নিহত জবি শিক্ষার্থীর স্মরণে শোকসভার আয়োজন



জবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার অভির স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি মাওয়া যাওয়ার পথে বান্ধবীসহ মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন অভিজিৎ হালদার অভি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ, তার বান্ধবী অনন্যা হালদার অন্তু মারাত্মকভাবে আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

অভিজি্তের অকাল মৃত্যুতে তার সহপাঠী পল্লব মোল্লা বলেন, অভিজিৎ আমার খুব ভালো বন্ধু। অভিজিৎ এর অকাল মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ। অভিজিতের স্মরণে আমরা ডিপার্টমেন্ট থেকে কম্বল বিতরণ করেছি। তার বান্ধবী এখন আশঙ্কামুক্ত। অভিজিৎ এর পরিবারের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তার এভাবে চলে যাওয়া আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান লাইসা আহমদ লিসা শোকসভায় অভিজিৎকে স্মরণ করে বলেন,"অভিজিৎ খুবই নম্রভাষী এবং নরম মনের মানবিক মানুষ ছিল। কারো সাথে বিবাদে জড়ায়নি কখনো। তার এই মৃত্যুতে আমরা খুব শোকাহত। তার বাবা-মায়ের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। একমাত্র ছেলে হারানোর বেদনা কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তারা। আমি অভির আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এছাড়াও তিনি আরও জানান, আহত শিক্ষার্থীর অন্তুর চিকিৎসায় কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

অভিজিৎ এর স্মরণে বিভাগ থেকে শোকবইতে স্বাক্ষর ও অনুভূতি গ্রহণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। শোকসভায় বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সকল শিক্ষকগণ, অভিজিৎ এর সহপাঠী ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

   

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সেমিনার অনুষ্ঠিত



জাককানইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের আয়োজনে গবেষণা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গবেষণা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সেমিনারে কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ‍্যাপক ড. কায়কোবাদ।

অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত সংলাপ শেষে স্নাতকে থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণা অনুরাগী হওয়ার, গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন। 

তিনি  আরো বলেন,স্নাতকে থাকাকালীন আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশ করো, বিভিন্ন ধরনের জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কর। নিজেদের যোগ্যতা প্রকাশ করতে পারলে তোমরা পৃথিবীর যেকোন জায়গায় ই মূল‍্যায়ন পাবে।

অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদকে অনুষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। 

এসময় তিনি বলেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ আমাদের সকলের জন্য আদর্শ। তিনি আমাদেরকে সময় দিয়েছেন যার ফলে আমাদের ছাত্রছাত্রী শিক্ষকরা দারুণ উপকৃত হবে। আমি তো চাই স্যার সবসময় আমাদের বিজ্ঞান অনুষদের একজন অভিভাবক হিসেবে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে যাবেন।

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ‍্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ইলেকট্রিকেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সহযোগী অধ‍্যাপক কাজী মো. সাহিদুজ্জামান।

;

শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করলেন বাকৃবি গবেষক



বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন এবং স্ত্রী-পুরুষ শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম ও তার গবেষক দল। 

অধ্যাপক ও গবেষক তাসলিমা খানম বলেন, জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অফ সায়েন্সের অর্থায়নে ২০২২-২০২৪ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্সিং কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরিকৃত ড্রাফট জিনোম ব্যবহার করে সম্ভাব্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে যা যেকোনো দেশীয় মাছের ক্ষেত্রে প্রথম।

এছাড়া গবেষণা প্রকল্পটির ফলাফল জাপানিজ সোসাইটি অফ ফিশারিজ সায়েন্স আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাসলিমা খানমের নেতৃত্বে গবেষক দলে ছিলেন বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক।

ড. তাসলিমা খানম তার গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, কিছু কিছু মাছের ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদে স্ত্রী ও পুরুষ মাছের দৈহিক বৃদ্ধির পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। শিং মাছ এর অন্যতম উদাহরণ। যেখানে স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ মাছ অপেক্ষা ৪০-৬০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এই মাছের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তেলাপিয়ার ন্যায় মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনকে অন্যতম উপায় হিসেবে মনে করা হয়। সফলভাবে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনের জন্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। 

