ঢাবির হলে ক্যান্টিনের খাবারে মিলল তেলাপোকা

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাবির হলে ক্যান্টিনের খাবারে মিলল তেলাপোকা

ঢাবির হলে ক্যান্টিনের খাবারে মিলল তেলাপোকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক্সটেনশন বিল্ডিং সংলগ্ন ক্যান্টিনের খাবারে মিলেছে তেলাপোকা। ক্যান্টিন মালিককে জরিমানা করেন হল প্রভোস্ট।

বুধবার (১০ জুলাই) রাতের খাবার খেতে গিয়ে তার জন্য পরিবেশিত খাবারে তেলাপোকা পায়। বিষয়টি নিয়ে হলের সায়েদ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। খবর জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ক্যান্টিন মালিক হাবিবকে জরিমানা করেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, হল প্রভোস্টের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে উপস্থিত হয়ে ক্যান্টিন মালিককে জেরা করছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের কাছে নিজেদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। এরপর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো.আব্দুর রহিম ক্যান্টিম মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অভিযোগকারী সায়েদ মাহমুদ নামের ঐ শিক্ষার্থী বলেন, আমি এর আগেও খাবারে ফড়িং পেয়েছিলাম। এই ক্যান্টিনের খাবারের মান অত্যন্ত বাজে।

বিজ্ঞাপন

অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, হাবিবের ক্যান্টিনে বিভিন্ন সময় এক খাবারের পরিবর্তে আরেক খাবার দিয়ে দেয়। ঠিকমতো পরিষ্কারও করে না। সে বেশিরভাগ সময় ক্যান্টিনেও থাকে না। তার ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছি অনেকেই।

ক্যান্টিনের মালিক হাবিব বলেন, মানুষের মাঝে মধ্যে ভুল হয়ে যায়। আমি আসলে খেয়াল করিনি তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় সেদিকে আমি খেয়াল রাখবো। আমি আশ্বস্ত করছি এমন ভুল ভবিষ্যতে আর হবে না।

অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, আমি অভিযোগ সম্পর্কে শুনে তৎক্ষণাৎ ছুটে এসে ক্যান্টিন মালিক ও সকল স্টাফদের জড়ো করি আমার সাথে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরাও ছিল। আমি সব শুনে ক্যান্টিন মালিক হাবিবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। এই অর্থ এবং হলের ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে ক্যান্টিনের জন্য নতুন ক্রোকারিজ ও টেবিল ম্যাট এবং আনুষঙ্গিক খরচ করা হবে। এছাড়াও ক্যান্টিন মালিককে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে সে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করে এবং আচরণ ঠিক রাখে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের মেইন ক্যান্টিনের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতেও আমি কাজ করছি। আগামী দুইদিনের মধ্যেই সেটার কাজ শেষ হবে। হাবিবের ক্যান্টিনে যদি আমরা আবার কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করি তাহলে তাকে পরিবর্তন করা হবে।