কুবি শিক্ষকের পিএইচডি নথিভুক্তকরণ নিয়ে বিতর্ক, প্রশাসনের দ্বিমুখী বক্তব্য



কুবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দকী রানা, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত)

ছবি: ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দকী রানা, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত)

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত  প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পিএইচডি (ডক্টর অফ ফিলোসফি) ডিগ্রি নথিভুক্তকরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

নথিভুক্তকরণ কমিটি সুপারিশ না করলেও তার পিএইচডি ডিগ্রি নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানান নথিভুক্তকরণ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির। তবে বিপরীত কথা বলছেন উপাচার্য। সব নিয়ম মেনেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো: আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকে কাজী ওমর সিদ্দিকীর ডিগ্রির সনদ নথিভুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিজনেস স্কুলে (পিবিএস) ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন তিনি। এসময় করোনা মহামারীর কারণে ভিসা জটিলতায় অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট আবেদন করেন কাজী ওমর সিদ্দিকী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের নভেম্বর মাসে তৎকালীন রেজিস্ট্রার আবু তাহের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন।

একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ৭৬তম সিন্ডিকেট সভার ৪৫ তম আলোচ্য সূচিতে ভিসা জটিলতার কারণে যে সকল শিক্ষককে অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় তাদের শিক্ষা ছুটি নীতিমালা অনুযায়ী ক্লাস শুরুর দিন থেকে শিক্ষা ছুটি নীতিমালা অনুযায়ী ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কাজী ওমর সিদ্দিকী শিক্ষা ছুটি নেননি। তিনি ২০২২ সালে পিএইচডির কাজে ২২ দিন, ২০২৩ সালে ২৮ দিন ও ২১ দিন মালয়েশিয়া অবস্থান করেন।

কাজী ওমর সিদ্দিকী এ ব্যাপারে জানান, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি আমার পিএইচডি ডিগ্রি চলাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম কোন পর্যায়ে আছে এবং তা শেষ করার সময়সীমা সম্পর্কে সুপারভাইজার থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর দিয়েছি। তখন প্রশাসন শিক্ষা ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে কিছু জানায়নি। এরপর আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডির কাজে ছুটি নিয়ে মালয়েশিয়াতে গিয়েছি। তখনও আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।'

এরপর ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত ৮৫ তম সিন্ডিকেট সভায় বৈশ্বিক করোনাকালীন সময়ে যে শিক্ষকদের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে উচ্চশিক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ঐ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠির মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সংগৃহীত তথ্যসহ বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

যে শিক্ষকরা করোনাকালীন উচ্চশিক্ষার্থে অনলাইনে ক্লাস চালানোর অনুমতি পেয়েছেন তাদেরকে কমপক্ষে দুই বছর সরাসরি উচ্চ শিক্ষাকার্যক্রমে অংশগ্রহণের শর্ত দেওয়া হয়। নাহয় তাদের অর্জিত এই পিএইচডি ডিগ্রী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে শর্ত দেওয়া হয় পরের বছরের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া সিন্ডিকেটের ৮৬ তম সভায়। এরই প্রেক্ষিতে কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের আরও দুই শিক্ষক একত্রে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে থাকায় সরাসরি দুই বছর অংশগ্রহণের শর্ত পুন:বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। 

পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল ৮৭ তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুধুমাত্র করোনা মহামারীর সময়ে অনলাইনে পিএইচডি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত শিক্ষকেরদের মধ্যে যাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হতে দুই বছরের কম সময় লাগবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম কোন পর্যায়ে আছে এবং তা শেষ করার সময়সীমা সম্পর্কে সুপারভাইজার থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে সরাসরি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবেই এটা নিয়মিত ডিগ্রি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

জানা যায়, সিন্ডিকেটের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তের আলোকে  কাজী ওমর সিদ্দিকী তার সুপারভাইজার থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দেন। এতে, তার সুপারভাইজার তাকে বাংলাদেশে অবস্থান করে তার কাজ সম্পাদনের অনুমতি দেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর তিনি তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৫ নভেম্বর তিনি তার অর্জিত ডিগ্রির সনদ নথিভুক্তকরণের জন্য রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিয়েছেন যা বিভাগীয় প্রধান এবং ডিন কর্তৃক সুপারিশকৃত। এই সনদ পরবর্তীতে তার সুপারভাইজার ও পুত্রা বিজনেস স্কুল থেকে ভেরিফাই হয়ে আসে। 

