শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা

কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল/বার্তা২৪.কম

ছবি: কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল/বার্তা২৪.কম

সকল চাকরির সকল গ্রেডে ও সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা নিরসনের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পুলিশি হামলার শিকার হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এই হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি প্রশাসনিক অদক্ষতার কারনে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলো হয়ে আনসার ক্যাম্প ঘুরে গোল চত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল আনসার ক্যাম্প পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা সেখানে এক যোগে জাতীয় সংগীত গায় এবং পুলিশি হামলার শিকার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। নীরবতা পালন শেষে শিক্ষার্থীরা আনসার ক্যাম্প মোড়কে 'ছাত্র আন্দোলন চত্বর' ঘোষণা করা হয়। এরপর চত্বরটিতে আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহকালে আহত দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মিলে নামফলক লাগান।

বিজ্ঞাপন

এরপর এই চত্বরের স্মৃতিস্বরূপ দুইটি গাছ লাগান শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা সদ্য নাম দেয়া 'ছাত্র আন্দোলন চত্বরে বক্তব্য রাখেন। তারা সেখানে এই হামলায় জড়িতদের বিচার চান এবং সেদিনের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এছাড়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার পদত্যাগও চান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে গোলচত্বরে স্লোগান দিতে থাকেন।

এই পুরোটা সময় আন্দোলনকারীরা 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, "আমাদের এ আন্দোলন যৌক্তিক ছিল, আমরা বিশ্বরোডের দিকে যাচ্ছিলাম অবরোধ করতে। তখন আমাদের ওপর হামলা করা হয়, লাঠিচার্জ করা হয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। আজকে আমরা দেখিয়ে দিবো শিক্ষার্থীরা কী করতে পারে। আমরা এই আন্দোলন আরো জোরদার করবো।"

উল্লেখ্য, গতকাল (১১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছুড়েন। ফলে তিন সাংবাদিক সহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১০টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা৷