ডিবি অফিসে মিম, যা জানালেন অভিযুক্ত জবি শিক্ষকরা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিমকে যৌন হয়রানি ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে বুধবার (২০ মার্চ) সকালে অভিযুক্ত দুজন শিক্ষককে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয় । 

এর আগে, সোমবার (১৮ মার্চ) নিজ বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও হত্যার হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

এ বিষয়ে কাজী ফারজানা মিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। তাই ডিবি কার্যালয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছি। ডিবি কার্যালয়ে তারা আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আমি উপযুক্ত প্রমাণসহ আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। অভিযুক্তরাও তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তবে ডিবি স্যারের আমার প্রমাণাদি সঠিক বলে মনে হয়েছে বিধায় তারা আমার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্তদের থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়েছেন কি না, জানি না। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই লিখিত অঙ্গীকারনামা থাকা উচিত।’ 

বুধবার (২০ মার্চ) ডিবি কার্যালয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ও অভিযোগকারী মীমকে মুখোমুখি করে উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। 

মিমের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুজন শিক্ষককে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত শিক্ষকরা। 

অভিযোগের বিষয়ে দীর্ঘ ফোনালাপে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘২০১৯ সালে একটি ঘটনা ঘটেছিল। আমার ক্লাসে তাকে একদিন আমি বকা দিয়েছিলাম। সেই ক্ষোভ থেকেই সে প্রতিশোধ-প্রবণ হয়ে উঠে। কিন্তু মিম ২০১৯ সালে অভিযোগ না দিয়ে ২০২২ সালে এসে কাল্পনিক অভিযোগ দেয়; যার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, মিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যখন তদন্ত কমিটি গঠন হয়, সেখানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির শিকার হই। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে আমাকে বার বার দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর ফলে আমি সুষ্ঠু বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাই। উচ্চ আদালতে আমার বিপক্ষে কোনো যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সে মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। নিষ্পত্তি হয়নি এমন কোনো বিষয় নিয়ে মিডিয়ার সামনে কথা বলা ইমম্যাচিউর ব্যক্তির কাজ; যেটা মিম করেছে।   

নিজের সম্মানহানির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, কাল্পনিক একটি অভিযোগের মাধ্যমে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে, আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। মেয়েটি এতদিন চুপ থাকলো। এখন যখন নতুন একটি ইস্যু সামনে এসেছে সেটার এডভান্টেজ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। অবন্তিকার মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন শক্ত অবস্থানে আছে, তখন সে এই পরিস্থিতিতে সুযোগে সৎ ব্যবহারের চেষ্টা করছে। 

যৌন নিপীড়ন একটি জঘন্য অপরাধ উল্লেখ করে শাহেদ ইমন বলেন, যৌন নিপীড়ন একটি জঘন্য ও ঘৃণিত অপরাধ। আমিও চাই যারা এই ঘৃণিত অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিচার হোক। আমি যদি আদালতের বিচারে দোষী প্রমাণিত হই তবে আমারও শাস্তি হোক। 

ডিবি অফিসে তলবের বিষয়ে বলেন, মিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিবি প্রধান আমাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমরা যথা সময়ে উপস্থিত হই। সেখানে মিমের বাবাও ছিলেন। ডিবির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা আমাদের থেকে যা যা তথ্য চেয়েছেন আমরা সবকিছুই দিয়েছি। বাকিটা তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন। 

অভিযোগের বিষয়ে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমদ হালিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মেয়েটি ক্লাস-পরিক্ষায় অনিয়মিত ছিল। সে আমার একটি কোর্সের ৩ ঘণ্টা করে ১০ টা ক্লাসের মধ্যে ৩ টা ক্লাসে উপস্থিত ছিল। ফলে সেখানে সে ৩ মার্ক পেয়েছে। এরপর ২ টি মিড সেমিস্টার ও একটি এসাইনমেন্টে ৩০ এর মধ্যে ২০.৫ পেয়েছে। মোট হিসাব করলে কন্টিনিউয়াস এসেসমেন্টে ৪০ এর মধ্যে ২৩.৫ পেয়েছে। আর ৬০ মার্কের লিখিত পরিক্ষায় সে অংশগ্রহণই করে নি। ফলে সেখানে সে শুন্য পেয়েছে। যেহেতু ১০০ তে ৪০ মার্ক পেলে পাশ হয়ে সেখানে সে পেয়েছে ২৩.৫ যা ফেল হিসেবে গণনা হয়েছে। আর এগুলো তো সফটওয়্যারের কাজ। আমরা তো শুধু মার্ক পাঠিয়ে দেই। বাকি কাজ তো পরিক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের।  