তিনি আরো বলেন, লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তের ফলে প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কার অ্যাসিসটেড সিলেকশনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শিং মাছ প্রজননক্ষম হওয়ার অনেক আগেই স্ত্রী ও পুরুষ মাছ সনাক্তকরণ সম্ভবপর হবে যা প্রচলিত সিলেকটিভ ব্রিডিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। শিং মাছের জিনোম থেকে শুধুমাত্র লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিনই নয়, অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন দৈহিক বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য দায়ী জিন শনাক্তকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

গবেষণার বিষয়ে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিং মাছ রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত। আমরা জানি পুরুষ মাছ সচারচর বেশি শক্তিশালী হয় মেয়ে মাছের তুলনায়। কিন্তু শিং মাছে তা বিপরীত। শিং মাছের ক্ষেত্রে মেয়ে মাছ বেশি শক্তিশালী হয়। মেয়ে মাছগুলো বেশি নির্বাচন করা গেলে বেশি উৎপাদন করানো যাবে। লিঙ্গ নির্ধারণ করার মাধ্যমে সহজেই তা করা সম্ভব হবে।

;

পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন চবির দুই উদ্যোক্তা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুইজন শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সমগ্র ক্যাম্পাসে টি-শার্ট ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা চালান পড়ালেখার খরচ।

উদ্যোক্তা দুইজন হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই বর্ষের শিক্ষার্থী আহমাদ আব্দুল্লাহ নাফিজ।

বুধবার (১৫ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির এক বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে তরুণ দুই উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে লভ্যাংশ দিয়ে পথ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এদিন তারা দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে ২০ জন অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করেছেন।

উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমরা দেখতে দেখতে একটি বছর অতিক্রম করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছি। বর্তমানে আমরা ফুড এবং ফ্যাশন দুইটি সেক্টরেই কাজ করে চলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য, চবি ক্যাম্পাসসহ সমগ্র বাংলাদেশের পোশাক খাত ও নির্ভেজাল খাদ্যের জগতে অবদান রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা গত এক বছরের লাভের একটি অংশ দিয়ে কিছু অসহায় ও পথশিশুদের এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিজ হাতেই বাজার করে খাবারগুলো রান্না করে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এতে আমাদের আত্মতৃপ্তি কাজ করেছে। আমরা সামনে বৃহৎ পরিসরে আরও বড় কিছু করব ইনশাআল্লাহ।

আরেক উদ্যোক্তা আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে কিছু করার ইচ্ছা ছিল, সেই ইচ্ছা থেকে এস্থেটিক (তাদের প্রতিষ্ঠান) এর জন্ম। এস্থেটিক এর শক্তি ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসা। সেই আস্থাকে পুঁজি করে ভালো কোয়ালিটির কাপড় আর অর্গানিক ফুড পরিবেশনেই নজর থাকে আমাদের সবসময়ই।

;

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদ থেকে দুইজন, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে তিনজন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজন ও জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজনসহ মোট ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও আইন অনুষদ থেকে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সকাল ৯ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। নির্বাচন শেষে রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৮ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক বশির আহমেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম পেয়েছেন ৪২ ভোট।

ডিন নির্বাচনে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রব। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ৫৭ টি ও অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ২৫টি ভোট পেয়েছেন।

ডিন নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক৷ নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে ডিন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক আরিফা সুলতানা পেয়েছেন ৬০ ভোট।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম এবং প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৯ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নূহু আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ পেয়েছেন ৪১ ভোট।

এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা৷ আইন অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসারের কাছে অনুমোদিত ফরমে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৩০ এপ্রিল, বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হয় ২মে। এছাড়া ৭ মে প্রার্থীগণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ ও আইন অনুষদসহ মোট ছয়টি অনুষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ মে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

;