চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি

আন্দোলনে শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে ২৬টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি আদায়ের জন্য সাত দিনের আল্টিমেটামও দেওয়া হয়।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।

দাবিগুলো হলো- অতিসত্বর সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট এবং একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন দিতে হবে।

>> শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে নিয়োগ-বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করতে হবে।

>> শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ডে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন অনেক প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে।

>> পক্ষপাতদুষ্ট ও বিতর্কিত এ সকল নির্বাচনী বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন বিভাগে স্থায়ী/অস্থায়ী ভিত্তিতে গণহারে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

>> সিন্ডিকেট সভায় নির্বাচনী বোর্ড বা সিন্ডিকেট প্রযোজন মনে করলে বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত নিয়োগ দিতে পারবে মর্মে গৃহীত রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিপন্থী ও বেআইনি সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।

>> সিন্ডিকেট সভায় বিভাগ থেকে চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত এ সকল প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপককে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই স্থায়ী করা যাবে' মর্মে গৃহীত বেআইনি এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্ট পরিপন্থী সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।

>> নির্বাচনী বোর্ড বা বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে মিথ্যার আশ্রয়গ্রহণ, স্বীকৃত ও মানসম্পন্ন জার্নালের প্রকাশনাকে অস্বীকার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষকগণের পদোন্নতিতে অন্যায়ভাবে বাধা সৃষ্টিকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, এবং অতিসত্বর ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়ে আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে।

>> সম্মানিত শিক্ষকগণকে অযাচিত হয়রানি থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সহকারী অধ্যাপকের ন্যায় সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে।

>> পালি বিভাগের সভাপতি শাসনানন্দ বড়ুয়া রুপন এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর আবদুল হকের বিরুদ্ধে গঠিত হয়রানিমূলক তদন্ত কমিটি অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।

>> অতিসত্বর চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষকদের জন্য অতীতে বিদ্যমান চিকিৎসাকেন্দ্র, ক্লাব এবং গেস্ট হাউস সুবিধা চালু করতে হবে।

>> শিক্ষকদের যাতায়াত সংকট নিরসনের জন্য অতিসত্বর নতুন শিক্ষক বাস (এসি) ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> অবিলম্বে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৪ জুন ২০১৮ থেকে অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এবং তদুর্ধ্ব গ্রেডের শিক্ষকগণকে যথাক্রমে মাসিক ৩,৩০০/- এবং ৪,৭২০/- টাকা হারে ইন্টারনেটসহ টেলিফোন নগদায়ন ও মোবাইল ভাতা এককালীন এবং এর পর থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> দেশের অন্যান্য সরকারি/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অবিলম্বে শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের পারিতোষিক এবং বিভিন্ন দায়িত্ব ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> সম্মানিত শিক্ষকগণের পরীক্ষার পারিতোষিকসহ বিভিন্ন বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিলম্ব, বিশৃংখলা ও হয়রানি রোধে অবিলম্বে অটোমেশনসহ আবশ্যক অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

>> শিক্ষকগণকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৩টি অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদানের ব্যাপারে বিগত ৩১-১২- ২০২২ তারিখ অনুষ্ঠিত ৫৪০তম চবি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ৪০(ক) অতিসত্বর বাস্তবায়ন করতে হবে।

>> অবিলম্বে আবাসিক হলসমূহে নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ প্রদানসহ আবাসনের পরিবেশ ও খাবারের মান বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য শাটল ট্রেনে বগির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর শুরুতে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ব্যাপক ভাংচুর ও সম্পদহানির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

>> অবিলম্বে যে কোন ইস্যুতে যখন-তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া; শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে হুমকি প্রদান কিংবা মারধর: এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানি সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার মত নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডসমূহ মোকাবেলায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

>> একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের সভায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণ কিংবা প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সম্মানিত শিক্ষকগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং এ সকল কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্তদের দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

>> উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তসমূহকে শিথিল করার প্রস্তাব এবং তা সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

>> সিন্ডিকেটের বিভিন্ন সভার আলোচ্যসূচি যথাসময়ে সদস্যগণের নিকট প্রদান না করা, সভাসমূহে গৃহীত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সভা অনুষ্ঠানের তারিখের পর বিকৃত করা এবং যথাসময়ে সিন্ডিকেট সদস্যগণের নিকট কার্যবিবরণী সরবরাহ না করার মত অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে।

>> বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদের সভায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি কিংবা প্রশাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সম্মানিত ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকগণের সাথে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

>> মর্জিমাফিক কাজ না করার কারণে অসৌজন্যমূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকগণকে অব্যাহতি প্রদান, ফলক থেকে নাম মুছে দেয়া, কিংবা পদত্যাগকারী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদানের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে।

>> অবিলম্বে সম্মানিত শিক্ষকগণের চরিত্রহননের লক্ষ্যে বানোয়াট সংবাদ, ভিডিও চিত্র, লিফলেট ইত্যাদি তৈরী ও ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

>> শিক্ষক সমিতির দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী ঢাকাস্থ গেস্ট হাউস সুবিধার সম্প্রসারণ এবং আবাসনের মান ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

>> বর্তমানে যথাযথ পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের অভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদাক্রমের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যাহত অবনতি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য কৌশলে উপেক্ষা করে এসেছেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এসব দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা বাধ্য হয়েছি দেশের এই নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেই কর্মসূচি দিতে। প্রশাসন বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছে। তিনি সিন্ডিকেটকে একটি পর্ষদে পরিণত করেছে ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারসাম্যহীন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছেন।

সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের প্রতিটি দাবি প্রশাসন কৌশলে উপেক্ষা করে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মতো অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতিকে প্রোগ্রামের আগেরদিন দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। অথচ অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ খুবই নগন্য। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের রুটি-রুজির উসিলা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আবেগ জড়িয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। কিন্তু প্রশাসন এই দিবস উদযাপনের আগে থেকে শিক্ষক সমিতিকে কোনো কিছু জানায়নি। এভাবেই প্রতিনিয়ত শিক্ষক সমিতিকে অমর্যাদা করছে। তিনি আসলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার সক্ষমতা হারিয়েছেন। উনার নৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মতো একটি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং নেতৃত্বের দুর্বলতা থাকায় শিক্ষকগণ তার সাথে অংশগ্রহন করতে চান না।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুংখের সাথে বলতে হয় শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটা আমার জন্য সম্মানের। আমি তার সেসব হুমকিকে থোড়াই কেয়ার করি। আমার ভিত্তি আমার কমিউনিটি যারা আমাকে নির্বাচিত করেছে। আপনার এসব প্রচ্ছন্ন হুমকি আপনার জন্য দুর্ভাগ্যজনক, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। আপনি সবকিছু মুখে মেনে নেন। দিব দিচ্ছি বলেন। কিন্তু কেন?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ও অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদাসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

   

জাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৮ বাস আটক, ৬০ হাজার টাকায় মুক্তি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের হঠাৎ ব্রেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের এক ছাত্রীর বোনের প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৮টি বাস আটক করে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইতিহাস পরিবহনের চেকার জসিম হাওলাদার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকের বোন ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে আরিচাগামী রুটের বাসগুলো আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় মহাসড়কের মাঝখানের লেন থেকে একটি মোটরসাইকেল ইউটার্ন নেওয়ার সময় পিছনে থাকা ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস ব্রেক করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। তখন ইতিহাস পরিবহনের বাসের পিছনে থাকা সাভার পরিবহনের একটি বাসও ব্রেক করলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বড় বোনের ব্যক্তিগত গাড়ি ওই বাসের পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা খায়।এতে গাড়িটির সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরবর্তীতে জাবির সেই ছাত্রী তার বিভাগের বন্ধুদের ঘটনাটি জানালে তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উপস্থিত হয়ে ইতিহাস পরিবহনের ৮টি বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।

বাস আটকের বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. সাগর বার্তা২৪.কমকে জানান, আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস সাভারের শিমুলতলায় হার্ড ব্রেক করলে পেছনে থাকা সাভারের পরিবহনের একটা বাস গতি সামলাতে না পেরে আমাদের বাসের পেছনে মেরে দেয়। আর সাভার পরিবহনের বাস যখন ব্রেক কষে তখন পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকার সাভার পরিবহনের সেই বাসের পেছনে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জের ধরে সাভার পরিবহনের বাসটি না আটকে আমাদের বাসগুলো আটক করে রাখে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারে থাকা জাবি শিক্ষার্থী বলেন, এত বড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে, সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেটকারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল, জানতে চাইলে বাসের চালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৫টি বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির মধ্যে চালক-সহযোগীদের কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, আবার কেউ রাস্তায় বসে আছেন। এসময় চালক ও স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮টি বাস আটক করলেও ৩টি বাসের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা চাবি নিতে ভুলে যায়। পরে সেই তিনটি বাস চলে যায়।

প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ব্যাপারটি দফারফা করেছেন বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সাভার টু জিরানি রুটের ইতিহাস পরিবহনের চেকার মো. জসিম হাওলাদার।

তিনি বলেন, সাভার পরিবহনের বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাস আটকে রেখে তারা ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাচ্ছে। এটা কোন ন্যায়সঙ্গত কথা! তারপরও উভয় পক্ষ আলোচনা করে এক পর্যায়ে ৬০ হাজার টাকায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে গাড়ির চাবিগুলো নিয়েছি।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: জবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৮৩.০৪ শতাংশ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৮৩.০৪ শতাংশ। এদিন বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জবির কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য জানান জবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (মূল কেন্দ্র) এবং পাঁচটি উপকেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৫৭৯ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী।

উপকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৩৩৮জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জন, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬১১ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৫ জন এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ২৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন পরীক্ষায়।

উপস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে। কলেজটিতে উপস্থিত ছিল ৮৪.৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪.৩৫ শতাংশ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৮৪.১০ শতাংশ, সরকারি বাংলা কলেজে ৮৩.২৫ শতাংশ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৮৩.১৬ শতাংশ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৯.৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অর্থাৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৮১৫ জনের আসন সাজানো হলেও পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ১২৯ জন।

এদিকে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হওয়া আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায় জবি ক্যাম্পাসে ২ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৩.৪০ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১২টা থেকে দেশের ২৩টি মূল কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩ মে 'বি'(মানবিক) ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯০ শতাংশের উপরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের উপরে ছিল বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১টায় শেষ হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে এবং সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতির হার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গড় উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত আর্কিটেকচার ড্রয়িং পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তবে পরীক্ষায় তাদের গড় উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের উপরে।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ইবিতে শিক্ষকবিহীন পরীক্ষা হল!



ইবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ ২০২৩-২৪ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষকবিহীন কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণ করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলার সময় কোনো শিক্ষক ছিলেন না। এ রুমে পরীক্ষা চলার সময় ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারেরা।

এ বিষয়ে প্রধান পরিদর্শক মো. তহিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। সে কারণে ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।

ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক বলেন, পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক ছিলেন কি না, তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয়, বরং যত কর্মকর্তা সবাই পরিদর্শক। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবেন। কারণ, আমাদের যতসংখ্যক শিক্ষক তাদের সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ‘ইনভিজিলেটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আসলে এটা তো জোর-জবরদস্তির কোনো বিষয় নয় যে, কোনো শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম, তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪শ ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;