প্ররোচনামূলক আত্মহত্যা, বিচারের দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিচারের দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন

বিচারের দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস ইসলামের মা নাজমা ইসলামের আত্মহত্যাকে প্ররোচনামূলক আত্মহত্যার আখ্যা দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আমার বন্ধু এতিম কেন জবাব চাই জবাব চাই; আমার বন্ধু ঘরছাড়া কেন জবাব চাই জবাব চাই; স্বামী নির্যাতিতা একজন মায়ের সন্তান বলছি; Say no to domestic violence' ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সহপাঠীর (নাফিস ইসলাম) বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তার ভাষ্য অনুযায়ী তার মা’কে বেশ কয়েকবছর ধরেই নিয়মিত নির্যাতন করত। গত ৩০ মে তার মা আত্মহত্যা করে মারা যান। তার মায়ের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তিনি মারা যাওয়ার আগে একটা সুইসাইড নোট লিখেছেন সেখানে নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেছেন। আমরা মনে করি এটি প্ররোচনামূলক আত্মহত্যা। তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করছি এবং আমাদের সহপাঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় গেল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বাবার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে স্ট্যাটাস দেন নাফিস ইসলাম। সঙ্গে সুইসাইড নোট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তাঁর বাবার ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের ওই শিক্ষার্থী।

স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হল:

“পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, একজনও খারাপ বাবা নেই।” -হুমায়ূন আহমেদের তিন ডব্লিউ লেখার এই লাইনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই প্রচলিত। আজকে গল্প শুনাই একজন বাবার,আমার বাবার।

আমার বাবা, মোঃ নুরুল ইসলাম, একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। চাকরিজীবন অনেক সুনামের সাথেই পার করেছেন। বাইরের পৃথিবীতে সবাই সম্মানই করতেন, হয়তো তার ব্যবহারে নাহলে তার চাকরিসূত্রে পাওয়া ক্ষমতার ভয়ে। আড়ালে চলে তার পৈতিক গ্রামে সোনা চোরাকারবারী চক্রকে বিভিন্ন পুলিশি সুবিধা প্রদান আর জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে ইউপি নির্বাচনে জেতানোর সব রকম অনৈতিক চেষ্টা।

পরিবার জীবনে চিত্রটা আরও ভিন্ন।আমার বাবা মায়ের সম্পর্ক কখনই ভালো ছিল না। ছোট খাটো বিষয়ে আমার বাবার আমার মায়ের প্রতি টর্চার ছিল প্রতিদিনেরই ঘটনা। মধ্যবিত্ত পরিবারে যেটা হয়, আমার মা সব সহ্য করেই ৩৫-৩৬ বছর সংসার করে গেছেন, আমাদের দুই ভাইবোনের কথা চিন্তা করে। আমার বাবার অবসরের পর শুরু হয় তার এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার আর আমার মায়ের প্রতি অমানুষিক হিংস্রতা। প্রতিদিনই নেশা করে আমার বাবার সকাল বিকাল চলতো আমার মায়ের ছোট খাটো বিষয় ধরে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন। করোনার সময় লকডাউনে বেড়ে গেল এই হিংস্রতা অনেক গুণ। সে সময়টুকু আমি বাসায় থাকায় যতটুকু পেরেছি সামলানোর চেষ্টা করেছি।উল্লেখ্য আমাদের বাসা রাজশাহীতে, আমি বুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করি। বড় বোন বিবাহিত, সে শ্বশুড়বাড়ি থাকে। পরিবারের সবাই এটা বিষয়গুলো জানতো, দাদাবাড়ির সবাই ছিল নীরব, নানাবাড়ির কারও সাথে আমার মাকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হত না।

কোনোভাবে পরিবারে স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে না পেরে সমাজের তথাকথিত সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে যাই যে আমার মাকে বাঁচান।আমার বাবার সহকর্মীদের কাছে আমি এবং আমার বোন যাই। আইনি হোক অথবা পারিবারিক হোক,কোনভাবেই সাহায্য করেন নি।উপায় না পেয়ে আমার মাকে ২০২২ এর জানুয়ারিতে আমার মামার বাসায় পাঠিয়ে দিই, দুইমাস সেখানেই ছিলেন।এ পর্যায়ে আমার বাবা আমার থাকা খাওয়া আর পড়াশোনার খরচ বন্ধ করে দেন। পরে পরিবারের একে ওকে ধরে আমার বাবা আমার মাকে ফিরিয়ে আনেন,আর এই আশ্বাস দেন যে আর শারীরিক নির্যাতন করবেন না।