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী একটা কোর্সের পরিক্ষা ২ জন শিক্ষক থাকেন পরিক্ষার খাতা পর্যবেক্ষণের জন্য। একজন ফেল দিলেও অন্য শিক্ষক তো আর ফেইল দিবেন না। আবার মার্কের ব্যবধান যদি ২৫ শতাংশের বেশি হয় তখন খাতা চলে যায় ৩য় শিক্ষকের হাতে। ফলে এখানে ইচ্ছা করে ফেল করানোর কোনো সুযোগ নেই। 

ভাইবা তে মিমের ফেল করার বিষয়ে তিনি বলেন, ভাইবা বোর্ডে আমিসহ ৩ জন শিক্ষক ছিলাম। আমরা যা মার্কিং করি তার এভারেজ করে মার্ক দেওয়া হয়। সেখানে সে একটি প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারেনি। ফলে সকল শিক্ষকদের মার্ক এভারেজ করেও তাকে পাশ করানো যায়নি। ফলে সে ফেল করেছে। 

ফাতিমা আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ফাতিম আমিনের কোর্সে মিম নিয়মিত ক্লাস করেনি। আবার তাকে ৩ বার সুযোগ দেওয়া হলেও সে মিড সেমিস্টার পরিক্ষা দেয়নি। এবং সে ফাইনাল এক্সামেও বসেনি। তাই সে ফেল করেছে। নিজের দোষে ফেইল করে সে ফাতিমা আমিনকে যৌন নিপীড়নের সাহায্যকারী বানিয়ে দিয়েছেন, যার কোনো সত্যতা নেই। 

দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দু'পক্ষকে আমরা ডেকেছি, তাদের বক্তব্য শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফারজানা মীম আমাদের কাছে আবদার করেছেন যে তিনি যেন স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারেন। আমরা তার আবদারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিষয়টি শিক্ষকদের বলেছি। 

তিনি আরও বলেন, এরপরও যদি কেউ হুমকি বা ভয়-ভীতি করে, তাহলে মিমকে বলা হয়েছে তিনি যেন আমাদের ডিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তৎক্ষনাৎ জানান। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। 

যৌন হয়রানির বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, এটি আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ হলে পরে জানাতে পারব। 

ডিবি প্রধান আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিষয় সমাধান করা আমাদের কাজ নয়। মিমকে ফেল করানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশ দেখবে। আইনশৃংখলা বা ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিষয়ে সমাধানের এখতিয়ার পুলিশের নেই।

   

ঢাবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি দুই মাসেও কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায়, দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এ বছরের ৩ মার্চ অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যাচাইয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কর্তৃপক্ষ এ কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বললেও ২ মাস পার হলেও এ ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায় নি। এতে ন্যায়বিচার ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে, প্রশাসন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে যথাযথ বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কমে গেলে লঘু দণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান এবং তিন দিনের মধ্যে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় পুনরায় আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন এই শিক্ষার্থীরা।

;

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা ও স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এ সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধরপাকড়ের তীব্র নিন্দা জানান শিক্ষার্থীরা।

গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। এ সময় তারা ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ- ইহুদিবাদ নিপাত যাক, বয়কট ইসরায়েল, ফিলিস্তিনে হামলা কেন আমেরিকা জবাব দে সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ফিলিস্তিনের চলমান স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটা গোটা মানবজাতির, মানবতার ইস্যু। আজকের এই মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সবচেয়ে বড় মূল্যবান বিষয় হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো।

ফ্যাইন্যান্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. ইশতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক বিষয় হলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষত স্বয়ং ইসলরাইলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ও ইসলরাইলের সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্দোলন করছে। অথচ আরবরা জাতি ভাই হয়েও আজ নির্বিকার, আরব শাসকগোষ্ঠীসহ জনগণ পর্যন্ত ভোগবিলাসের মত্ত হয়ে আছে। তাদের এই ভন্ডামী একদিন তাদের পতনের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ। যে জাতি একজন খ্রিষ্টান নারীর জন্য স্পেন বিজয় করতে পারে, সে জাতি আজ নিজের বোনের আর্তনাদ শুনতে পায় না।

অন্যদিকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা করেন।

এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সোপান বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ করেছি। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সহ সকল শেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

;

ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দলীয় ট্রেন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে প্রদক্ষিণ করে দলীয় ট্রেন্টে এসে সমবেত হয়ে ছাত্র সমাবেশে যুক্ত হয়। পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, রাকিবুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন হল ও অনুষদ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। ফিলিস্তিনের নারী পুরুষ এবং অবুঝ শিশুদের প্রতি যে জঘন্য নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, আমরা এর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, নিপিড়ীত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিপিড়ীত, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি মানুষের দাবি আদায়ে, দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর দখলদারিত্ব এবং নির্বিচারে গণহত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইবি শাখা ছাত্রলীগ আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছে। এই সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।

 

;

বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

বুধবার থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপদাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে, গত ২১ এপ্রিল সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

;