চলমান পরীক্ষা স্থগিত করল বুয়েট প্রশাসন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফেরানো ঠেকাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিতে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করেছে বুয়েট প্রশাসন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করে। এরই মধ্যে তাদের বেশ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়েছে, তদন্ত কমিটিও হয়েছে, কাজ চলছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে থেকে ঘোষিত বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষা ছিল, পরীক্ষার তারিখ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেনি। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনার ভিত্তিতে সেগুলো স্থগিত করা হয়।’
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর দাবিতে লাগাতার সংবাদ সম্মেলনে করে আসছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন আশিক আলম। তিনি জানান, ‘শিক্ষার্থীরা এখন সচেতন হয়েছে, একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে অটল রয়েছি। আশা করছি, আগামী ২৭ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবে।’
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ একদল নেতাকর্মী বুয়েটে বুয়েটে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের প্রবেশে সহায়তাকারীদের একাডেমিক ও হল বহিস্কার, ৩০ ও ৩১ মার্চ টার্ম ফাইনলাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন; ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পদত্যাগসহ বেশ কিছু দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ঘটনাক্রমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে ইতমধ্যে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর বদল করা হয়েছে।