কোটা ইস্যু: চবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় অর্ধশত ব্যাচ তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাচগুলো হলো: রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ-১ম বর্ষ, স্নাতকোত্তর, সংস্কৃত বিভাগ-৪৬তম ব্যাচ, অর্থনীতি বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ-৪১তম ব্যাচ,লোকপ্রশাসন বিভাগ- ৪২তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ ৪৩তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ - ৫৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ, দর্শন বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ,দর্শন বিভাগ-৫৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৮তম, ইতিহাস বিভাগ-৫৬তম ব্যাচ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ-৩৬ তম ব্যাচ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ ১৫তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ ৫৬তম ব্যাচ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব জানান, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" প্ল্যাটফর্মের আগামী কর্মসূচির সাথে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের "১৫ তম ব্যাচ" একাত্মতা ঘোষণা করছি। কোটা একটি বৈষম্যমূলক পদ্ধতি যার মাধ্যমে যোগ্যতা, মেধা এবং পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। তাই আমরা এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আগে পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না। আগামী রবিবার থেকে যদি শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন শেষ করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করব, আমরা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের কেউ ক্লাসে ফিরবো না এবং কোনোরকম একাডেমিক কার্যক্রমেও অংশ নিবো না। সকলধরণের ক্লাস ও পরীক্ষা আমরা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচ আজকে থেকে বর্জন করছি।

ক্লাস বর্জনকারী বাংলা বিভাগের ৫৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই কোটা সিস্টেম চালু থাকলে চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন কখনো হবে না। তাই আমরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি। যতদিন না আমাদের দাবি না মানা হয় ততদিনে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরব না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিতের রহমান বলেন, আমরা কোটার বৈষম্য চাই না। কোটা দিয়ে কখনো মেধার মূল্যায়ন হয় না। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ২নং গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগেও দুই দফায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করেছিল শিক্ষার্থীরা।

বাংলা ব্লকেড: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ১৩ কিলোমিটার যানজট



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলা ব্লকেড

ছবি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলা ব্লকেড

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও ২০১৮ সালের কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রায় চার ঘন্টা অবরোধ করেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।

সারাদেশে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অবরোধে অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুইপাশে প্রায় ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা সদর দক্ষিনের কোটবাড়ি অংশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসে সড়ক অবরোধ করেন। পরবর্তীতে সাড়ে সাতটা নাগাদ তারা অবরোধ তুলে নেন।

এসময় তারা 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

স্লোগানের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থাও করেন শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের পলাশ হাসান বলেন , 'সাংস্কৃতিকভাবে আমরা আন্দোলনে আছি। আমি কবিতা আবৃত্তি করেছি, কবিতা হচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা। বায়ান্ন, একাত্তরে কবিতা ছিলো প্রতিবাদের বাহক, তাই আমরাও এই আন্দোলনে কবিতাকে আওতাভুক্ত করেছি।'

এর আগে গত ৪ ও ৭ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রায় তিন ঘন্টা ও চার ঘন্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে চারদফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

;

কোটা আন্দোলন, শাহবাগে কৃষক বেশে তিন শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শাহবাগে কৃষক বেশে তিন শিক্ষার্থী, ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহবাগে কৃষক বেশে তিন শিক্ষার্থী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এর অন্যতম কারণ ৫৪ শতাংশ কোটা। ফলে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দলোনের পঞ্চম দিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে কৃষকের বেশে দেখা গেছে তিনজন শিক্ষার্থীকে। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।

কৃষকের বেশে আসা শিক্ষার্থীরা হাতে বহন করছিলেন একটি প্লাকার্ড। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘চল, চল, চল- পড়াশোনা বাদ দেই, মাঠে গিয়ে চাষ দেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদমান বলেন, ‘আমাদের বাবা-মা মধ্যবিত্ত৷ চাষার সন্তান। আমরা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনা শেষে সরকারি চাকরির সঠিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় হচ্ছে। সরকার আমাদের মেধার মূল্যায়ন করতে পারছে না।

তাই চাকরির পরীক্ষায় কোটা আর প্রশ্ন ফাঁসের মতো নানা অনিয়মের কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের আদি পেশায় ফেরত যাওয়া ছাড়া কোনো পথ দেখছি না।

এ সময় তার সঙ্গে কৃষকের বেশে ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম এবং জাপানিজ ভাষা অনুষদের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম। তাদের এক হাতে কোটা সংস্কার ও কৃষি কাজে যাওয়ার প্লেকার্ড। অপর হাতে বই। লুঙ্গি, গেঞ্জি আর গামছায় সেঁজে ছিলেন নবীন কৃষক।

;

রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্থারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ৪ ঘন্টা রেলপথ অবরোধের ফলে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহম্মেদ মাসুম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের ফলে ঢালারচর থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস, খুলনা টু রাজশাহী অভিমুখী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা টু রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এসব ট্রেনের আবার ফেরার ক্ষেত্রেও শিডিউল বিপর্যয় হবে।

এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সমবেত হন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দুপুর ১২টায় রেলপথে অবস্থান নেয় তারা। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি কবিতা আবৃতি ও নানা ধরনের সংগীত পরিবেশন করেন। এভাবে ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ একের পর এক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেল ৪টায় কর্মসূচি শেষে রাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রেজোয়ান গাজী মহারাজ পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, আমরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আন্দোলন করেছি, কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের মেইন গেটে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আজকে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রেললাইন অবরোধ করেছি। পরিস্থিতি যদি আমাদের আরও কঠোর হতে বাধ্য করে, আমরা আরও কঠোর হবো। আমাদের এখন এক দফা দাবি, কেবল প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারী চাকুরিতে নয়, বরং সকল চাকুরিতেই আমরা কোটার সংস্কার চাই। এসময় পরবর্তী কর্মসূচি সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে সন্ধ্যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া, এদিন একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

;

শেকৃবিতে 'বাংলা ব্লকেড' চলমান, আগারগাঁও মোড় অবরোধ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা বিরোধী তীব্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এবং আগারগাঁও অঞ্চল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং আগারগাঁও মোড়ে অবরোধ পালন করে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।‌

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস জুড়ে স্লোগান-মিছিল দিয়ে আগারগাঁও আট রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়। পরবর্তীতে শত শত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এসময় মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়ক দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। যার ফলস্বরূপ এই রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং দুই রুটে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বিকাল ৫টার পরে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে মেধা-ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।

এই অবরোধকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে কোটা প্রথার বিরোধিতা করেন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্লোগান গুলো “উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর”, “আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের এই অবরোধকালীন সময়গুলোতে আমরা উপস্থিত ছিলাম। মানুষের দুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য বারবার অনুরোধ করেছি।'

উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।

;