চবিতে ভাঙচুরের মামলা তুলে নিতে কোর্টে প্রশাসনের আপিল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই মামলা তুলে নিতে এবার কোর্টে আপিল করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দায়ের করা মামলা তুলে নিতে আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
মামলার বাদী ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বার্তা২৪. কমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে মামলা করেছিলাম। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলায় আমরা আবেদন জানিয়েছি। আজকে আমরা কোর্টে যাব কোর্ট যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই বাস্তবায়ন হবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ও অপর বাদী কে এম নুর আহমদের কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগা্যোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার শাটলট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী।
ঘটনার পর ঐদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটলট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে থাকা অন্তত ৬৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।