কুবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বাধীনতা দিবসের র‍্যালি শুরু হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

র‍্যালি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।


শহীদ মিনার এবং বঙ্গবন্ধুর পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো: আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, কালরাতের হত্যাকাণ্ডের সকল শহিদের প্রতি, বীরঙ্গনাসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আলবদর, আল-শামস যখন একটি গোষ্ঠী হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তারা স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মুখে স্বাধীনতার কথা বললে হবে না। স্বাধীনতাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার ভুলণ্ঠিত করা নয়। অন্যের অধিকারকেও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। ব্যক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতার নামে অপকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু প্রথম সংগ্রাম ছিল মুক্তির সংগ্রাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির ডাক দিয়েছেন বাঙালি এখনো মুক্তি পায়নি। বঙ্গবন্ধু তনয়া সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মার্চ মাস বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মাস। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতাকে ধারণ করেছেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি বাহিনী যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।’

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় প্রোগ্রাম করার জন্য যারা শ্রম ও সহযোগিতা করছেন তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সে লক্ষে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় ভালোর পক্ষে থাকবেন এবং মন্দকে রহিত করবেন।’

তাছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন এবং হলগুলোতে রঙিন আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন ও হলগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮ ঘটিকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ এবং দেশাত্মবোধক গান প্রচার করা হয়। প্রতিবছরের মত এবারও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হলগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।