গাড়িসহ কুবি ট্রেজারারকে পথরোধ, শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পথরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতির এ কাজে বাঁধা দিয়েছে শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ। এতে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অবরোদ্ধ অবস্থায় মূল ফটকে গাড়িতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলোতে যান উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানার জন্য।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়, ট্রেজারারের কার্যালয় এবং প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিতে যায়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তারা দেখেন প্রশাসন থেকে আগে থেকেই উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝোলানো। ফলে উপাচার্য দপ্তরে আর তালা দিতে পারেননি তারা।

পরবর্তী সময়ে তারা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে দেখেন ট্রেজারার তার গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা এবং ট্রেজারারের গাড়ির চাবি দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ট্রেজারার তাদের কথার সাথে একমত না হওয়ায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে তাকে পথরোধ করেন।

শিক্ষক সমিতি ট্রেজারারকে পথরোধ করা অবস্থায় শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষক সমিতির সাথে তালা লাগানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা করেন। এ সময় তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তালা সংস্কৃতি' বন্ধ চান বলে মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার দিন কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে লিখলো শিথীল থাকবে। এটা এক প্রকার প্রতারণা। আমরাও শিক্ষক সমিতির সদস্য। এভাবে শিক্ষক সমিতি খেয়াল খুশি মত চলতে পারে না। আমরা এই তালা সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। কিছু হলেই তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ যে প্রতারণা করলো সাধারণ শিক্ষকদের সাথে সেই প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি।'

এ ব্যাপারে কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের যত অনিয়ম হচ্ছে তার সহায়ক হচ্ছেন ট্রেজারার। আর এই অনিয়মগুলো তিনি চালু করেছেন। অর্থ কমিটির বিশৃঙ্খলা, শিক্ষকদের টাকা পয়সা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করাসহ এই যে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তার সবকিছুর পেছনে তিনি আছেন। এই কারণে শিক্ষকরা সাধারণ সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রক্টর হিসেবে যদিও শিক্ষার্থীদের উপরে আমার দায়িত্ব তারপরেও সার্বিক শৃঙ্খলার ব্যাপারটা আমাদের উপরে আসে। আজকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিলো। আজকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত ট্রেজারারকে তারা এভাবে পথ আটকে দিয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষক হিসেবে তারা নৈতিকতার জায়গা লঙ্ঘন করেছে।'

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে উপাচার্য স্যার। এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে, সচল রাখতে কি করণীয় সে বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলার জন্য যাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল কুবি শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি চিঠিতে তাদের সাতটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। শিক্ষক সমিতির দেওয়া সাত দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৫ তারিখ সকালে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের ও প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেন। তবে ২৭ এপ্রিল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মসূচি শিথীল করে এবং তালা খুলে দেয়। তবে আজকের (২৭ এপ্রিল) অফিস সময়সূচি শেষ হওয়ার পর তারা আবার তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে।

 

   

ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি: প্রায় দুই বছর পর পরিচয় পেল নেতাকর্মীরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

২০২২ সালের ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ইবি শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের এক বছর আট মাস পর এসে পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি গঠন করলো ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন করে ৮৪টি পদে মোট ১৯৯ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নিশ্চিত করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত।

এর মধ্যে সহ-সভাপতি পদে তন্ময় সাহা টনি, মো. আল মামুন, নাইমুল ইসলাম জয়, বনি আমিন, মৃদুল হাসান রাব্বি, সোহানুর রহমান সিদ্দিকী সহ মোট ৭১ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম, হুসাইন মজুমদার, মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম, তরিকুল ইসলাম তরুনসহ মোট ২২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. জাকির হোসেন, সোহাগ শেখ, মেজবাহুল ইসলাম সহ মোট ১১ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। নতুন কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কামাল হোসেন , উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও ২ জন,প্রচার সম্পাদক হিসেবে আছেন নাবিল হাসান ইমন এবং পাশাপাশি উপ-প্রচার সম্পাদক পদে আরো ২ জন রয়েছেন। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আশিক হোসেন, উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও ১ জন। এছাড়াও বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পদে মোট ৮২ জন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে আছেন ১৫ জন এবং সদস্য হিসেবে আছেন ৭ জন।

এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আমরা ইবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইনান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী দিনগুলোতে ইবি শাখা ছাত্রলীগ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আরো সুন্দর ও স্পৃহা নিয়ে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সাংগঠনিক একটি পরিচয় পাওয়া প্রতিটি কর্মীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। সকল ষড়যন্ত্র ভেঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছর পরে যে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি পরিচয় পেয়েছে, এতে কর্মীদের চেয়ে আমরাই বেশি খুশি।

উল্লেখ্য, আংশিক কমিটি ঘোষণার অন্তত ৯ মাস পর শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জীবন বৃত্তান্ত গ্রহণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে এক বছর ৮ মাস পর ইবি শাখা ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটির ছোঁয়া পেলো। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পরিচয়হীনতার অভিযোগ করে আসা নেতাকর্মীরাও তাদের পরিচয় প্রদানের সুযোগ পেলো।

;

ক্যাম্পাসে কুবি উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝোলালো শিক্ষক সমিতি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মূলফটকের সামনে ও গোলচত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের উপর উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে কুবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের এ কুশপুত্তলিকা ঝোলানো হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মূল ফটকের মাঝামাঝি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছবি সংবলিত একটি কুশপুত্তলিকা ঝুলানো হয়েছে। এছাড়া গোলচত্ত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের উপরের কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে আরেকটি কুশপুত্তলিকা ঝুলানো হয়েছে।

কুশপুত্তলিকা ঝুলানোর বিষয় শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলকে বঞ্চিত করেছেন। সকলের মনেই সেজন্য ক্ষোভ জন্মেছে, সে ক্ষোতের বহিঃপ্রকাশ এই কুশপুত্তলিকা। আমরা এটিকে না পুড়িয়ে আজ ডাস্টবিনের উপর প্রতিস্থাপন করেছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করেছেন এবং শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা ডাস্টবিনে নিক্ষেপের মতোই। তারই প্রতিবাদস্বরুপ আমরা তার কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়েছি। তার যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক দূর্নীতি সেগুলোর জন্য আমরা চাই তিনি এই স্থান ত্যাগ করে চলে যাক।'

তিনি আরো বলেন, 'আমরা শিক্ষকেরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরতে প্রস্তুত। আমরা চাই তিনি আমাদের সে ব্যবস্থা করে দিক।'

;

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে: জবি উপাচার্য



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে: জবি উপাচার্য

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে: জবি উপাচার্য

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ক্লাস আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

জবি উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ১ম বর্ষের ক্লাস শুরু করা।

উপাচার্য আরও বলেন, সুষ্ঠুভাবেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলেছেন প্রশ্নের মানও ভালো। আমরা দ্রুত ভর্তির প্রস্তুতি শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। পরবর্তীতে ৩ মে মানবিক বিভাগ ও আজ ১০ মে বাণিজ্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৪র্থ বারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন করেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী।

;

স্বাভাবিক সময়সূচিতে ক্লাসে ফিরছে জবি, মঙ্গলবারে অনলাইন ক্লাস



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশ ব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় স্বাভাবিক সময়সূচিতে ক্লাস-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। তব এখন থেকে স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে ক্লাস-পরীক্ষা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রবিবার (১২ মে) হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে।

;