দুই দফা দাবি নিয়ে উপাচার্য দফতরে কুবি শিক্ষকরা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ত্রিমুখী বাকবিতণ্ডার পর দুই দফা দাবি নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতরে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অবস্থানরত শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে প্রক্টরের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর বিকেল চারটা থেকে ঘটনা শুরু হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন তার দফতর ছেড়ে চলে গেলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপাচার্য দফতরে অবস্থান করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল চারটার সময় উপাচার্য দফতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির সদস্যরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন। এ সময় উপাচার্য দফতর থেকে হট্টগোলের আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। তৎক্ষণাৎ প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা উপাচার্য দফতর থেকে চিল্লাচিল্লি শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এরপর দেখি শিক্ষকরা উপাচার্যের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। তখন অনেক ছাত্রও জমা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি আমাদের সরিয়ে দেয়।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অনুপম দাস বাঁধন বলেন, ‘আমরা কাছাকাছি ছিলাম। এইখানে উচ্চবাচ্য হচ্ছিলো শুনে আমরা আসছি। এসে দেখি ভেতরে উপাচার্য স্যারের সাথে তর্ক হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন বলেন, ‘আমরা যখন আসি, তখন শুনতে পাই উপাচার্য স্যারের রুমে কয়েকজন শিক্ষক অসদাচরণ করছিল ও উচ্চস্বরে কথা বলছিল। আমাদের শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সেখানে গেলে কয়েকজন শিক্ষক আমাদের দিকেও তেড়ে আসেন। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চাই না। উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো চলছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে সেগুলো নিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করে সমাধান করুক, বিশৃঙ্খলা না করে নিজেদের মাঝে সমন্বয় করে সমাধান করুক।’

শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কয়েকজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা নব-গঠিত কমিটি মিষ্টি নিয়ে উপাচার্য স্যারের কাছে যাই। সেখানে আলোচনায় আমরা আমাদের ইশতেহারের দাবিগুলোর কথা জানাই, কিন্তু তিনি আমাদের কোনো পাত্তাই দিচ্ছিলেন না। উনাকে আমাদের দাবিগুলো শুনার জন্য বারবার বলি। তারপর অছাত্ররা এসে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নব-নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিক্ষকদের সাথে এই ধরনের ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই এখনো এই উপাচার্য দফতরে অস্থান করছি। তাছাড়া যতক্ষণ পর্যন্ত প্রক্টরকে অপসারণ না করা হবে, ততক্ষণ এই অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

এই বিষয়ে নব-নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। উপাচার্য স্যার আমাদের রেখে উনার বাংলোতে চলে গেছেন। আমাদের আজকের দাবি হলো- শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রক্টরের অপসারণ করতে হবে। পরবর্তীতে আমরা কী করবো সেটা শিক্ষক সমিতির সকলে বসে সিদ্ধান্ত নিবো।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘যা ঘটেছে তা সকলের সামনেই ঘটেছে। অগোচরে কিছু ঘটেনি। আমি নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমাকে চার-পাঁচ বার বসিয়েছে। আমাকে টেরোরিস্ট, মিথ্যাবাদী বলেছে। আমি নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী পালন করি। আমি বলছি তোমরা শিক্ষক সুলভ আচরণ করো। ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় সবার। একজন আমাকে আক্রমণ করেছে। আমি তাকে সামাল দিতে ব্যস্ত ছিলাম। এখানে আমি কোনো অত্যাচারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চাই না। আমি অসুস্থতা নিয়ে তো এত চাপ নিতে পারব না।’

   

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;

জাবিতে খাবার হোটেলে দাম বেশি রাখার অভিযোগ: ১৫ হাজার টাকা জরিমানা



মাহমুদুল হাসান, বার্তা২৪.কম, জাবি করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বটতলাস্থ ‘রাঁধুনী’ হোটেলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কাছ থেকে খাবারের দাম বেশি রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)।

শুক্রবার (৩ মে) বটতলায় এবং সালাম-বরকত হল সংলগ্ন খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ, মূল্য তালিকা পর্যবেক্ষণ ও হোটেল মালিকদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) জাবি শাখার উপদেষ্টা ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া।

অভিযান পরিচালনাকালে ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘রাঁধুনী’ হোটেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি এবং যথোপযুক্ত জরিমানা করেছি। প্রত্যেক দোকানে খাবারের মান ঠিক রাখতে সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত আমাদের এই অভিযান চলবে। ভবিষ্যতে পচা-বাসি খাবার খাওয়ানোর কিংবা দাম বেশি রাখার অভিযোগ পেলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বুধবার (১ মে) দর্শন বিভাগের এক অধ্যাপক ‘রাঁধুনী’ হোটেলে খাবার খেতে গেলে খাবার মূল দামের দ্বিগুণ রাখেন হোটেল মালিক রিপন মিয়া।

ভাউচারে দেখা যায়, ৩০ টাকা মূল্যের তিন প্লেট ভাতের দাম রাখা হয়েছে ৯০ টাকা। ৩৫ টাকা মূল্যের দইয়ের দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। ৬০ টাকা মূল্যের টেংরা মাছের দাম রাখা হয়েছে ৮০ টাকা। শাক ও কচুর লতির দাম ৮০ টাকা হলেও রাখা হয়েছে ৩শ ৪০ টাকা। ১শ টাকা মূল্যের দুই পিস রুই মাছের দাম রাখা হয়েছে ৩শ টাকা।

;