৩০/০৫/২২ তারিখ দুপুর ২.৪০ এ ক্লাসে আমার কাছে একটা ফোন আসে, জানতে পারি আমার মা আর বেঁচে নেই। নিজেকে সামলে দ্রুততার সাথে রাজশাহী আসি। এসে আমার মায়ের মৃতদেহ দেখি,যে ঘরে আমার মা নামাজ পরতেন, সেই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন, আর তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। আমার বোন আরও আগে পৌঁছেছিল, আপু আমাকে জানায় আঘাতের চিহ্নগুলো আরও পরিষ্কার ছিল আপু যাওয়ার পর পর।রাজশাহী চন্দ্রিমা থানার পুলিশ আমার আগেই উপস্থিত আমাদের বাসায়। চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন এরপর শুরু করলেন আরেক খেলা। আমার মায়ের শরীরের আঘাতের চিহ্নগুলো মৃত্যুর পর শুইয়ে রাখার জন্য হয়েছে এরকম বলতে থাকলো।পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টেও সেরকমই লেখা হল।জানি না আমার বাবা পুলিশের লোক দেখেই হয়তো পুলিশের এই বিষয়টি এত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।


আমার মাকে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হল রাত আটটার দিকে। এরপর আমার মায়ের লেখা সুইসাইড নোট খুঁজে পাই আমার ড্রয়ার থেকে। যেখানে আমার মা স্পষ্ট লিখে গেছেন তার সাথে কি কি করা হয়েছিল। রাতেই থানায় যোগাযোগ করলাম অভিযোগের জন্য, ওসি এমরান হোসেন নোট দেখে বললেন, এসব অভিযোগ লাগবে না,অপমৃত্যু মামলার তদন্তেই সব বেড়িয়ে আসবে। আমার বাবা তার চাকরিসূত্রে পাওয়া প্রভাব বা টাকার ক্ষমতা দেখানো শুরু করে ফেলল। পরেরদিন ৩১/০৫/২২ তারিখে আমার মায়ের দাফন শেষে আমার বাবার গ্রামের সোনা চোরাকারবারি জামায়াতের দল আমাকে বাড়ি থেকে মারধোর করে বের করে দিল। আমি আমার বোনের কাছে এসে আশ্রয় নিলাম।

আমার বাবার মামাতো ভাই, রাজশাহী মেডিকেলের নিউরো মেডিসিনের অধ্যাপকের অনুরোধে আমার মায়ের পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট দেরী হতে থাকলো, এক মাস পর রিপোর্ট পাওয়া গেল। রিপোর্টে আমার মায়ের শরীরে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। এরপর ওসি এবং তার ইনভেস্টিগেটর অফিসার ঘুরাতে শুরু করলো, তারা বলে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পায়ই নি। এদিকে আমার বাবা ফোনে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন,রাজশাহী গেলে আমাকে কেটে ফেলে দিবে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার দুই মাস পর, আমার মা মারা যাওয়ার তিন মাস পর থানা যাও বা স্বীকার করলো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেছে, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই, কারও বিরুদ্ধে নাকি কোন অভিযোগ হয় না এগুলোর হিসাবে।

আমার দাদাবাড়ির লোকেরা প্রপার্টির লোভে আমাকে দূরে সরাতে পারলে বাঁচে। এক ঝটকায় আমি পরিবারহীন,বাড়িঘরহীন অনাথ হয়ে গেলাম। অভিযোগের জায়গাটা পর্যন্ত নেই। এমন একটা মানুষে পরিণত হলাম যার অস্তিত্ব নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। আমি থাকা বা না থাকা একই কথা। শেষ মুহূর্তে আমার মা কেমন অসহায় একা অনুভব করেছিল সেটা অনুভব করতে পারি। বেঁচে থাকার কোন কারণ কেন খুঁজে পান নি, কেন বেঁচে থাকতে চাননি বুঝতে পারছি।

হুমায়ূন আহমেদ তার তিন ডব্লিউয়ের শেষ পর্যন্ত লিখে গেছেন, "এখন মনে হয় শীলা বুঝে গেছে—পৃথিবীতে খারাপ বাবাও আছে। যেমন, তার বাবা।"

   

