ভেঙে পড়ছে মুহসীন হলের ছাদের পলেস্তারা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহম্মদ মুহসীন হলে প্রতিনিয়তই ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। যার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এসব রুমের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হলের অধিকাংশ রুমেই রুমের ছাদের পলেস্তারা ফেঁটে গেছে এবং ছাদ প্রায়ই খসে পড়ছে। ২য় তলায় একপাশে ভেঙে পড়ে আছে রেলিংয়ের একাংশ। এমতাবস্থায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যথাসময়ে সংস্কার করা না হলে পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে জগন্নাথ হলের সেই ট্রাজেডির। এমন আশঙ্কাই করছেন হলটিতে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুহসিন হলের ২৪৪, ২৪৮, ৩৪৮, ৩৪৪ সহ আরো কিছু রুমের ছাদ এর পলেস্তারা খসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাছাড়াও ২৪৯ ও ৪৩৮ নং রুমসহ আরো কিছু রুমে ছাদের ঝুঁকি থাকায় সিলিং ফ্যান লাগানো যাচ্ছে না। 

বিজ্ঞাপন

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করে জানান, ১৫ অক্টোবরের ঘটনা থেকেও শিক্ষা নিয়ে মুহসীন হল সংস্কারে প্রশাসনের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। যদিও বেশ কিছু রুমের ছাদে পলেস্তারা ভেঙে পড়ায় সিমেন্ট দিয়ে আস্তরণ লাগানো হয়েছে তবে অধিকাংশ রুমের উপরের আস্তরণ দেয়া এখনো বাকি আছে। পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনার কারণে হলের শিক্ষার্থীরা এখন এক ধরণের আতংকে সময় পার করছেন।

রোববার (১২ নভেম্বর) এই হলের ২৪৪ নং রুমের ছাদ থেকে ভোর ৬ টার দিকে অনেকটা পলেস্তারা (আস্তরণ) ভেঙ্গে ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের উপরে পড়ে। এতে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান ওই রুমের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। 

বিজ্ঞাপন

হলের ২৪৪ নং রুমে বসবাসরত শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বার্তা২৪.কম'কে জানান, টুকরোগুলো পায়ের দিকে পড়ায় এবং কম্বল থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা ভোর ৬ টায় হঠাৎ পলেস্তারা ভেঙে পড়ার শব্দে জেগে উঠে এ অবস্থা দেখি। আমার পাশে যে শুয়েছিল সে অনেক ভয় পেয়ে গেছে এ ঘটনায়।

এর আগে এ হলের শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পেইজে প্রায়ই লক্ষ্য করা যেত বিভিন্ন রুমে এমন ঘটনার তথ্য। নিয়মিতই শিক্ষার্থীরা এমন ঘটনার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বড় দুর্ঘটনার।

হলে বসবাসরত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের রহমান বলেন, আমাদের মুহসীন হলের রুমগুলো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আরেকটি সমস্যা হল, হলের দুইটা লিফটের অবস্থা শোচনীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ। লিফট দুটো অনেক আগের হওয়ায় প্রায়ই নষ্ট থাকে। যার ফলে দিনব্যাপি লিফট চলে না। সাময়িক সময়ের জন্যে চালু থাকে। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। আমরা হলের বাকি তলাগুলো সংস্কার করেছি। দ্বিতীয় তলা সংস্কারের কাগজপত্র ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা এর ব্যবস্থা করছি।