এপিএ মূল্যায়নে ১০ ধাপ এগিয়েছে রাবি



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে গত বছরের তুলনায় ১০ ধাপ এগিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তৈরি এই তালিকায় ১০০ নম্বর মধ্যে ৫৯ দশমিক ২৬ নম্বর পেয়ে ৩৪তম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে গত বছর ১৯ দশমিক ৯০ নম্বর পেয়ে ৪৪তম অবস্থান ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক কর্মসম্পাদনা, সেবা উন্নয়ন ও উদ্ভাবন শাখার সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং এপিএ কমিটির উপ-পরিচালক ও ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্যটি জানানো হয়েছে।

ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, এপিএ মূল্যায়নের এই তালিকাটি ছয়টি বিষয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে কৌশলগত উদ্দেশ্য বিষয়ে ৭০ নম্বর, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় ১০, ই-গভর্ন্যান্স বা উদ্ভাবন পরিকল্পনায় ১০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনায় ৪, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩ এবং তথ্য অধিকার কর্ম পরিকল্পনায় ৩ নম্বর রয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কৌশলগত উদ্দেশ্য বিষয়ে ৪৭ দশমিক ৪৯ নম্বর, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় ১ দশমিক ২৪, ই-গভর্ন্যান্স বা উদ্ভাবন পরিকল্পনায় ৪, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনায় ২ দশমিক ৭২, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ০ দশমিক ৭১ এবং তথ্য অধিকার কর্ম পরিকল্পনায় ৩ নম্বর মিলিয়ে ৫৯ দশমিক ২৬ স্কোর পেয়েছে।

যেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে শুধুমাত্র কৌশলগত উদ্দেশ্য বিষয়ে ১৯ দশমিক ৯ পেয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বাকি ৫টি বিষয়ে কোনো নম্বরই ছিলো না এই প্রতিষ্ঠানটির।

এক বছরের ব্যবধানে ১০ ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি দফতরে যাতে সঠিকভাবে কার্যক্রম সম্পাদিত হয় এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত হয় সেজন্য এপিএ পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গত বছরে এই বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। যার ফলে অত্যন্ত নিম্নমান পরিলক্ষিত হয়েছে গত বছর। কিন্তু আমরা বিষয়টি জানার পরপরই এ ব্যাপারে যত্নবান হই। আমাদের এখানে যারা এ বিষয়ে দায়িত্বে ছিল তাদের নিয়ে আমরা কয়েকবার মিটিং করেছি। মিটিং করার পর জিনিসটি আমরা অনেকাংশেই এখন বুঝে গেছি। এর ফলেই একবছরে আমরা ১০ ধাপ এগিয়েছি।

সামনের বছরে পূর্ণাঙ্গ নম্বরের কাছাকাছি নম্বর পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে উপ-উপাচার্য আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের যে প্রকৃত কাজ সম্পাদিত হচ্ছে, সে কাজগুলো সঠিকভাবে তুলেই আমাদের মূল্যায়ন হোক। এক্ষেত্রে যদি সার্বিক উন্নয়ন করতে হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রতিটি শাখার সকলকে সমানভাবে সহযোগিতা করতে হবে। কোনো এক জায়গায় গাফিলতি হলেই কিন্তু আমাদের এই মানটি নিম্নগামী হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। আমি গতকাল (মঙ্গলবার) সকল ফোকাল পয়েন্ট এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আলোচনা করে এখানে আমাদের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা চাই পূর্ণ নম্বরের কাছাকাছি নম্বর পেতে।

প্রসঙ্গত, সেবায় গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে বর্তমান সরকার ২০১৪-১৫ সালে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করে। এর মাধ্যমে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত, সক্ষমতার উন্নয়ন, সব স্তরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

   

জাবিতে ঝুলন্ত অবস্থায় কর্মচারীর ছেলের মরদেহ উদ্ধার



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ (২৪) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত জিসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনি হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে।

সোমবার (৬ মে) সকাল আনুমানিক ৬টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৃতের বড়ভাই ওয়ালি উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে জানান, আমার ভাইয়ের সাথে গতকাল রাত ৮টার দিকেও কথা হয়েছিল। সে আমাকে ফোন দিয়ে আমার কাছে ও পরিবারের সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ও প্রায়ই কোনো বিষয়ে নিয়ে রাগ করলে এমন করতো। গতকাল সন্ধ্যায় ও দেরি করে ঘরে ফেরায় মা ওরে বলছে এতো দেরি করে আসলে গরুর খাবার দিবে কে। এরপরই জিসান কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত,মৃত জিসান পরিবারের সাথে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনের একটা বাসায় থাকতেন। তাদের পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানার চক শারদিতে। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা শেষে তিনি একটি গরুর খামারের দেখাশুনা করতেন। আমারা ধারণা করছি আমার ভাই বৃষ্টির আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার দারোগা আসলাম জানান, জিসানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের মাধ্যমে আশুলিয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

