদল ছাত্রলীগ কর্মী। তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের সামনে রেখেছেন বাইকগুলো। অভিভাবক তাঁবুতে ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিনামূল্যে খাবার পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে।

পাবনা থেকে আসা পরীক্ষার্থীর নাহিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘দূর থেকে আসায় টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। শেষ মুহূর্তে এসে কোনদিকে সিট বা হলে কিভাবে যাবো তা নিয়ে দিশেহারা ছিলাম। তখন স্বেচ্ছাসেবী ভাইদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে যান। তাদের এই সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই দিকপাল তাদের সার্ভিস নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকের এই জয় বাংলা বাইক সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি। এতে করে দেরিতে আসা শিক্ষার্থীরা যেমন দ্রুত হলে পৌঁছাতে পারছে পাশাপাশি তাদের এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে হল খোঁজার বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে না। এছাড়াও আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য তীব্র গরমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অবিভাকদের বসে বিশ্রাম নেয়ার স্থান, শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা উপহারসহ প্রতিটা হল এবং আবাসিক হলের সামনে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে করে দূর দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হচ্ছে বলে আশাবাদী।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, অনেক সময় পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসতে বিলম্ব হয়ে যায়, তাই দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের একটি টিমের অনুমোদন পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। আমরা মোট ৬টি বাইকের ব্যবস্থা রাখছি ৬টি হলের জন্য। তারা শিক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।

;

তাপদাহেও ঢাবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের ভিড়



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার শুরু হয়েছে আজ। মোট ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে প্রতিষ্ঠিত এই গুচ্ছ পদ্ধতি। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মোট তিন ইউনিট মিলে ২০ হাজার ৩৫০টি আসনের এই ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন পড়েছে আবেদনকারীদের। ভয়াবহ তাপদাহেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ভিড় করছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা যায়। বেলা ১২টায় পরীক্ষার সময় দেওয়া হলেও সকাল ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

তীব্র গরম পড়লেও ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর সামনে ফাঁকা স্থান চোখে পড়ে নি । অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে চলছে না কোন যানবাহনও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা পরীক্ষার্থী নীলা আক্তার জানান, বিজ্ঞান ইউনিট থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছি তবে ভর্তির সুযোগ হয় নি। এটাই শেষ সুযোগ স্বপ্ন ছোঁয়ার। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি তাই গরম বেশি হলেও এই পরীক্ষা দিতে সাবধানতার সাথে অনেক আগেই এসে উপস্থিত হয়েছি কেন্দ্রে।

নরসিংদী থেকে আসা শিক্ষার্থী সুস্ময় দাস বলেন, আমরা ঢাকায় থেকে কোচিং করেছি। তাই আবেদন করার সময় ঢাকায় কেন্দ্র দিয়েছি। ঢাকা থেকে আবেদন করায় আমার সিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। যার ফলে এখন আমার নরসিংদী থেকে আসতে হয়েছে এত গরমে।

কুমিল্লা থেকে আসা এক অভিভাবক তারিক জামিল বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার কেন্দ্র পরেছে কার্জন হলে। সে ঢাকাতেই ভর্তি কোচিং করেছিলো। কুমিল্লা থেকে আমি ওকে কেন্দ্রে নিয়ে আসতেই সকালের ট্রেনে এখানে এসেছি। আমি একটি সরকারি অফিসে চাকরি করি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানকে মেয়েকে পড়ানো আমার স্বপ্ন তাই এই গরমেও যতটুকু পারছি সাপোর্ট দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপদাহে যেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোন সমস্যা না হয় সেজন্যে ঢাবির বিএনসিসি এবং রোভার ইউনিট সদস্যদের নানা ধরণের সেবামূলক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

;