শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে ব্যয় কিছুটা বেশি: বিইউপি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে ব্যয় কিছুটা বেশি: বিইউপি

শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে ব্যয় কিছুটা বেশি: বিইউপি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) সরকারি বরাদ্দের ৬০ শতাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন পরিশোধে ব্যয় হয়। বাকি ৪০ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা সম্ভব হয়। মানসম্মত্ব শিক্ষা প্রদানে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বিইউপিতে ব্যয় কিছুটা বেশি। তবে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার বিইউপি’র পাবলিক রিলেশন্স, ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (পিআরআইপি) তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বিইউপি কর্তৃপক্ষ।

আলোচনায় পিআরআইপির চিফ এয়ার কমডোর মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে বিইউপির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কোর্সের চতুর্থ ব্যাচ শুরু হতে যাচ্ছে। চাহিদা সম্পন্ন গণমাধ্যমকমী তৈরি করা হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। চার বছরের এই কোর্সের জন্য ৪২টি কোর্স কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে। আট সেমিস্টার পর শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিখতে ১৩ সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। এ সময়ে তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইন্টার্নি করার সুযোগ পাবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মামুনুর রশীদ বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মিডিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক সমিতি গঠন করতে পারবে। যেহেতু এটি বিইউপি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয় এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বিইউপিতে শিক্ষাব্যয় কিছুটা বেশি। সরকারি বরাদ্দের ৬০ শতাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনে ব্যয় হয়ে থাকে। ৪০ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা সম্ভব হয় বলে শিক্ষার্থীর ব্যয় কিছুটা বেশি। বিইউপি’র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষা, বাস্তব অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ করে তোলা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যয় কিছুটা বেশি বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় বিইউপির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তরের পরিচালক, বিইউপির কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

   

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;