অবন্তিকা হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ
অবন্তিকা হত্যার বিচারের দাবিতে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' এর চলমান আন্দোলনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি শিক্ষার্থীদের এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার শিক্ষার্থী মিশকাত তানিশার সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ-উল-ইসলাম, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূজিয়া হাসিন রাশা, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মুস্তাকিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মোজাম্মেল হক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হেল বুবুন ও নাঈম উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ বিশ্বাস। এছাড়াও সংহতি বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রিক্সাচালক শামসুল হক।
বক্তারা সংহতি জানিয়ে বলেন, "আমরা আজ এখানে যে দাবি নিয়ে এসেছি তা পূরণ করবে কে? তথাকথিত স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাকি সরকার? সহকারী প্রক্টর বা আম্মান যে শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কাছেই কি আমরা বিচার চাচ্ছি? নিপীড়ক কখনো তার প্রতিনিধির বিচার করে না, করলেও তা স্রেফ লোক-দেখানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এটা একটা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। প্রক্টোরিয়াল টিম পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিয়ে তারা শাসকের সাথে ঘনিষ্ঠদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে কার্যকর করতে হবে। অবন্তিকার এই হত্যাকান্ড একটা প্রকল্পিত হত্যাকান্ড৷ অভিযোগপত্র নিয়ে উপাচার্যসহ প্রশাসনিক স্তরে সকলের টালবাহানা স্পষ্ট করে যৌন নিপীড়নের ঘটনা এই প্রশাসনের কাছে অগুরুত্বপূর্ণ। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই নয়, সমাজের সকল স্তরেই দিন দিন যৌন নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু, এগুলোর বিচার হচ্ছে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দলীয়করণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাষ্ট্র, সরকার নিপীড়কদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাই, এরকম নিপীড়ক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধেই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।"
তারা আরো বলেন, দেশজুড়ে চলমান হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়ন বন্ধ করতে শুধু জড়িতদের শাস্তিই যথেষ্ট নয়৷ প্রয়োজন এই ক্ষমতা কাঠামো আর পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার উচ্ছেদ। সেই আন্দোলনে সবাইকে যুক্ত আহ্বান জানিয়ে সংহতি সমাবেশ শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে অবন্তিকা হত্যার বিচার চেয়ে ও নানারকম অন্যারের প্রতিবাদ করে বিভিন্ন প্লেকার্ড নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। যেমন: 'প্রক্টর না নিপীড়ক?', 'অবন্তিকা হত্যার বিচার চাই, ট্যাকনিকেলি মার্ডার', 'সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে' ইত্যাদি।