যেমন ছিলো গুচ্ছের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা



সাগর হোসেন, জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেমন ছিলো গুচ্ছের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

যেমন ছিলো গুচ্ছের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিজ্ঞান ইউনিটের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গনিত, বাংলা এবং ইংরেজি থেকে যে কোনো ৪ বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের উত্তর করেন শিক্ষার্থীরা। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দের তালিকায় রেখেছিলেন, তাঁদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর নয়টি উপকেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রে ৬৪ হাজার ৪শ ৫৮ জন অংশ নেয়। বাকি কেন্দ্রগুলো হচ্ছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স, ইডেন মহিলা কলেজ, নটরডেম কলেজ, ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজ, (ভবন-১, গেইট-১) এবং ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজ, (ভবন- ২, গেইট- ৮)।

দেশের ১৯ কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অন্যান্য কেন্দ্রের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল। এদিকে সার্বিক শৃঙখলা রক্ষায় তৎপর ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশেপাশে মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য। একই সাথে রেঞ্জার ইউনিট, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় সচেষ্ট ছিল। পরীক্ষা ১২টায় শুরু হলেও শনিবার সকাল ৯টা থেকেই ভর্তিচ্ছুরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, দ্বিতীয় গেইট, তৃতীয় গেইট এবং পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের গেইট দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রবেশপথের পাশেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তা ডেস্ক ছিল। যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা রুম ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে পুরান ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হলেও তার তেমন কার্যকারিতা চোখে পড়েনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় যানজট ছিল। যাতে করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তি হয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে।

অন্য কেন্দ্রের ৮০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন:

এদিকে অন্য উপকেন্দ্রের প্রায় ৮০জন পরীক্ষার্থী ভুলবশত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসলে মানবিক দিক বিবেচনায় তাঁদের পরীক্ষাও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি রুমে সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।

শর্ট সিলেবাসের বাহিরে প্রশ্নের অভিযোগ:

পরীক্ষার প্রশ্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাসের আলোকে করার কথা বলা হলেও পুর্ণাঙ্গ সিলেবাসে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে ভর্তিচ্ছুরা অভিযোগ করেছেন। ভর্তিচ্ছুরা অভিযোগ করে বলেন, করোনার কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষপ্তি সিলেবাসে হয়েছে। গুচ্ছ কমিটিও এই সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরাও এ সিলেবাসে প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখি, পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকেই বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্ন হয়েছে। শর্ট সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন হওয়াতে বেশ সমস্যাই হয়েছে। তবুও, স্টান্ডার্ড মানের প্রশ্ন ছিল। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে প্রশ্ন হলে পরীক্ষা আরও ভালো হতো। শিক্ষার্থী জানান, উচ্চতর গনিত বিষয়ে ৪০-৫০% প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের বাইরে ছিল। এছাড়াও পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান বিষয়েও অনেক প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে রসায়ন বিষয়ে শর্ট সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করা হয়।

কেন্দ্র এলাকায় যানজটে ভোগান্তি:

পুরান ঢাকার যানজটের জন্য যাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি না হয় যানজট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হলেও তার তেমন কার্যকারিতা চোখে পড়েনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় যানজট ছিল। যাতে করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তি হয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে। এতে একাধিক শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরও কেন্দ্রে ডুকতে দেখা যায়।

মিশ্র প্রতিক্রিয়া অভিভাবকদের:

গুচ্ছের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবকরা। উত্তরা থেকে আসা নাসিমা আক্তার বলেন, মেয়েকে নিয়ে সেই সকালে রওনা দিয়েছি। ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছেছেন সকাল ১০টার দিকে। তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা আমাদের মত অভিভাবকদের মুক্তি দিয়েছে চরম ভোগান্তি থেকে। এ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার কারনে আমাদের ছেলেমেয়েরা একটা পরীক্ষা দিলেই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়। এটা আমাদের আর্থিকভাবে অনেকটা স্বস্তির। অন্যদিকে মিরপুর থেকে ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষার হলে আসছেন জামিল হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি। তিনি বলেন, এ পদ্ধতি একদিকে পরীক্ষার্থী ও আমাদের মত অবিভাবকদের ভোগান্তি লাঘব ও আর্থিকভাবে সাশ্রয় করলেও অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মাঝে তৃপ্তি ও হতাশার কাজ করে। কারণ, এ একটি পরীক্ষা দিলে একসাথে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়া হয়ে যায় কিন্তু সেই একটি পরীক্ষাই যদি কোন কারনে খারাপ বা দিতে মিস করে তাহলে সে ছেলেটি এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারবে না। আবার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ও পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়াটাও ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হয়।

প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রশ্ন:

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে খোদ শিক্ষকরাই। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রশ্নপত্রের গেটাপ দেখে আমরা পুরোপুরি হতাশ। আমার চোখের আন্দাজ প্রশ্নের ফন্ট সাইজ ছিলো অতি ক্ষুদ্রকার। ৮-৯ মানের। স্পেস মাত্র ১, মার্জিন ০.২। উত্তরের অপশনগুলো (ধ-ফ) পাশাপাশি দেওয়া। প্রশ্নপত্রের কোথাও তিল পরিমান ফাঁকা জায়গা নেই। আবার কোন আলাদা কাগজও দেয়া হয়নি পদার্থ, গনিত, রসায়ন রাফ করার জন্য। আমার আশংকা অনেক ভর্তি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন রকম ভুল করেছে শুধুমাত্র এরকম একটা ঘিঞ্জি প্রশ্নপত্রের কারণে। একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নপত্রের গেটাপটাও আজ আমরা আপটুদা মার্ক করতে পারি না? ঊাংলা বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা জলি বলেন, ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এমন সাইজের অ্যালফাবেট এ এমন হিজিবিজি প্রশ্ন কখনো দেখিনি। এতো ছোট সাইজের ফন্টে প্রশ্ন করা এবং সাইন্সের অংকের রাফ করার জন্য সামান্যতম ফাঁকা জায়গা না রাখার কারণ কী? এমন প্রশ্নের কারণে পরীক্ষার্থীরা কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো এবং অন্যরা কতোটা লাভবান হলো? এই শিক্ষার্থীরাই যদি হয় জাতির ভবিষ্যত আর যদি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে সত্যিই ভেবে দেখার বিষয়! কিন্তু ভাবার কেউ কি আছে?

পরীক্ষার ফলাফল:

ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, খাতা মূল্যায়নের জন্য ৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় পাবে টেকনিক্যাল কমিটি। ৩ আগস্টের মধ্যে ফল তৈরি করে কোর কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। এরপর কোর কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ফল প্রকাশ করা হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করবো। ফল তৈরির জন্য আমাদের ৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এর আগেই ফল তৈরির কাজ শেষ হবে। এরপর গুচ্ছের মূল কমিটি ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেবে।

পরীক্ষার সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি জানান, গতবারে আমাদের আসন নিয়ে যে সমস্যাগুলো হয়েছিল, এবারে কষ্টের বিনিময়ে হলেও আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন নির্ধারিত ৬৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। ঢাকার বাইরে অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে খবর নিয়েছি। সুষ্ঠু পদ্ধতিতে পরীক্ষা সংঘটিত হয়েছে।

গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিলেও এবার নতুন যুক্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

আগামী ১৩ আগস্ট মানবিক বিভাগ (বি) এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য বিভাগের (সি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব পরীক্ষাই দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ১টায় শেষ হবে।

   

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;