চা-শ্রমিক মা ও সন্তানের হার না মানা জীবনের গল্প!



আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চা শ্রমিক মা কমলির সঙ্গে  সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন

চা শ্রমিক মা কমলির সঙ্গে সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মানুষ তাঁর স্বপ্নের বড়, স্বপ্ন মানুষকে লক্ষ্যের পানে ছুটতে যেমনটা তাড়না যোগায় তেমনি সবশেষ সেই স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে স্বপ্নিক মানুষটির গ্রহণযোগ্যতাও বেশ বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিকালে চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির একটি আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনের জের ধরে ধরে মা ও ছেলেকে নিয়ে এক করুণ গল্প গাঁথা স্ট্যাটাস নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।

স্ট্যাটাস দেওয়া সেই যুবক সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন। যার জীবনের একটি বড় অংশ চা বাগান নিয়ে গল্প ছিল, যে গল্প জুড়ে ছিল মজুরি ও নানা বঞ্চনার গল্প। কিন্তু চা শ্রমিক মায়ের সন্তান সন্তোষ নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে আজ ব্যাংকার।

তবে জীবন সংগ্রামের এ যাত্রা কখনোই মধুর ছিল না সন্তোষ রবি দাস অঞ্জনের। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ফাঁড়ি কানিহাটি চা-বাগানে বাড়ি সন্তোষের। সালটি ১৯৯৬, ছয় মাস বয়সে বাবা সত্যনারায়ণ রবিদাসকে হারান সন্তোষ। স্বামী মারা যাবার পর, সন্তোষের মা কমলি রবিদাস কিভাবে কি করবেন, একদিকে ছোট ছয় মাসের সন্তোষ। নেমে পড়েন চা শ্রমিকের পেশায়।


 

দৈনিক ১৮ টাকা মজুরিতে চা বাগানে কাজ শুরু করেন কমলি। শুরু হয় এক সংগ্রামের জীবন যে গল্পের চরিত্র সন্তোষ ও কমলি। কিছু জীবনের গল্প রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। দুধের শিশু সন্তোষকে পটে করে দুধ খাইয়ে অন্যের কাছে রেখে শ্রমিকের কাজ করতেন কমলি। জীবন সংগ্রামী কমলি কষ্টের মধ্যে থেকেও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বুক ভরা স্বপ্নই বেঁধেছিলেন, হয়তো একদিন সুদিন আসবে সেদিনে এত কষ্ট থাকবে না।

সেই আশা থেকেই একমাত্র সম্বল ছেলে সন্তোষকে বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিলেন কমলি। ২০০৭ সালে বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণির পাঠ চুকিয়ে ডানকান ব্রাদার্স ফাউন্ডেশনের লংলা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন কমলি রবিদাস। সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা সন্তোষকে পাঠাতেন মা কমলি। তা দিয়েই খাওয়া চালাতে হত সন্তোষকে। সেখান থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি পাস করেন সন্তোষ।

মাধ্যমিকের পর যেই কলেজে ভর্তি হবেন, তখন কমলি রবি দাসের স্বপ্নগুলো যেন অধরা হয়ে যাচ্ছিল। কারণ ছেলেকে কলেজে ভর্তি করাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন, চারদিকে পাচ্ছিলেন না কোন সাহায্য। তবু হাল ছাড়েন নি কমলি। চা–বাগানের কাজের ফাঁকে ফাঁকে মানুষের বাড়িতে কাজ করা শুরু করলেন। তাতেও যখন কুলাচ্ছিল না, তখন গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হয়ে ঋণ নিয়ে বসলেন কমলি। ছেলে সন্তোষকে ভর্তি করান শমশেরনগরের বিএএফ শাহীন কলেজে, সেখানে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে সন্তোষের। সন্তোষ বলেন, “সে সময় যখন টিফিন খাওয়ার জন্য বাহিরে যেত। আমি রুমের মধ্যে বসে থাকতাম। কারণ টিফিন খেতে গেলে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হত।”

সেখান থেকে নানান ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে অভাবের মধ্য থেকে চলে আসল এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন। কমলির হাতেও তখন টাকা ছিল না, সেই সময় মা কমলি পঞ্চাশ টাকার একটি নোট ধরে দিয়েছিলেন, বলে জানায় সন্তোষ। শেষ-মেশ এক শিক্ষকের সহায়তায় এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। ২০১৫ সালে শমশেরনগরের বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন সন্তোষ রবিদাস।


