রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্থারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ৪ ঘন্টা রেলপথ অবরোধের ফলে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহম্মেদ মাসুম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের ফলে ঢালারচর থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস, খুলনা টু রাজশাহী অভিমুখী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা টু রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এসব ট্রেনের আবার ফেরার ক্ষেত্রেও শিডিউল বিপর্যয় হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সমবেত হন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দুপুর ১২টায় রেলপথে অবস্থান নেয় তারা। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি কবিতা আবৃতি ও নানা ধরনের সংগীত পরিবেশন করেন। এভাবে ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ একের পর এক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেল ৪টায় কর্মসূচি শেষে রাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রেজোয়ান গাজী মহারাজ পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, আমরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আন্দোলন করেছি, কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের মেইন গেটে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আজকে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রেললাইন অবরোধ করেছি। পরিস্থিতি যদি আমাদের আরও কঠোর হতে বাধ্য করে, আমরা আরও কঠোর হবো। আমাদের এখন এক দফা দাবি, কেবল প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারী চাকুরিতে নয়, বরং সকল চাকুরিতেই আমরা কোটার সংস্কার চাই। এসময় পরবর্তী কর্মসূচি সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে সন্ধ্যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া, এদিন একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।