বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জবি শিক্ষককে অব্যাহতি

  • জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে একই বিভাগের এক শিক্ষককে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণিত বিভাগের একাডেমিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অব্যাহতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. বি. এস. মাণিক মুন্সী এবং ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী একই বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক তার নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ এক বছর প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষক তার নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু গত বুধবার ওই শিক্ষকের নিজ কক্ষে ওই নারী শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে দীর্ঘসময় ধরে দরজা বন্ধ অবস্থায় বিভাগের অন্য একজন শিক্ষকের নজরে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর ওই নারী শিক্ষার্থী শিক্ষককে বিয়ে করতে বললে তিনি আপত্তি জানায়। পরবর্তী পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণিত বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, তিনি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিভাবে এমন একটি জঘন্য কাজ করতে পেরেছে আমরা সবাই হতবাক। যদি বিষয়টি হাতেনাতে ধরা না পড়তো তাহলে হয়তো আড়ালে থাকতো। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে মধু এবং পানি পড়া পর্যন্ত খাইয়েছেন কারণ ওই শিক্ষার্থীর আচরণ নাকি অস্বাভাবিক আমাদের বলেছেন।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এ. বি. এস. মাণিক মুন্সী বলেন, আমি এ বিষয় নিয়ে আপনাকে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যা বলার আমার বিভাগের চেয়ারম্যানকে বলব।

বিষয়টি নিয়ে জানতে গণিত বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম বলেন, আমাদের বিভাগের একজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আমরা বিষয়টি বিভাগের একাডেমিক সভায় তুলেছি এবং প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি।