কোটা বিরোধী আন্দোলন: ছয় ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধের পর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা 



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছয় ঘণ্টা শাহবাগে অবস্থান করার পর শাহবাগ মোড় ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শাহবাগ মোড়ে বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অবরোধের পর ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম আগামী ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামী শুক্রবার অনলাইনে-অফলাইনে জনসংযোগ হবে। আগামী শনিবার বিকেল ৩টায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে মিছিল করা হবে। আগামী রোববার সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট পালিত হবে। শনিবার বিক্ষোভ মিছিলের পর রোববারের মাঠের কর্মসূচি ঘোষিত হবে।

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে মহামান্য আদালত যেন আমাদের কথা বিবেচনা করেন।

তিনি নির্বাহী বিভাগকে প্রশ্ন করে বলেন, ১৮ সালে তারা কী এমন পরিপত্র জারি করল, যা পাঁচ বছরে বাতিল হয়ে যায়? তাহলে সেই পরিপত্রের মধ্যে তাদের ভুল রয়েছে। যারা যথাযথ বিধি মেনে এটি জারি করতে পারেনি। এটি শিক্ষারথীদের আন্দোলনের সাথে প্রহসন করা হয়েছে। আমরা এই প্রহসন মানি না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে৷ এখনো নির্বাহী বিভাগ বা সরকার থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজ শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। অধিকার কোনো সময় একদিনে আদায় করা যায় না। আমাদের মাঠে থাকতে হবে।

কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহাবাগ মোড় অবরোধ করে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

শাহাবাগ মোড় অবরোধ করে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগী না হয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা দেখি না।

এ বিষয়ে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মাহিন সরকার বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে আমরা কোটা বাতিল চাইনি। সেসময় সংসদকে তোয়াক্কা না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যখন পরিপত্র জারি করে তখন সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছিল। আজকে প্রধানমন্ত্রীর এধরণের বক্তব্য আমাদের কাছে আকস্মিক লেগেছে। আমরা এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছি।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর আরবকটু ভেবে এ ধরণের কথা বলা উচিৎ ছিলো। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছি না। আমরা পৌষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। প্রতিবন্ধী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা আমরা চাই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের পরে তাদের সন্তান, নাতি- নাতনিদের জন্য এত বেশি কোটা আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা এর যৌক্তিক সংস্কার চাই। প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আমরা চাই সেটা মেধাবীদেরকে দিয়েই হোক।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের মোসাদ্দেক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশারবাণী শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ছাত্রসমাজ দারুণভাবে আশাহত হয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক কোন আন্দোলন করছেন না। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখেই বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। সুতরাং আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা অযৌক্তিক কোন কিছু নয়। ছাত্র-জনতার জন্যই আইন, আইনের জন্য ছাত্রজনতা নয়।

তিনি আরও বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের কোথাও কোটা শব্দটির উল্লেখ নেই। সংবিধান সব সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আদালতের এই রায় কোনভাবেই ন্যায়বিচার হতে পারে না। তাই ছাত্রসমাজ রাজপথে আন্দোলন করার মাধ্যমেই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সব ধরনের বৈষম্য দূর করবে।

;

আগারগাঁও মোড় অবরোধ করে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা বিরোধী তীব্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এবং আগারগাঁও অঞ্চল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং আগারগাঁও মোড়ে অবরোধ পালন করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

রোববার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস জুড়ে স্লোগান-মিছিল দিয়ে আগারগাঁও আট রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়।পরবর্তীতে শত শত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এসময় মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়ক দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। যার ফলস্বরূপ এই রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং দুই রুটে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বিকাল পাঁচটার পরে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।


শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে মেধা-ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।

এই অবরোধকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে কোটা প্রথার বিরোধিতা করেন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্লোগান গুলো “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের এই অবরোধকালীন সময়গুলোতে আমরা উপস্থিত ছিলাম। মানুষের দুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য বারবার অনুরোধ করছি।'

এসময় ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।

;

ঢাবির কোটাবিরোধীরা শাহবাগে, ছাত্রলীগ মধুর ক্যান্টিনে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবির কোটাবিরোধীরা শাহবাগে, ছাত্রলীগ মধুর ক্যান্টিনে

ঢাবির কোটাবিরোধীরা শাহবাগে, ছাত্রলীগ মধুর ক্যান্টিনে

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ এর মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজারো শিক্ষার্থী। আর মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় কোটাবিরোধীদের মিছিল শুরুর কিছু সময় আগ থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন।

ঢাবির হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন। এসময় মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে যেন হলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকতে না পারেন, সেজন্য মধুর ক্যান্টিনে কর্মসূচি দিয়ে রাখে ছাত্রলীগ। এছাড়া হলের অভ্যন্তরীণ পলিটিক্যাল মেসেঞ্জার গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংগঠনের 'কনসার্ন' ছাড়া কোথাও না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এ ধরনের বার্তা সংবলিত স্ক্রিনশট পাওয়া গিয়েছে।

তারা আরও জানান, যখনি কোটা আন্দোলনের সময় হয় তখনি শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা রুমে এসে জানান দেন মধুর ক্যান্টিনে 'প্রোগ্রাম' আছে, যেতে হবে'।

প্রসঙ্গত, এর আগেও গত ৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সূর্যসেন হলের কলাপসিবল গেট আটকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

;

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চারদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক টানা ২ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় লাগাতার অবরোধ চালিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পুরোপুরি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রোববার (৭ জুলাই) বেলা পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ হতে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরবর্তীতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন তারা।

এর আগে, শনিবার (৬ জুলাই) কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগমান করতে আবাসিক হলগুলোতে গণসংযোগ শেষে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' এর সদস্য-সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ সারা দেশে ঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কে সফল করতে দুপুর ৩টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন। তবে সে সময়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ হলে বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৪০০ বছর ধরে পালিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান রথযাত্রা ব্যাহত হবে। এজন্য আয়োজকরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবরোধ কর্মসূচি বেলা ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টায় শেষ করার ঘোষণা দেন।

অবরোধকালে শিক্ষার্থীদের ‘বায়ান্নোর হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার; একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার; সারাবাংলা খবর দে, কোটা প্রথা কবর দে; কোটা প্রথা বাতিল চাই মেধা ছাড়া চাকরি নাই; মেধাবীদের মেরে ফেলেন নয়তো কোটা বাতিল করেন; নিপাত যাক, নিপাত যাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক; বৈষম্যের ঠাই নাই লাখো শহীদের বাংলায়; মেধা নাকি কোটা? মেধা, মেধা; মানতে হবে মানতে হবে, আমাদের দাবি মানতে হবে; জেগেছে রে জেগেছে, জাবি জেগেছে-লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে; মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়৷

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, আমাদের এ আন্দোলন বাংলাদেশের সব ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের এ দাবির সাথে সব ছাত্ররাই একমত। বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আজকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, আজকের কর্মসূচি রাষ্ট্রপক্ষকে এটা জানান দেওয়ার জন্য যে, কোনো ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত যদি ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে লাগাতার অবরোধ চলবে এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পুরোপুরি অচল করে দেয়া হবে।

;