ইবিতে গাছের গুড়ি-খড়ি পাচার, তদন্তে কমিটি



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার

ছবি: ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটির মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মচারী ফরিদ উদ্দীন প্রটোকলে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচারের প্রমাণ মিলেছে। এর প্রেক্ষিতে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের পর এবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই কমিটিকে দ্রুততম সময়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এই কমিটিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহের আলীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে সদস্য এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ জুন থেকে কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা-বিধির ১২ এর ১ ধারা তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আনসাররা জানিয়েছে, গত ১৪ জুন আনুমানিক ভোর পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দেয়। পরে ওই নিরাপত্তাকর্মচারী নিজে গিয়ে ‘ভ্যান পাসের’ ব্যাবস্থা করেন। এসময় অভিযুক্ত সেই কর্মচারী বাইকযোগে ওই স্থানে টহলের মাধ্যমে প্রটোকল দিচ্ছিলেন এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি বাইক নিয়ে ফটকের বাইরে ভেতরে যাওয়া আসা করছিলেন। এসময় একে একে কয়েকটি ভ্যান বের হতে দেখা যায়। সেগুলোতে কয়েকটি বড় গাছের গুড়ি আর কয়েকটিতে ছোট-বড় খড়ি ছিল। এদিকে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পানি জমিতে সেচের অভিযোগও আছে।

কোটা বাতিলের দাবি

আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ শেকৃবি শিক্ষার্থীদের



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শেকৃবি, ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শেকৃবি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা বিরোধী আন্দোলনে আবারও আগারগাঁও-ফার্মগেট পথ অবরোধ করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উত্থাপন করেন।

এছাড়াও সামনে আরও বড় অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথাও জানিয়েছেন শেকৃবি শিক্ষার্থীরা।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ করেছে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি আমাদের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার পুনর্বিন্যাস। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নই, বরং দেশের অগ্রগতি রক্ষায় দেশের সব চাকরি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগ নিশ্চিতেই আমাদের আন্দোলন।


আগামীকাল আরও বড় আকারে আন্দোলন এবং অবস্থান কর্মসূচির আহবান করেছে তারা। শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল আগারগাঁও মোড় এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে সেকেন্ড গেট সংলগ্ন আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রায় এক ঘণ্টা আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক প্রতীকী অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে আগারগাঁও থেকে বিজয় স্মরণী পর্যন্ত দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করব কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

;

‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারের দাবিতে আজও চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তৃতীয় দিনেও চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ছবি: বার্তা২৪.কম

তৃতীয় দিনেও চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন 'প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আয়োজনে তৃতীয় দিনের মতো সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রধান ফটকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাবি শিক্ষকগণ যথারীতি বেলা ১২ টা থেকে ১ টা অব্দি এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে কলা ভবনের মূল ফটকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেছেন। এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল সকালেই নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় বসবো আমরা।'

তিনি আরও জানান, আন্দোলন সফল হলে ক্লাসে ফেরার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের হঠাৎ কোন সিদ্ধান্তের ফলে অসুবিধায় না পড়তে হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রত্যাখ্যান করছে। এবং শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অর্থমন্ত্রী অযৌক্তিক বলেছেন, আমরা সেটিও প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি যোগ করেন, সরকারের অনেকগুলি অঙ্গসংগঠন আছে। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলতে চাচ্ছি, আপনারা বিভ্রান্ত করবেন না। বিভ্রান্ত করার সুযোগ এখানে নেই।

তিনি আরও বলেন, একটি বিষয় বার বার পরিষ্কার করে বলছি, আমরা কাউকে জিন্মি করছি না। সন্তানসহ শিক্ষার্থীদেরকে আমরা জিন্মি করছি না বরং তাদের জন্যেই এই আন্দোলন। বরং অর্থ মন্ত্রণালয়ই আমাদেরকে জিন্মি করছে। পাশাপাশি আমাদের কাছে যদি আলোচনায় বসার আহবান আসে, সেক্ষেত্রে আমরা আলোচনায় বসবো। তবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

প্রসঙ্গত, এদিকে আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এ আন্দোলনে শিক্ষকদের দাবি—প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।

;

এবার সড়ক অবরোধ করে কোটা বিরোধী আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে এবার রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেট পর্যন্ত শোডাউন দেয়। এরপর হাটহাজারী-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ জানান, 'আমরা আজ কোটার বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনে নেমেছি। মেধার জোরে চাকুরি হোক। বাংলাদেশ কোটা মুক্ত। মেধাবীদের মূল্যায়ন হোক।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল যদি হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেয় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব ।'

এ সময় আন্দোলনকারীরা চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো :

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

;

আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা

ছবি: বার্তা২৪, প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয়) বাতিলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তিনদিন ধরে টানা আন্দোলন করছেন। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ড. নিজামুল হক বলেন, ওবায়দুল কাদের বুধবার সন্ধ্যায় আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে সময় দিয়েছেন।

এ ঘোষণার পরেও শিক্ষকদের কর্মসূচি চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক আন্দোলন চলতে থাকবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম টানা তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে এক ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এই স্কিম শুরু হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এরপর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও।

এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকদের তিনটি মূল দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।

;