ইবিতে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি, সেশন জটের শঙ্কা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

সার্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন সুপার গ্রেড ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন সহ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে গিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা।

সোমবার (১ জুলাই) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে অচল অবস্থার মধ্যে পড়ে সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু বিভাগে পূর্বে থেকেই সেশনজট বিদ্যমান রয়েছে। এর মাঝে নতুন এই কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত তাদের ভবিষ্যত একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

তাদের দাবি মাত্রই আমরা ঈদুল আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলাম। এসেই আবার এমন একটি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনালের মতো পরীক্ষাও আটকে রয়েছে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মধ্যে। বিষয়টিকে অনেকে করোনা মহামারিতে পিছিয়ে পরা শিক্ষাব্যবস্থার সাথেও তুলনা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী যায়িদ বিন ফিরোজ বলেন, আমাদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিলো জুলাই মাসের ১ তারিখে। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে এখন দেখছি যে পরীক্ষা হবে না। কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়েও তারা কোনো আশ্বাস দিচ্ছে না। আমাদের মতো এমন অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছে। চাইবো যেনো দ্রুত শিক্ষকরা আবার একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে আসে। না হয় আমাদের করোনা পরবর্তী আবার সেশন জটের একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনেও খারাপ প্রভাব ফেলবে।

এদিকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরল শিক্ষকরা। গত দু’মাস ধরে বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ১লা জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমরা শুরুতেই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাই নি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চেয়েছিলাম যেনো আগেই এর সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু কোনো সুরাহা না পেয়ে আজকের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছি আমরা। সারা বাংলাদেশের সকল পবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আজকের এই প্রথম দিনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা আশাকরি সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি আমলে নিয়ে খুব দ্রুত এর সমাধান দিবেন।

সেশন জটের আশঙ্কা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আন্দোলনটি দীর্ঘদিন চলমান থাকলে কিছুটা সেশনজট হতে পারে। তবে আমরা শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যাতে না হয় তার চেষ্টা করবো। আমরা সরকার থেকে সমাধান পেলেই আবার পুরোদমে ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে আসবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এধরণের আন্দোলন বা কর্মসূচি চলমান থাকলে অবশ্যই সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে৷ তবে শিক্ষকরা চাইলে আবার সেই ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নিতে পারবেন। আমার শিক্ষকদের প্রতি আহবান থাকবে যখন বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে তারা যেনো এই বিষয়ে নজর দিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।

তৃতীয় দিনেও সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে শেকৃবি শিক্ষকরা



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে অচলাবস্থায় পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয়, বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা। এমতাবস্থায় শিক্ষকরা সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মূলত রোববারের ( ১ জুলাই ) ঘোষণা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ।

এ সময় মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে এক শিক্ষক বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন একটি শান্তিপূর্ণভাবে এই পেনশন সংক্রান্ত 'বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন' প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একই যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে। আমাদের দাবি যখনই সরকার মেনে নিবে, আমরা তখনই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সরে আসবো।'

তিনি আরও বলেন, 'বৈষম্যমূলক’ প্রত্যয় স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে।'

মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষক বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। শিক্ষকরা সকল কিছু কাণ্ডারি। কেননা এসব ছেলেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া গবেষণা, নতুন কিছুর উদ্ভাবন এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই করেন। এখন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের যে বৈষম্য বিরাজমান হচ্ছে এতে করে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এই নীতিতে গবেষণা বা এই ধরনের কাজ বাদ দিয়ে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষককে অবমূল্যায়ন করে কোনো জাতি কখনো বড় হতে পারে নি, পারবে না। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উভয়ের কথা বিবেচনা করে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।'

;

কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধার নাতিও



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবী রহমান শ্রাবণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবী রহমান শ্রাবণ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে গণপদযাত্রা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরাও।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় এলাকায় পরিপত্র পুনর্বহালের দাবির আন্দোলনে বক্তব্য রাখেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি। তার নাম ফারাবী রহমান শ্রাবণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ/ছবি: বার্তা২৪.কম

শ্রাবণ বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ৩০ শতাংশ কোটা কখনোই সাধারণ জনগণের জন্যে ভালো নয়। আমি এমন কোটা পদ্ধতি কখনোই সমর্থন করি না। আমাদের পূর্ব পুরুষগণ এমন ব্যবস্থার জন্যে দেশ স্বাধীন করেন নাই।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেলা তিনটার দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট রোড দিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন। এতে আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে. সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শাহবাগ মোড়।

;

পেনশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে: অধ্যাপক মোতাহার হোসেন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতি।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকেরা। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানার সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। তবে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আজকে ছাত্ররা আন্দোলন করছে, অথচ আপনিই বলেছিলেন, যে কোটা থাকবে না, কিন্তু আবার কেন কোটা ফিরিয়ে আনা হলো? আপনিই বলেছেন, পেনশন সংক্রান্ত কোন ঝামেলা হবে না, কিন্তু কেন শিক্ষকদেরকে এই ধরণের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একটা কুচক্রী মহল শিক্ষকদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে । দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের দ্রুত ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিন।

আমলারা এই ধরণের স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদের অপমানিত করেছে এটা সরকারের বোঝা উচিত মন্তব্য করে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা একটা চক্রান্তের শিকার হয়েছি। আমি বলতে চাই, শিক্ষকদের এই আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। কেননা এই বাংলাদেশে ৫২ থেকে শুরু করে যত আন্দোলন হয়েছে তা করেছে ছাত্ররা এবং এর পিছনে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। সুতরাং শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব।

অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গতকাল অর্থমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছে সেটা কোনো ভালো কিছু না। এমন অর্থমন্ত্রী আমরা চাই না, পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি যেভাবে শিক্ষকদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে দিলেন এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কখনোই অযৌক্তিক আন্দোলন করে নাই, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমরা প্রাণ দিয়েছি, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু যারা সর্বোচ্চ প্রশাসনের সাথে রয়েছে তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা যারা অধ্যাপক রয়েছি আমাদেরকে মারাত্মকভাবে চপেটাঘাত করা হয়েছে। আমরা এই স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, লুৎফর রহমান, শফিক উর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সুব্রত বণিকসহ আরও অনেকে।

;

বাকৃবিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ



বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি ) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে রাখে তারা।

এসময় মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা যাবৎ থেমে থাকে। এতে শত শত ট্রেন যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কোটা প্রথা এভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া আর কোনো কোটার প্রয়োজন নেই।

তারা আরও বলেন, মেধাবীদের প্রতিযোগীতার মাঠ সমান্তরাল করতে হবে। মেধাবীরা বেকার থাকলে দেশ পিছিয়ে যাবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা সবার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। বর্তমানে আবার পুরনো সেই কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস দেখা যাচ্ছে তাতে এই মৌলিক অধিকার লাভের পথ ব্যাহত হবে। এমন বৈষম্যের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছে সচেতন ছাত্র সমাজ।

বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেছিল। এখন ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

;