পানিবন্দি হয়ে আছে ঢাবির কয়েকটি হলসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকটি হলসহ আশেপাশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এতে বিপাকে পড়েছেন আবাসিক কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বাইরে জলাবদ্ধতা থাকায় জলবন্দী হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু হল। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বঙ্গমাতা কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হল রয়েছে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা অব্দি রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এ বৃষ্টিতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত রোড, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, নিউমার্কেট এলাকায় পানি দেখা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও এ জলাবদ্ধতায় আটকে আছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেনট জহুরুল হক হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শামসুন্নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল এর শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ভেতরের মাঠে এবং হল গেইটে পানি জমে আছে। এতে হল থেকে বের হওয়াই কঠিন।

বিজ্ঞাপন

শহীদ সার্জেনট জহুরুল হক হল এর আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হলের বাইরে পানি জমে থাকায় বন্দী হয়ে আছি আমরা। পানি যদি আর মাত্র একহাত উঠে তাহলেই রুমে পানি ঢুকে পড়বে।

স্যার এফ রহমান হলের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন ,আমার অফিস ধানমন্ডিতে। ধানমন্ডি যাওয়ার উদ্দেশ্যে হল থেকে বের হতেই দেখি গেইটে পানি জমে আছে। এভাবে যাওয়া সম্ভব নয় বলে আজকে আর বের হই নি। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা উচিত কর্তৃপক্ষের।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী তাবাসসুম আঁখি বলেন, গলা অবধি পানির মধ্য দিয়ে হল থেকে বের হলাম। আমি পুরোপুরি ভিজে গেছি। এই নোংরা পানিগুলোর মধ্য দিয়ে এভাবে আমাদেরকে বের হতে হচ্ছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাজমুন নাহার বলেন, হল এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি নিজে এখানে আছি। মৈত্রী হলের নিচের ফ্লোরে ১০৬ থেকে ১১০ নাম্বার রুমে যেসব শিক্ষার্থী থাকে আমরা তাদেরকে উপরের ফ্লোরগুলোতে সরিয়ে নিয়েছি।

তিনি আরও জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। এসব বিষয়গুলো সিটি করপোরেশন দেখে। আমরা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে খবর দিয়েছি। তারা ১ ঘণ্টার মধ্যে চলে আসবে বলে জানিয়েছে। তারা এসে নালা এবং পাম্পগুলো পরিষ্কার করে দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নেমে যাবে বলে আশা করছি।