;

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই



জবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিক (২৮) সহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল (৩৪) নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রোববার (০৫ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক (২৮), দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার (২৭), তৃতীয় রিপন (২৮), চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় (২৮) এবং পঞ্চম হিমু (২৯) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিগণ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ফয়সাল হেলালকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। হেলাল জীবনের ভয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হতে বিরত থাকে। গত ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বাণিজ্য করে তার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা কালেকশন করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌঁছানো মাত্র ১নং আসামি মো. মহিউদ্দিন অনিক এর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিগণ বাদীর গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং বাদীর নিকট যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।

বাদী আসামিদের ভয়ে আসামিদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। তখন আসামিগণ বাদীর পিছনে পিছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে ধরে বাদীর নিকট থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২নং আসামি বাদীকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ১নং আসামি বাদীর পকেটে থাকা দুই লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামি বাদীর নিকট আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামিগণ বাদীকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩নং আসামি তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামিদের হাত হইতে রক্ষা করে। ফলে আসামিগণ বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে, অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

যেহেতু আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে বাদীকে অবৈধভাবে গতিরোধ করে আটক করে মারধর করে মারাত্মক আঘাত করে আহত করে এবং হত্যা করার চেষ্টা করে বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে ২ লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। এবং বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বাদী এ বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরে বাদী এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ, মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই বাদী বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।

;

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হল নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোববার (০৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়।

পাঁচ হলের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস, শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাছুম।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকতেছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে। উপাচার্যের এ দাবি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিকভাবে অপমানজনক। আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণও এ ধরনের মন্তব্যকে অনৈতিক বলে মনে করেন। হলসমূহে অস্ত্র কিংবা টাকা ঢুকছে না। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে সারাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষগণও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৯৩তম সিন্ডিকেটের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুতই প্রজ্ঞাপন জারি করে আবাসিক হলগুলো খুলে দিকে হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘হলে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থ ঢুকছে।’ এ মন্তব্য দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি! আমাদের হাতে যে কেউ টাকা, অস্ত্র ধরিয়ে দিলে আমরা বিক্রি হয়ে যাব? এ হলসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে। এখানে অনেকেই আছে যারা টিউশন করে পরিবারের খরচ চালায়। অনেক কষ্টে তারা পড়াশোনা করে। এ ধরনের মন্তব্য তাদের পরিশ্রমকে ছোট করে। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য একজন উপাচার্যের মুখে মানায় না। তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হেয় করেছেন, আমাদের অপমান করেছেন, আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছেন। উপাচার্যের উচিততার এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য সকল সাধারণ এবং পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে নিতে হবে। এরজন্য উপাচার্য মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। যেখানে ফর্মাল-ইনফর্মাল অনেক কথাই থাকে৷ যে সিন্ডিকেট সদস্য এ কথা সিন্ডিকেটের বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি সিন্ডিকেটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অফিসিয়াল বক্তব্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণ হিসেবে একথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

;

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ১০ শিক্ষার্থীকে 'এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন' কর্তৃক স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল ১১টায় গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জেসমীন আখতারের সভাপতিত্বে চতুর্থ এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়৷

এবছর এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ জন ও স্নাতক পর্যায়ে ৫ জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হন৷ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৃতি বিশ্বাস (স্নাতকোত্তর ২০১৭), খন্দকার ফাহাদ মিয়া (স্নাতকোত্তর ২০১৮), রুবিনা বেগম তানজিলা (স্নাতকোত্তর ২০১৯), মোছা: মরিয়াম সুলতানা (স্নাতকোত্তর ২০২০), মোছা. হালিমাতুজ সাদিয়া (স্নাতকোত্তর ২০২১)৷ মো. মিহির আমিন (স্নাতক ২০১৭), সাথী খান (স্নাতক ২০১৮), মোছা. মরিয়াম সুলতানা (স্নাতক ২০১৯), মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ (স্নাতক ২০২০), এবং বিটু জয়ধর (স্নাতক ২০২১)।

স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘যেসকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই পদক অর্জন করেছে, এটা তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে সাফল্য অর্জন করুক সেই কামনা রইলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম, বিভাগের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা।

;