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই



জবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিক (২৮) সহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল (৩৪) নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রোববার (০৫ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক (২৮), দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার (২৭), তৃতীয় রিপন (২৮), চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় (২৮) এবং পঞ্চম হিমু (২৯) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিগণ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ফয়সাল হেলালকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। হেলাল জীবনের ভয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হতে বিরত থাকে। গত ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বাণিজ্য করে তার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা কালেকশন করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌঁছানো মাত্র ১নং আসামি মো. মহিউদ্দিন অনিক এর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিগণ বাদীর গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং বাদীর নিকট যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।

বাদী আসামিদের ভয়ে আসামিদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। তখন আসামিগণ বাদীর পিছনে পিছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে ধরে বাদীর নিকট থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২নং আসামি বাদীকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ১নং আসামি বাদীর পকেটে থাকা দুই লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামি বাদীর নিকট আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামিগণ বাদীকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩নং আসামি তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামিদের হাত হইতে রক্ষা করে। ফলে আসামিগণ বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে, অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

যেহেতু আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে বাদীকে অবৈধভাবে গতিরোধ করে আটক করে মারধর করে মারাত্মক আঘাত করে আহত করে এবং হত্যা করার চেষ্টা করে বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে ২ লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। এবং বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বাদী এ বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরে বাদী এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ, মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই বাদী বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।

;

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হল নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোববার (০৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়।

পাঁচ হলের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস, শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাছুম।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকতেছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে। উপাচার্যের এ দাবি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিকভাবে অপমানজনক। আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণও এ ধরনের মন্তব্যকে অনৈতিক বলে মনে করেন। হলসমূহে অস্ত্র কিংবা টাকা ঢুকছে না। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে সারাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষগণও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৯৩তম সিন্ডিকেটের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুতই প্রজ্ঞাপন জারি করে আবাসিক হলগুলো খুলে দিকে হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘হলে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থ ঢুকছে।’ এ মন্তব্য দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি! আমাদের হাতে যে কেউ টাকা, অস্ত্র ধরিয়ে দিলে আমরা বিক্রি হয়ে যাব? এ হলসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে। এখানে অনেকেই আছে যারা টিউশন করে পরিবারের খরচ চালায়। অনেক কষ্টে তারা পড়াশোনা করে। এ ধরনের মন্তব্য তাদের পরিশ্রমকে ছোট করে। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য একজন উপাচার্যের মুখে মানায় না। তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হেয় করেছেন, আমাদের অপমান করেছেন, আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছেন। উপাচার্যের উচিততার এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য সকল সাধারণ এবং পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে নিতে হবে। এরজন্য উপাচার্য মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। যেখানে ফর্মাল-ইনফর্মাল অনেক কথাই থাকে৷ যে সিন্ডিকেট সদস্য এ কথা সিন্ডিকেটের বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি সিন্ডিকেটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অফিসিয়াল বক্তব্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণ হিসেবে একথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

;

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ১০ শিক্ষার্থীকে 'এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন' কর্তৃক স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল ১১টায় গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জেসমীন আখতারের সভাপতিত্বে চতুর্থ এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়৷

এবছর এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ জন ও স্নাতক পর্যায়ে ৫ জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হন৷ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৃতি বিশ্বাস (স্নাতকোত্তর ২০১৭), খন্দকার ফাহাদ মিয়া (স্নাতকোত্তর ২০১৮), রুবিনা বেগম তানজিলা (স্নাতকোত্তর ২০১৯), মোছা: মরিয়াম সুলতানা (স্নাতকোত্তর ২০২০), মোছা. হালিমাতুজ সাদিয়া (স্নাতকোত্তর ২০২১)৷ মো. মিহির আমিন (স্নাতক ২০১৭), সাথী খান (স্নাতক ২০১৮), মোছা. মরিয়াম সুলতানা (স্নাতক ২০১৯), মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ (স্নাতক ২০২০), এবং বিটু জয়ধর (স্নাতক ২০২১)।

স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘যেসকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই পদক অর্জন করেছে, এটা তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে সাফল্য অর্জন করুক সেই কামনা রইলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম, বিভাগের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা।

;

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে সমাবর্তন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় -২ অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আগামী ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ও সভাপতিত্ব করার সম্মতি প্রদান করেছেন।

;