রাজশাহীতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি, দুইদিন জনসংযোগ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একত্রে নিয়ে রাজশাহীতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এ উপলক্ষে আগামী শুক্রবার ও শনিবার জনসংযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়কবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান তারা।
সম্মেলনে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের রাবির অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুল্লাহ মুহিব বলেন, আমরা ঢাকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে আগামী ছুটির দুইদিন জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। আমরা এই দুইদিন আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব প্রতিষ্ঠান একই দিনে একই ধরনের প্রোগ্রাম রাখবো। আজ ও আগামী দুইদিন নিবন্ধন পরীক্ষায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, কেউ যেন আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য আমরা এইসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে আরেক সমন্বয়ক রেজওয়ান গাজি মহারাজ বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। আমরা প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের বর্ষভিত্তিক ক্লাস প্রতিনিধি ও হল প্রতিনিধি ঘোষণা করব। সামাজিক সংগঠন ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে বসে কিভাবে আন্দোলনকে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে ভেবে পরবর্তী কর্মসূচি দিবো।
আরেক সমন্বয়ক আমানুল্লাহ খান বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজশাহীর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি দিব। যাতে করে রাজশাহীতে আমরা একসঙ্গে কর্মসূচিগুলো পালন করতে পারি। নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে নতুন পরিপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থের জটিলতা নিরসন না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমরা থামছি না, আমাদের আন্দোলন চলবে।
এসময় কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের শিক্ষার্থীরা সতঃস্ফূর্ত ভাবে সারাদেশের সাথে সমন্বয় করে এক দফা এক দাবিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার চেয়ে আন্দোলনকে বেগবান করতে সোচ্চার। সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রাজপথে থেকে নির্বাহী বিভাগের কাছে দাবি জানিয়ে যাবে।