কুবিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক মনোনীত ৫ নারী শিক্ষার্থী: স্বপ্ন দেখেন শিক্ষকতার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী মনোনীত হন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৯ এর জন্য৷ এবারের মনোনীতদের প্রত্যেকেই নারী৷ মূলত স্নাতক ও সমমানের পরীক্ষাগুলোতে ভালো ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) শিক্ষার্থী মনোনীত করে৷ এই বছর সারা দেশ থেকে ১৭৮ জনকে মনোনীত করা হয়৷
কুবি থেকে এই বছর মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সনিয়া আক্তার, ইংরেজি বিভাগের নূর-ই জাহান তাহিন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তাসলিমা আক্তার, আইসিটি বিভাগের তাসপিয়া সালাম ও ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের রিপা আক্তার।
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন রিপা আক্তার। এর আগে কুবির প্রথম সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ডিন'স অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন৷ স্বপ্ন দেখেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার৷
তিনি বলেন, 'শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফলের জন্য পুরস্কার পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছি এটা সত্যি অনেক আনন্দের বিষয়। আমার এই অর্জনে পরিবারের সবাই অনেক খুশি।'
'আমি প্রথম থেকেই পড়াশোনায় নিয়মিত ছিলাম। কখনো ক্লাস ফাঁকি দেইনি। বিভাগের প্রথম ব্যাচ হিসেবে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সবকিছুর মধ্যেও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে আজকে আমার এই অর্জন। ছোটবেলা থেকে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। স্বপ্ন দেখছি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার বলেন, 'প্রথমত সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় খুবই ভালো লাগছে, এটা আনন্দের বিষয়।'
তিনি বলেন, 'বর্তমানে আমি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার সাথে সংযুক্ত রয়েছি এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন চাকুরির প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
'তবে ভবিষ্যতে গবেষণা নিয়ে থাকার ইচ্ছে আছে। দেশের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে।'
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সনিয়া আক্তার বর্তমানে বেসরকারি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন৷ তাঁর লক্ষ্য তিনি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন৷
সনিয়া আক্তার বলেন, শিক্ষকতা আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি, কোনো একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবো এইটাই আপাতত লক্ষ্য।
স্বর্ণপদক মনোনয়নের ব্যপারে তিনি বলেন, 'যেকোনো পুরস্কার পেতেই ভালো লাগে। আর এইটা তো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর থেকে। তাই এটার গুরুত্ব অনেক বেশি আমার কাছে। আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।'
'আমার এই জার্নিটা মোটেই সহজ ছিল না, অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এই সময় অনেকেই আমার পাশে ছিলেন৷'
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে আহ্বান করার পাশাপাশি তাঁরা বলেন, প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করলেই ভালো করা সম্ভব। যাদের চাকরি করার ইচ্ছা আছে একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি তারা যেন শুরু থেকেই চাকরির পড়ালেখা করে। যে যেই ক্ষেত্রেই থাকুক না কেন কুবিকে যেন ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য এগিয়ে যেতে হবে।