জীবন চলার পথে বাঁধা যেন মা কমলি ও সন্তান সন্তোষের পিছু কখনোই ছাড়ে নি। মেধাবী সন্তোষ যেই মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে কোচিং-এ ভর্তি হবেন। তখনও আবার এক মোটা অঙ্কের টাকার বাঁধ সাধে। ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি নিতে সন্তোষকে সিলেটে পাঠান মা কমলি রবি দাস। সঙ্গে কমলির আবার যুক্ত হল অতিরিক্ত পরিশ্রম। চা শ্রমিকের পাশাপাশি কাজ নিলেন মাটি কাঁটার। চা বাগানে কাজ করার মজুরি হিসেবে সেসময় ১০২ টাকা এবং অন্যান্য কাজের পারিশ্রমিক হিসেবেসব মিলিয়ে ৩০০ টাকা পেতেন দৈনিক কমলি রবি দাস।

মায়ের কষ্ট বৃথা যেতে দেয় নি সন্তোষ। শেষমেশ সকল প্রতিবন্ধকতাকে তুঙ্গে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান সন্তোষ। সেই গ্রামের মানুষ, এলাকার বিত্তশালী সকলে টাকা উঠিয়ে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের মার্কেটিং বিভাগে। সাম্প্রতিককালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন সন্তোষ।

বর্তমানে দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন সন্তোষ। জানা যায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই সন্তোষের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকে চাকরি পেলেও সন্তোষ নিজেকে দেশ ও জনগণের সেবাতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। তিনি জানান, আজ এতদূর আসার পেছনে যেমনটা চা শ্রমিকের টাকা রয়েছে। তেমনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের টাকা রয়েছে এতদূর পর্যন্ত আসাতে। তাই জনগণের জন্য কাজ করে যেতে, বিপদে-আপদে পাশে থাকতে সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে যেতে চান সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন।

পিছিয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের নিজ উদ্যেগে প্রতিষ্ঠা করেছেন “একটি বিদ্যার্থীর দৃষ্টি সংঘ” নামক একটি সামাজিক সংগঠন। ২০১৩ সাল থেকে চলা ওই সংগঠনটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাল্যবিবাহ রোধ, ধর্মীয় রীতিনীতি শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করছে। নিজ বাগানের প্রায় ৮৫ জন শিক্ষার্থীদের ওই সংগঠনের উদ্যোগে পড়াচ্ছেন। ভবিষ্যৎ বড় পরিসরে কিছু করার চিন্তা রয়েছে সন্তোষের, তার মত পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের পাশে সব সময়ই থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন জীবন যুদ্ধের এই লড়াকু সৈনিক।

   

ঢাবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি দুই মাসেও কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায়, দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এ বছরের ৩ মার্চ অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যাচাইয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কর্তৃপক্ষ এ কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বললেও ২ মাস পার হলেও এ ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায় নি। এতে ন্যায়বিচার ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে, প্রশাসন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে যথাযথ বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কমে গেলে লঘু দণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান এবং তিন দিনের মধ্যে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় পুনরায় আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন এই শিক্ষার্থীরা।

;

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা ও স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এ সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধরপাকড়ের তীব্র নিন্দা জানান শিক্ষার্থীরা।

গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। এ সময় তারা ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ- ইহুদিবাদ নিপাত যাক, বয়কট ইসরায়েল, ফিলিস্তিনে হামলা কেন আমেরিকা জবাব দে সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ফিলিস্তিনের চলমান স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটা গোটা মানবজাতির, মানবতার ইস্যু। আজকের এই মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সবচেয়ে বড় মূল্যবান বিষয় হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো।

ফ্যাইন্যান্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. ইশতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক বিষয় হলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষত স্বয়ং ইসলরাইলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ও ইসলরাইলের সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্দোলন করছে। অথচ আরবরা জাতি ভাই হয়েও আজ নির্বিকার, আরব শাসকগোষ্ঠীসহ জনগণ পর্যন্ত ভোগবিলাসের মত্ত হয়ে আছে। তাদের এই ভন্ডামী একদিন তাদের পতনের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ। যে জাতি একজন খ্রিষ্টান নারীর জন্য স্পেন বিজয় করতে পারে, সে জাতি আজ নিজের বোনের আর্তনাদ শুনতে পায় না।

অন্যদিকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা করেন।

এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সোপান বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ করেছি। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সহ সকল শেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

;

ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দলীয় ট্রেন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে প্রদক্ষিণ করে দলীয় ট্রেন্টে এসে সমবেত হয়ে ছাত্র সমাবেশে যুক্ত হয়। পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, রাকিবুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন হল ও অনুষদ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। ফিলিস্তিনের নারী পুরুষ এবং অবুঝ শিশুদের প্রতি যে জঘন্য নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, আমরা এর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, নিপিড়ীত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিপিড়ীত, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি মানুষের দাবি আদায়ে, দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর দখলদারিত্ব এবং নির্বিচারে গণহত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইবি শাখা ছাত্রলীগ আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছে। এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।

 

;

বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপদাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে, গত ২১ এপ্রিল সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

;