অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই ৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়



আহসান জোবায়ের, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই ৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই ৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সত্ত্বেও দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থানান্তর করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বারবার তাগাদা দিলেও তা আমলে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বার বার সময় নিয়েও ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর কয়েকটির নিজস্ব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বলছে, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে কমিটি গঠন ও পরিদর্শন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই রয়েছে ৫৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যার মধ্যে অন্তত ৪৭টি স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে। আবার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরো শিক্ষা কার্যক্রম না চালিয়ে ‘লিয়াজোঁ অফিসের’ নামে ঢাকায় ভাড়া বাড়িতেও শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১৯৯৬ সালে অনুমোদিত পিপলস ইউনিভার্সিটি, ২০০২ সালে স্থাপিত স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা), ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি এবং ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আশা ইউনিভার্সিটি।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করতে দেশের ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আলটিমেটাম দিয়েছিল ইউজিসি। তা না হলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেশিরভাগই স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেলেও এই সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও যেতে পারেনি। এমনকি স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত বছর চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তিতে জারি করে ইউজিসি। পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে ফেলা হয়। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি।

জানতে চাইলে দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সরকারি রাস্তা যেখানে হচ্ছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ভাগের এক ভাগ স্থাপনা পড়ে গেছে। সেগুলো দ্রুতই ভাঙা শুরু হবে। ফলে সরকার ক্ষতিপূরণ দিলে এরপর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফফাত কায়েস চৌধুরী বলেন, গাজীপুর ও বছিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা রয়েছে। কিন্তু কোথায় স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। যেকোনো এক জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ইউজিসির কাছে আরও ছয় মাস সময় চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল মতিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আরেকটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যেতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনের জন্য একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি পরিদর্শন শেষে এসে যে রিপোর্ট দিবে তার আলোকেই ব্যবস্থা নেব।

   

পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন চবির দুই উদ্যোক্তা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুইজন শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সমগ্র ক্যাম্পাসে টি-শার্ট ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা চালান পড়ালেখার খরচ।

উদ্যোক্তা দুইজন হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই বর্ষের শিক্ষার্থী আহমাদ আব্দুল্লাহ নাফিজ।

বুধবার (১৫ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির এক বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে তরুণ দুই উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে লভ্যাংশ দিয়ে পথ শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এদিন তারা দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে ২০ জন অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করেছেন।

উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমরা দেখতে দেখতে একটি বছর অতিক্রম করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছি। বর্তমানে আমরা ফুড এবং ফ্যাশন দুইটি সেক্টরেই কাজ করে চলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য, চবি ক্যাম্পাসসহ সমগ্র বাংলাদেশের পোশাক খাত ও নির্ভেজাল খাদ্যের জগতে অবদান রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা গত এক বছরের লাভের একটি অংশ দিয়ে কিছু অসহায় ও পথশিশুদের এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিজ হাতেই বাজার করে খাবারগুলো রান্না করে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এতে আমাদের আত্মতৃপ্তি কাজ করেছে। আমরা সামনে বৃহৎ পরিসরে আরও বড় কিছু করব ইনশাআল্লাহ।

আরেক উদ্যোক্তা আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে কিছু করার ইচ্ছা ছিল, সেই ইচ্ছা থেকে এস্থেটিক (তাদের প্রতিষ্ঠান) এর জন্ম। এস্থেটিক এর শক্তি ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসা। সেই আস্থাকে পুঁজি করে ভালো কোয়ালিটির কাপড় আর অর্গানিক ফুড পরিবেশনেই নজর থাকে আমাদের সবসময়ই।

;

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

৮ বছর পর জাবিতে ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদ থেকে দুইজন, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে তিনজন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজন ও জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে দুইজনসহ মোট ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও আইন অনুষদ থেকে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সকাল ৯ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। নির্বাচন শেষে রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৮ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক বশির আহমেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম পেয়েছেন ৪২ ভোট।

ডিন নির্বাচনে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রব। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ৫৭ টি ও অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ২৫টি ভোট পেয়েছেন।

ডিন নির্বাচনে কলা ও মানবিক অনুষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক৷ নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে ডিন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক আরিফা সুলতানা পেয়েছেন ৬০ ভোট।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম এবং প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৯ ভোট পেয়ে ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নূহু আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ পেয়েছেন ৪১ ভোট।

এছাড়া বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা৷ আইন অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসারের কাছে অনুমোদিত ফরমে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৩০ এপ্রিল, বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হয় ২মে। এছাড়া ৭ মে প্রার্থীগণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ ও আইন অনুষদসহ মোট ছয়টি অনুষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ মে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

