কোটা বাতিলের দাবি

আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ শেকৃবি শিক্ষার্থীদের



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শেকৃবি, ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শেকৃবি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা বিরোধী আন্দোলনে আবারও আগারগাঁও-ফার্মগেট পথ অবরোধ করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উত্থাপন করেন।

এছাড়াও সামনে আরও বড় অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথাও জানিয়েছেন শেকৃবি শিক্ষার্থীরা।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ করেছে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি আমাদের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার পুনর্বিন্যাস। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নই, বরং দেশের অগ্রগতি রক্ষায় দেশের সব চাকরি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগ নিশ্চিতেই আমাদের আন্দোলন।


আগামীকাল আরও বড় আকারে আন্দোলন এবং অবস্থান কর্মসূচির আহবান করেছে তারা। শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল আগারগাঁও মোড় এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে সেকেন্ড গেট সংলগ্ন আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রায় এক ঘণ্টা আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক প্রতীকী অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে আগারগাঁও থেকে বিজয় স্মরণী পর্যন্ত দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করব কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

কোটা ইস্যু: চবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় অর্ধশত ব্যাচ তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাচগুলো হলো: রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ-১ম বর্ষ, স্নাতকোত্তর, সংস্কৃত বিভাগ-৪৬তম ব্যাচ, অর্থনীতি বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ-৪১তম ব্যাচ,লোকপ্রশাসন বিভাগ- ৪২তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ ৪৩তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ - ৫৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ, দর্শন বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ,দর্শন বিভাগ-৫৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৮তম, ইতিহাস বিভাগ-৫৬তম ব্যাচ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ-৩৬ তম ব্যাচ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ ১৫তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ ৫৬তম ব্যাচ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব জানান, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" প্ল্যাটফর্মের আগামী কর্মসূচির সাথে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের "১৫ তম ব্যাচ" একাত্মতা ঘোষণা করছি। কোটা একটি বৈষম্যমূলক পদ্ধতি যার মাধ্যমে যোগ্যতা, মেধা এবং পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। তাই আমরা এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আগে পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না। আগামী রবিবার থেকে যদি শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন শেষ করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করব, আমরা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের কেউ ক্লাসে ফিরবো না এবং কোনোরকম একাডেমিক কার্যক্রমেও অংশ নিবো না। সকলধরণের ক্লাস ও পরীক্ষা আমরা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচ আজকে থেকে বর্জন করছি।

ক্লাস বর্জনকারী বাংলা বিভাগের ৫৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই কোটা সিস্টেম চালু থাকলে চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন কখনো হবে না। তাই আমরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি। যতদিন না আমাদের দাবি না মানা হয় ততদিনে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরব না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিতের রহমান বলেন, আমরা কোটার বৈষম্য চাই না। কোটা দিয়ে কখনো মেধার মূল্যায়ন হয় না। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ২নং গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগেও দুই দফায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করেছিল শিক্ষার্থীরা।

;

জবি ছাত্রলীগের 'ঋণাত্মক' অভিযোগ তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মদ্যপান, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়সহ সকল ঋণাত্মক অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো এবং সাত দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

কমিটিতে থাকা দুজন সদস্য হলো—বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী।

গত বুধবার জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন চৌধুরী পিংকুর মদপানের ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে এই নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত ছাত্রলীগের টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

কী কারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেখতে পেয়েছি, বিভিন্ন ঋণাত্মক বিষয় দেখতে পেয়েছি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় শুনেছি। সে অভিযোগ গুলোর সত্যতা কতটুকু তা যাচাই-বাছায়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তের অন্তর্ভুক্ত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উদ্ভূত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

;

কোটা আন্দোলনে ঢাবির অন্যতম সমম্বয়ককে হল থেকে বের করার চেষ্টা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অন্যতম সমম্বয়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলমকে হল থেকে বের করার চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে অমর একুশে হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বুধবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অমর একুশে হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে নানা স্লোগান দেন।

সারজিস আলম জানান, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের হল শাখার কয়েকজন পদপ্রার্থী সারজিসের এক রুমমেটকে ডেকে হল থেকে নেমে যাওয়ার কথা জানান। বিষয়টি জানার পর তিনি পদপ্রার্থীদের সাথে টিএসসিতে দেখা করেন এবং তথ্যের সত্যতা জানতে চান। ছাত্রলীগের পদপ্রার্থীরা তাকে জানান, দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাদেরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চলমান আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার স্বার্থে হল থেকে নেমে যাওয়াকে ভালো মনে করি। কিন্তু আমি হল থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা আমাকে হলের সামনে আটকে দেয়।

এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ তাকে অভয় দিয়ে হলে থাকতে বলেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, পরে জানতে পেরেছি ছাত্রলীগের হাইকমান্ড থেকে এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। হল পদপ্রার্থীরা 'কৃতিত্ব' পাওয়ার জন্য এমন কাজ করেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের প্রতিনিধিরা আমার সাথে দেখা করেছে। যারা আমাকে নেমে যেতে বলেছে, তারা পরে ক্ষমা চেয়েছে।

হলের কোন পদপ্রার্থীরা তাকে নেমে যেতে বলেছেন, তা সারজিস জানাননি।

তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দামের হোসেনের অনুসারী পদপ্রত্যাশীরা তাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, সারজিসকে নেমে যাওয়ার নির্দেশের তথ্যে হলের মূল ফটকে অন্তত পাঁচশ শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে পুরো ঘটনা জানালে তারা রাত ১টা নাগাদ স্থান ত্যাগ করেন।

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ জানান, এটি একটি অপতথ্য ছিল। আমি ভেবেছিলাম শিক্ষাথীদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়েছে। পরে দেখি, এমন কোনো পরিস্থিতি নয়। যারা সারজিসকে হল ছাড়ার কথা বলেছে, তাদের সাথে তার মীমাংসা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুরো ঘটনা না জেনেই অবস্থান নিয়েছে।

;

জাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আহ্বায়ক আরিফ সোহেল ও সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ

আহ্বায়ক আরিফ সোহেল ও সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগমান করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেলকে আহ্বায়ক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘকে সদস্য সচিব করে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু, ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম।

এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা (৫০তম ব্যাচ), জেবা হামিরা (৫০তম ব্যাচ), নাদিয়া রহমান (৫১তম ব্যাচ), সোহেল (৪৭তম ব্যাচ), নাসিম আল তারিক (৪৯তম ব্যাচ), সাগর (৪৯তম ব্যাচ), অন্তর (৪৯তম ব্যাচ), স্বপন (৪৯ তম ব্যাচ), আরিফ হোসাইন (৫১তম ব্যাচ), নিয়াজ মোর্শেদ নাহিদ (৫২তম ব্যাচ)৷ তবে ছয়টি সদস্য পদ কো-অপ্ট হিসেবে রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিটির আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি আইন গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভূত। গণমানুষের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই আইনের কাঠামোগুলোর পরিবর্তন হয়। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিটি যে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের দাবি তা আমরা হয়ত কাজের মাধ্যমে বিচারপতিকে উপলব্ধি করাতে পারিনি। আমরা আমাদের সংগ্রামের ভিতর দিয়ে প্রধান বিচারপতি ও সরকারকে বুঝিয়ে দিতে চাই, সারাদেশের কোটার যে ব্যবস্থা, এর একটি যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন।

;