কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বুলিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বুলিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: বুলিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের নারী শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জহুরা মিম কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস তাকে উদ্দেশ্যে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে ১২টার দিকে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আমিনুর বিশ্বাসের বিচার দাবি করেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

বুলিংয়ের শিকার ফাতেমাতুজ জহুরা মিমের সহপাঠী আসাদ আরাফাত বলেন, 'আমিনুর বিশ্বাস আমার সহপাঠীকে সাইবার বুলিং করেন। তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মত একটা সংগঠনের সভাপতি হয়ে তিনি এধরনের কাজ করেছেন। যা সত্যিই নিন্দনীয়। তার মতো একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা হন কী করে? প্রশাসনের কাছে আমার দাবি থাকবে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হোক।'

গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাওছার বলেন, 'সভ্যতা গড়ে উঠতে নারী পুরুষের সমান অবদান আছে। ১১ জুলাই পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মিম আপুর সাহসী নেতৃত্বে কুবি শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবস্থান নেয়। আমিনুর বিশ্বাসক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে আমাদের লজ্জা করে।'

বিজ্ঞাপন

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার বলেন, 'আমিনুর বিশ্বাসের এই ধরনের কর্মকাণ্ড এই প্রথম নয়। আমি সহ আমার মেয়ে সহপাঠীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন। আমরা চাই প্রশাসন যাতে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। আর যাতে কোনো মেয়ে শিক্ষার্থী তার হেনস্তার শিকার না হয়।'

ঘটনার সূত্রপাত, গত ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার পর শিক্ষার্থীরা দল দলে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দিতে থাকে। সেসময় ফাতেমাতুজ-জহুরা মিমও আন্দোলনে যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের সাহসিকতার খবর ছড়িয়ে পড়লে আমিনুর বিশ্বাস মেয়েদেরকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। পরে ফাতেমাতুজ জহুরা মিমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। এরই প্রতিবাদে নৃবিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধন করেন।