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'উপাচার্য স্যার আমাকে প্রক্টর বানানোর পর যারা আগের মত অনিয়ম, টেন্ডারবাজি করতে পারছে না তারাই আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমার পিএইচডি ডিগ্রি বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে; যা এক প্রকার ষড়যন্ত্র।'

ডিগ্রি নথিভুক্তকরণ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ডিগ্রি নথিভুক্তকরণের জন্য একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। ওনাকে যখন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে তখন শিক্ষা ছুটি নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা ছুটি নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নেননি। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট যখন দুই বছর শিক্ষা ছুটি নেওয়ার বিষয় আসে তখনকার বাস্তবতা হচ্ছে ওনার হাতে এত সময় ছিল না। তখন ওনার সম্ভবত পাঁচ মাস ছিল। তখন ওনার সুপারভাইজার থেকে প্রত্যয়নপত্র আনার কথা আসে। তিনি সেটা নিয়ে এসেছেন কিন্তু ওনার পিএইচডির জন্য পাঁচ মাসেও তিনি শিক্ষা ছুটি নেননি। সর্বশেষ তিনি একদিনের জন্য শিক্ষা ছুটি না নেওয়ায় নথিভুক্তকরণ কমিটি এই বিষয়ে সুপারিশ করেননি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘এটা পুরোপুরি আইন মেনেই করা হয়েছে। ৮৬ তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল কমপক্ষে দুই বছর শিক্ষা ছুটি নিতে হবে। তখন বেশ কয়েকজন শিক্ষক ৮৬ তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের আগে পিএইচডির কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন করে ফেলেছে। তখন তারা কি করবে? তখন ৮৭ তম সভায় সিদ্ধান্ত হয় সুপারভাইজারের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র আনতে হবে পিএইচডির প্রোগ্রেসের বিষয়ে। ওমর (কাজী ওমর সিদ্দিকী) সেটা করেছে এবং সেখানে তার কাজ শেষ হওয়ার কথা এবং দেশে অবস্থানের ব্যাপারে তিনি কোন আপত্তি জানাননি। ফলে সবকিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে।'

 

   

জাবিতে প্রথমবারের মত গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর সহযোগিতায় 'নেভিগেটিং কমপ্লেসিটি: ইন্টার ডিসিপ্লিনারি পারসপেক্টিভস অন সোশ্যাল চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন গবেষক রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গৌরবের। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪- এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সাথে যৌথভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে।

এসময় তিনি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স আয়োজনকে প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগ একসাথে ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়গুলোর ওপর যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা যায়, এটাই আমাদের এই গবেষণা সম্মেলনের প্রয়াস। এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় একটি শুভ সূচনা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে আরো বেশি যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক ও গবেষকগণ। মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সোশ্যাল জাস্টিস, গ্লোবালাইজেশন, কালচারাল ডাইভারসিটি, গভার্ন্যান্স এবং টেকনোলজি ও ইনোভেশনের মত চমকপ্রদ কিছু বিষয়।

এদিকে বিকাল ৩টায় আয়োজনের দ্বিতীয় অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ৷

কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. দারা শামসুদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল হক ও আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রকল্পের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।

উল্লেখ্য, প্রথমবার আয়োজিত এই কনফারেন্সে ৯টি প্লেনারি সেশনে ৭০ টি গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার সারসংক্ষেপ করেন।

কনফারেন্স উপলক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রকাশিত বই এবং বিভাগের জার্নাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মে এবং ৭ মে দুইদিন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনে আয়োজনে বইমেলা চলছে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ইউপিএল তাদের সমস্ত বইয়ে শিক্ষকদের জন্য ৩০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ছাড় দিবে।

;

জবিতে বাড়ল একাডেমিক ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ডকুমেন্টস/সেবাসমূহের ফি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-তম সিন্ডিকেট সভায় সেবাসমূহের ফি বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদ, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ানো করা হয়েছে। মূল সনদের ফি ছিল ৪০০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৬০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদের সংশোধন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

