চবিতে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলন ২০২৪’ এর প্রথমদিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ লেখক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ‘লেখার মেলবন্ধনে, একত্রিত হও লেখক বন্ধু’ স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটির চবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন ও হাসনা বেগম আশার সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইত্তেখারুল ইসলাম সিফাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, প্যানেল আলোচক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, চবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রাশেদ রউফ এবং আমাদের নতুন সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আলিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, আমাদের আশাবাদী হওয়ার অনেক জায়গায় রয়েছে এর মধ্যে লেখক ফোরাম অন্যতম। মানুষ গবেষণা করলে পরিশ্রম করলে এবং পড়াশোনা করলে দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারে। লেখক আর পাঠকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পাঠকরা পড়ে মুগ্ধ হয়, অপরদিকে লেখকরা কোনো বিষয় পড়ে মুগ্ধ হয় এবং চিন্তা করে। পড়ার মাধ্যমে লেখক হতে হবে। পড়ার বাইরে কেউ লেখক হতে পারে না। পবিত্র কলম দিয়ে আমরা যেন মানুষের উপকার ককরতে পারি। পৃথিবীতে লেখার মাধ্যমে ফুল ফোটাতে হবে তোমাদের।

প্যানেল আলোচনায় বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, কলাম লেখকরা সমাজের বিভিন্ন সমস্যাগুলো সমাজের মানুষ দেশ, রাষ্ট্র এবং সরকারের কাছে তুলে ধরেন। কলামে আমাদের আবেগ যুক্তি তথ্য- উপাত্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানান দেয়া। লেখালেখিতে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবধান চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর নির্ভর করে। লেখায় আমাদের ভাষার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। স্বাধীনতার চেতনায় আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এ লক্ষ্যে আমরা আমলা হবো কবি হবো এবং সাহিত্যেক হবো। আমাদের শিশুরা প্রাইমারিতে পড়াশোনা থেকে বিমুখ হচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মোবাইল এবং মাদকের প্রতি যে আসক্তি সেবিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। আপনাদের মানসিক মূলত বাংলাদেশের মানসিকতা। এ দেশ অসম্প্রদায়িক আমাদের স্বাধীনতার চেতনায় একত্রে কাজ করতে হবে। লেখক ফোরামের মাধ্যমে আমরা আগামীতে শ্রেষ্ঠ লেখক পাবো।

উল্লেখ্য, ২ দিনব্যাপী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক আবুল মোমেন এবং চবির ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।

তৃতীয় দিনেও সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে শেকৃবি শিক্ষকরা



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে অচলাবস্থায় পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা। এমতাবস্থায় শিক্ষকরা সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মূলত রোববারের ( ১ জুলাই ) ঘোষণা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ।

এ সময় মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে এক শিক্ষক বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন একটি শান্তিপূর্ণভাবে এই পেনশন সংক্রান্ত 'বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন' প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একই যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে। আমাদের দাবি যখনই সরকার মেনে নিবে, আমরা তখনই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সরে আসবো।'

তিনি আরও বলেন, 'বৈষম্যমূলক’ প্রত্যয় স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে।'

মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষক বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। শিক্ষকরা সকল কিছু কাণ্ডারি। কেননা এসব ছেলেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া গবেষণা, নতুন কিছুর উদ্ভাবন এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই করেন। এখন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের যে বৈষম্য বিরাজমান হচ্ছে এতে করে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এই নীতিতে গবেষণা বা এই ধরনের কাজ বাদ দিয়ে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষককে অবমূল্যায়ন করে কোনো জাতি কখনো বড় হতে পারে নি, পারবে না। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উভয়ের কথা বিবেচনা করে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।'

;

কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধার নাতিও



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবী রহমান শ্রাবণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবী রহমান শ্রাবণ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে গণপদযাত্রা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরাও।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় এলাকায় পরিপত্র পুনর্বহালের দাবির আন্দোলনে বক্তব্য রাখেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি। তার নাম ফারাবী রহমান শ্রাবণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ/ছবি: বার্তা২৪.কম

শ্রাবণ বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ৩০ শতাংশ কোটা কখনোই সাধারণ জনগণের জন্যে ভালো নয়। আমি এমন কোটা পদ্ধতি কখনোই সমর্থন করি না। আমাদের পূর্ব পুরুষগণ এমন ব্যবস্থার জন্যে দেশ স্বাধীন করেন নাই।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেলা তিনটার দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট রোড দিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন। এতে আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে. সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শাহবাগ মোড়।

;

পেনশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে: অধ্যাপক মোতাহার হোসেন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতি।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকেরা। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানার সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। তবে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আজকে ছাত্ররা আন্দোলন করছে, অথচ আপনিই বলেছিলেন, যে কোটা থাকবে না, কিন্তু আবার কেন কোটা ফিরিয়ে আনা হলো? আপনিই বলেছেন, পেনশন সংক্রান্ত কোন ঝামেলা হবে না, কিন্তু কেন শিক্ষকদেরকে এই ধরণের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একটা কুচক্রী মহল শিক্ষকদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে । দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের দ্রুত ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিন।

আমলারা এই ধরণের স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদের অপমানিত করেছে এটা সরকারের বোঝা উচিত মন্তব্য করে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা একটা চক্রান্তের শিকার হয়েছি। আমি বলতে চাই, শিক্ষকদের এই আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। কেননা এই বাংলাদেশে ৫২ থেকে শুরু করে যত আন্দোলন হয়েছে তা করেছে ছাত্ররা এবং এর পিছনে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। সুতরাং শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব।

অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গতকাল অর্থমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছে সেটা কোনো ভালো কিছু না। এমন অর্থমন্ত্রী আমরা চাই না, পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি যেভাবে শিক্ষকদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে দিলেন এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কখনোই অযৌক্তিক আন্দোলন করে নাই, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমরা প্রাণ দিয়েছি, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু যারা সর্বোচ্চ প্রশাসনের সাথে রয়েছে তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা যারা অধ্যাপক রয়েছি আমাদেরকে মারাত্মকভাবে চপেটাঘাত করা হয়েছে। আমরা এই স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, লুৎফর রহমান, শফিক উর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সুব্রত বণিকসহ আরও অনেকে।

;

বাকৃবিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ



বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি ) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে রাখে তারা।

এসময় মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা যাবৎ থেমে থাকে। এতে শত শত ট্রেন যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কোটা প্রথা এভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া আর কোনো কোটার প্রয়োজন নেই।

তারা আরও বলেন, মেধাবীদের প্রতিযোগীতার মাঠ সমান্তরাল করতে হবে। মেধাবীরা বেকার থাকলে দেশ পিছিয়ে যাবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা সবার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। বর্তমানে আবার পুরনো সেই কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস দেখা যাচ্ছে তাতে এই মৌলিক অধিকার লাভের পথ ব্যাহত হবে। এমন বৈষম্যের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছে সচেতন ছাত্র সমাজ।

বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেছিল। এখন ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

;