সাত বছরে শেষ হয়নি জবির হলের কাজ



জবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো / ছবিঃ সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো / ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শতভাগ অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের কাজ শুরুর পর অর্ধ-যুগ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি হলের কাজ। কয়েক দফা কাজের মেয়াদ বাড়ালেও পুরোপুরি কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আর বিলম্বের জন্য শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উদাসীনতাকে দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয়  প্রশাসন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে হল একটা প্রাণের দাবি। বিভিন্ন সময়ের আন্দোলনের পর একমাত্র আবাসিক হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ ছাত্রী হল স্থাপনের ছাড়পত্র পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালটি।

হল প্রকল্পের প্রথম মেয়াদের কাজ ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত চলে। এরপর জুন ২০১৩ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদের কাজ চলে। পরবর্তীতে জুন ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮ সালের পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের জুন পেরিয়ে গেলেও নিদিষ্ট সময়ে হল বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতে পারেনি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, সরকারি কোন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মেয়াদ দু’বারের বেশি বাড়ানো হয় না। কিন্তু জগন্নাথের হলটির মেয়াদ বিশেষ বিবেচনায় তিনবার বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জুনের ৩০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হলটি বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল।

কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবারও সময় মতো কাজ শেষ করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বহীনতাকে। আর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে স্থানীয় সমস্যার কথা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢিলেঢালাভাবে চলছে হলটির নির্মাণকাজ। ১৫ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই দিলেও এখনও অনেক কাজ বাকি।

নির্মাণাধীন ভবনটি ১৬ তলা হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ১১১টি কক্ষ, একটি লাইব্রেরি, একটি ক্যান্টিন, একটি ডাইনিং, প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট, আটটি গোসলখানা, ছাত্রীদের ওঠা নামার জন্য চারটা লিফট লাগানো হবে।

এগুলোর আংশিক কাজ হলেও বেশির ভাগ কাজই এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। দরজা, জানালা, পানির পাইপ কিছুই লাগানো হয়নি। এছাড়া লিফট, গ্যাস লাইন ও পানির জন্য দরপত্রও করা হয়নি।

তবে কাজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরোপুরি হল বুঝিয়ে দিতে আরও ১০ থেকে ১২ মাস লাগবে বলে জানান নির্মাণাধীন এক শ্রমিক।

প্রকল্পের দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হল নির্মাণে দায়িত্বরত প্রকল্প ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি ২০১১ সালে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৪ সালে আমাদের হাতে বুঝিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভবনের কাজ করার জন্য আশপাশে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই একপাশ থেকেই কাজ চালাতে হয়েছে।

একইসাথে মালামাল রাখার জায়গার সংকট এবং বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে তিনি দায়ী করেন। তিনি আশা করেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।

   

চবির শীর্ষ ৮ পদে আসছে পরিবর্তন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শীর্ষ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এবার গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী ৩য় ও ৪র্থ গ্রেডের আটটি পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। পদগুলো হলো- রেজিস্ট্রার, গ্রন্থগারিক, হিসাব নিয়ামক, প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), চিফ মেডিকেল অফিসার এবং পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা বিভাগ)।


বিজ্ঞাপিত পদগুলোতে আবেদনকারীদের সনদপত্রাদিসহ ১০ সেট দরখাস্ত আগামী ১০ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন- গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদগুলোতে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে পদগুলোতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে শীর্ষ এই আটটি পদেই রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ২০২২ সালে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), পরিচালকসহ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্ব প্রদান না করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার এই নির্দেশনা আমলে না নিয়ে চলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের দায়িত্ব নিয়েই পদগুলোতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

;

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে দু'পক্ষের মারামারি, আহত ২



Rasel
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খাবার হোটেলে এক ছাত্রের জামায় তরকারির ঝোল গায়ে পড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলা বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মারুফ হোসেন জারিফ ও ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের হোসাইন রণি তার বন্ধু ও বড় ভাইদের ডাকলে তাদের সাথে মারামারি হয়। এতে আহত হয় ২ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম আহমেদ তরকারি নেয়ার সময় জারিফের গায়ে ঝোল পড়লে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এসময় বন্ধু সিয়ামের পক্ষে এগিয়ে আসেন রণি। তাদের মধ্যে আবার তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে জারিফকে মারার উদ্দেশ্যে রণি তার বন্ধুবান্ধব ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কর্মী তাহসিন আজাদসহ অন্যান্য বন্ধুদের জিয়া মোড়ে ডেকে আনে। পরে জারিফ তার সাদ্দাম হোসেন হলের বড় ভাই ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খানকে ডাকলে দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরে ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতি শিমুল খান ও রতন রয় সমাধানের উদ্দেশে রণিকে ডেকে চড় থাপ্পড় দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোবায়ের হোসেন রণি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রতন রয়ের অনুসারী। অন্যদিকে মারুফ হোসেন জারিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের অন্য সহ-সভাপতি শিমুল খানের অনুসারী।

এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী জোবায়ের হোসেন রণি বলেন, আমি ভাইকে চিনতে পারিনি। গায়ে ঝোল পড়া নিয়ে ভাই আমার মা-বাবা ধরে গালি দেয়, এজন্য কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে মারুফ হোসেন জারিফ বলেন, নামাজ পড়ে যখন খাইতে বসলাম, তখন পাশে এক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ও যখন খাবার নিচ্ছিলো, তখন আমার গায়ে একটু ঝোল পড়ে। তখন আমি তাকে বলি সিনিয়রদের গায়ে ঝোল পড়লে একটু স্যরি-টরি বলতে হয় জানো না। তখন সে আমাকে স্যরি বলে। কিন্তু তখনই তার পাশে থাকা রণি আমাকে এসে বলে, কী ব্যাপার ভাই, আপনি এভাবে ব্যবহার করছেন কেন? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে মারার জন্য উদ্যত হয়। তখন সিনিয়র হিসেবে আমি বাসন নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায়। তখনও মা বাবা নিয়ে গালি দেয়। তারপর দোকান থেকে চলে এসে শিমুল ভাইকে বিষয়টা জানাই। ঐদিক থেকে জিয়া মোড়ে দাঁড়িয়ে রণি বলে, 'আসো, সামনে আসো, দেখি কী করতে পারিস!' তখন কিন্তু শিমুল ভাইও ছিল। তখন শিমুল ভাইয়ের সামনে আইসা বলতেছিল (রণি), ভাই, কুষ্টিয়া যাওয়া লাগবে না? এরপর ভাইয়েরা বিষয়টা সমাধান করে দেন।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খান বলেন, জুনিয়ররা তখন সিনিয়রদের হয়তো চিনতে পারে নাই, তাই একটু ঝামেলা হয়েছিলো। পরে আমরা বিপুল ভাইয়ের উপস্থিতিতে বিষয়গুলো সমাধান করেছি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর প্রভাষক মো. ইয়ামিন মাসুম বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, যা আমাদের নজরে পড়ে না। আপনাদের নজরে যেহেতু পড়েছে, সুতরাং দু'পক্ষের কোনো একপক্ষ অভিযোগপত্র দায়ের করলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নিতে পারে। ঘটনা যেহেতু আজকে বন্ধের দিনে, অফিস টাইমে হয়তো অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এখনও সুযোগ আছে। তারপরও অফিস টাইমে প্রক্টরের সাথে আলাপ করে দেখতে পারি।

;

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ইবি ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের আজকের দিনে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে বাংলার মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আজকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ফেরার দিন। তিনি দেশে ফেরত আসার মধ্য দিয়ে এদেশে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন। এদিন ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপামর জনতা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। সেদিন থেকে তার পথচলা এখনো থামেনি। তিনি এসেছিলেন বলেই আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে স্বৈরাচারের পতন করেছেন, রাজাকারদের বিচার করেছেন, সমুদ্র সীমা জয় করছেন, আমাদের মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষ করে আজকের এই দিনে এদেশের মাটিতে পা রাখেন। তাই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। পাশাপাশি তিনি দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বৈরচারী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মানুষকে ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশে ফিরেই তিনি জন মানুষের ভরসার জায়গায় স্থান করে নেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং তার হাত ধরে আজকে দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে।

এসময় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, শিমুল খান, রতন রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ছাত্রলীগের নানা আয়োজন থাকে এই দিনে। 

;

রাবির 'সি' ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি/বিফার্ম/ বিএসসি, এজিডিভিএম/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১ম নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হলো।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ২১ থেকে ২২ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১, কুদরাত-এ-খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে 'সি' ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং 'সি' ইউনিটের অন্য কোনো বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ দেওয়া হলো।

ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ফোন: ০২৫৮৮৮৬৪২১৮, অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। ২১ ও ২২ মে বিকাল ৪টার পূর্ব পর্যন্ত অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো-মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ (Opt-out) করা যাবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধাতালিকা ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;