অনার্স-মাস্টার্সের সাময়িক সনদ ও সংশোধন ফি পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ৫০ টাকা এবং দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাময়িক সনদ ও সনদের সংশোধনের ফি ছিল ২৫০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৩০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

অনার্সের ট্রান্সকিপ্টে পূর্বের নির্ধারিত ফি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টকা এবং মাস্টার্সের ফি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অনার্স-মাস্টার্সের সেমিস্টার গ্রেডশীট ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে তবে ফাইনাল গ্রেডশীটে ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। সেটি পূর্বের নির্ধারিত ২৫০ টাকা রয়েছে।

অনার্স-মাস্টার্সের নম্বরপত্র ও নম্বরপত্র সংশোধনের ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রবেশপত্রের দি-নকল ও সংশোধনের ফি যথাক্রমে পূর্বের নির্ধারিত ২০০ টাকা ও ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রত্যয়নপত্রের ফি পূর্বের নির্ধারিত ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকায় উন্নীত করেছে।

দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের ফি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সামরিক, আধাসামরিক প্রতিষ্ঠানের ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়।

বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন এবং ইমেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রেরণ করা যাবে বিনামূল্যে তবে ডাকযোগে প্রেরণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ ইউএস ডলার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে ডকুমেন্টস সিলগালা করণের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও সকল প্রকার জরুরি সেবার ফি পূর্বের নির্ধারিত ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে।

ফি বৃদ্ধির কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

;

হালনাগাদ হয় না জবির ওয়েবসাইট! পুরনো ম্যাপে বিভ্রান্তি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ম্যাপ দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামোর সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়া তথ্য হালনাগাদ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটের ম্যাপ বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

ম্যাপে দেখা যায়, নতুন ভবন (বিবিএ ভবন) এখনো ৭ তলা ভবন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি ১৬ তলা ভবন। ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে বাণিজ্য ভবন হিসেবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকা ইউটিলিটি ভবন ও জুলফা মাহমুদ ভবনের কোনো অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুরোনো ম্যাপে।

ম্যাপ বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গণিত বিভাগের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং কলা অনুষদে নির্মিত মুজিব মঞ্চও সংযোজিত হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও স্থান পায় নি ম্যাপে।

আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনকে উল্লেখ করা হয়েছে বাগান হিসেবে। বিজ্ঞান অনুষদে টেনিস গ্রাউন্ড ও বাস্কেটবল মাঠ নির্ধারিত থাকলেও সেখানে নেই মাঠের নির্ধারিত সীমানা, নেই বাস্কেট বলের নেট বা টেনিস কোর্টের জাল টানানোর খুঁটি। টেনিস গ্রাউন্ড এবং বাস্কেটবল মাঠ এখন ব্যবহৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের গ্যারেজ হিসেবে।

এছাড়াও পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ম্যাপে পোগোজ স্কুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি ২০২৪ সালের নতুন ডায়েরি।

ফরিদপুর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সিট পড়েছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের ৮ তলায়। জবির ওয়েবসাইটের ম্যাপে ঢুকে দেখি সেই বিল্ডিং ৭ তলা। এতে কিছুটা অবাক হই। পরে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে বুঝতে পারি ম্যাপ আপডেট করা হয় নি।

টাঙ্গাইল থেকে আগত আজিজুল হাকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সিট পড়েছিল ইউটিলিটি ভবনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপে ইউটিলিটি নামে কোনো ভবন নেই। এতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো ভুল করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে ইউটিলিটি ভবন আছে ক্যাম্পাসে। তবে সেটা ম্যাপে উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো জয়েন করেছি। জয়েন করেই নতুন ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছি। নতুন ওয়েবসাইটের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। নতুন ওয়েবসাইট আরও আধুনিক হবে এবং সেখানে সবকিছুই প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে। তখন আর এমন কোনো ত্রুটি থাকবে না।

;

৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন হওয়ায় আগামীকাল ৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষা কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৮ মে, বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ০৮ মে, ২০২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

;