;

ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ঢাবিতে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) ঢাবির আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মো. মুমিত আল রশিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশী সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং ইন্টারনেট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, এই ভাষার সাহিত্যকর্ম চর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে। এই বিভাগের এমফিল ও পিএইচডি'র গবেষণাপত্র ফারসি ভাষায় রচনা করার জন্য তিনি গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান।

প্রসঙ্গত, আলোচনা পর্ব শেষে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

লাল সোনাইলের অপার সৌন্দর্যে সেজেছে বেরোবি



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল সোনাইলের অপার সৌন্দর্যে সেজেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বাহারি ফুলে প্রকৃতির এই সুন্দর সাজে ৭৫ একরের পুরো ক্যাম্পাস যেন সেজেছে নতুন রূপে।

দুর্লভ লাল সোনাইল বেরোবির বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে প্রেম নিবেদন করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের সাথে। রোমাঞ্চকর প্রেমালাপ যেন উপযুক্ত হয়ে ওঠেছে লাল সোনাইলের বাহারে। প্রিয় মানুষের খোঁপায় গুঁজে দেওয়ার এক অনন্ত প্রয়াস যেমন কবি কাজী নজরুল চেয়েছিলেন— ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল’; বেরোবিতেও যেন একই পরিবেশ! পাতার আড়ালে থোকা থোকা লাল সোনাইল ফুল দেখে প্রকৃতি প্রেমীদের মনে প্রেম উদিত হচ্ছে। এই সৌন্দর্য পৃথিবীর অমৃত লহরীর মতো যে ব্যাখ্যার অন্তহীন।

ক্যাম্পাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারের পাশে থোকায় থোকায় দুলছে লালচে গোলাপি ও সাদার সংমিশ্রণ যুক্ত লাল সোনাইল ফুল। ক্যাম্পাসের ভিসি রোডের পাশের প্রতি সোনালু গাছের গা থেকে যেন সবুজ জোড়া পাতার পাহাড়ে গোলাপি ঝরনা নেমে এসেছে। বাতাসে কিশোরীর কানের দুলের মতো দুলতে থাকা এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য চোখে পড়ে। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

আবু সাইফ ও জোনায়েদ নামের দুই দর্শনার্থী বলেন, প্রায়ই শান্তির নিঃশ্বাস নিতে আসি বেরোবিতে। কৃষ্ণচূড়া, লাল সোনাইলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। চারদিকে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মন ভরে যায়। বছরের সবসময় সবুজে ভরা থাকে, তবে এখন ফুলে-ফুলে ভরে আছে, খুব ভালো লাগছে।

পাতার আড়ালে থোকা থোকা লাল সোনাইল ফুল

বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। শাড়ি পরে নিজেকে প্রকৃতির মাঝে তুলে ধরে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হচ্ছেন দর্শনার্থীদের অনেকেই।

শাড়ি পরে খোঁপায় ফুল গুঁজে ছবি তুলছেন দর্শনার্থী অনামিকা। মুখে এক ঝিলিক হাসি নিয়ে বলেন, লাল সোনাইল আর কৃষ্ণচূড়ার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। লাল সোনাইলের এই সৌন্দর্যে নিজেকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখছি। এই অনুভূতি বোঝানোর মত না।

লাল সোনাইলের সৌন্দর্য নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ২০০৮ সালে কোনো গাছ ছিল না। এমনকি ২০১৪ সালেও ক্যাম্পাস ছিল ছায়াহীন। শিক্ষার্থী আর কয়েকজন কর্মচারীকে সাথে নিয়ে চার শতাধিক প্রজাতির প্রায় ৩৭ হাজার গাছ রোপণ করেছি। এখন সারা বছর বিচিত্র ফুল আর সবুজের আচ্ছাদনে অপরূপ সাজে সৌন্দর্য বিতরণ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে স্বর্ণচাঁপা, কনকচাঁপা, লাল সোনাইল, বন আশরা, বান্দরহুলা, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, কুর্চিসহ অনেক ফুল ফুটেছে।

তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ ক্যাম্পাস যেমন শীতল, তেমনি এর নান্দনিকতা মানুষকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করছে। তাই ক্যাম্পাসের বাইরেরও অনেকে আসছে শীতলতা আর নানন্দিকতা উপভোগ করতে।

লাল সোনানাইলের দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটা মুগ্ধ করে তোলে শিক্ষার্থীদের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি যেন লাল সোনাইলের নৈসর্গিক লীলাভূমি বেরোবি৷

;