প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আন্দোলনরত শিক্ষকগণ
'প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এর ডাকে আন্দোলন করছেন দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাবি সহ ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকগণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে শিক্ষকদের নিয়মিত কর্মবিরতি চলাকালীন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমাদের দাবি বর্তমানে যে সুবিধাগুলো আমরা পাই ভবিষ্যতেও এসব সুবিধা যেন পাই পাশাপাশি সুপার গ্রেড এবং আলাদা পে স্কেল দাবিও আছে। যেহেতু আজ ১৫ তারিখ আমার জন্মদিন, আমার মনে আছে ২০০৭ সালে এ দিনের পরেরদিন ১৬ জুলাই তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেনে হিঁছড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নেমে এসেছিল। সেদিন আমরা একটি সাধারণ সভা করেছিলাম। সেই সভায় আমি সকলকে কালো ব্যাচ পড়ার আআহ্বান করেছিলাম এবং সেটি গৃহীত হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে। আমরা সকল সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলাম, আছি, থাকব। আমাদের আন্দোলন আপনার বিরুদ্ধে নয়, অনেকে আপনাকে ভুল বোঝাচ্ছে, ট্যাগ লাগাচ্ছে। এই পেনশন স্কিমটি মানবিকতার জায়গা থেকে, অবহেলিত মানুষের জন্যে, সুবিধা বঞ্চিতদের জন্যে তৈরি করা হয়েছিল। সেটিতে শিক্ষকদের এনে বিতর্কের জায়গা তৈরি হয়েছে। আমাদের সাথে বসুন টেবিল টকে আসুন যুক্তি শুনুন। আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন সরকারি মহলও বলেছেন। পরবর্তীতে একটি প্রেস রিলিজ দেয়া হয়েছে। সেখানে ভুল ভ্রান্তি আছে। যতটুকু অসচ্ছতা আছে তা নিয়েও আলোচনা এগিয়ে নিতে চাই, এ আলোচনাও টেবিলে নিয়ে আসতে পারি, দাবিগুলো কিভাবে আন্তরভুক্ত করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আপনার সাথে বসতে চাই, ঢাবি সহ ৪০ বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বসতে চাই, বসলে আপনি আমাদেরকে দিবেন সে আস্থা আছে।
তিনি আরও বলেন, যে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে সেটির সমাধান আসবে বলে বিশ্বাস করি। এখন দরকার সমন্বয় আপনার নির্দেশনায় যারা আছেন তাদের সাথে একটি সমন্বয়। সমন্বয় হলে সমাধান হবে এই বিশ্বাস আমরা রাখি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষকরা আন্দোলন করে টায়ার্ড হোক। সেটা কেন বলেছেন? ওই যে একটা গ্রুপ, স্বার্থান্বেশী মহল যারা আমলাতন্ত্র পরিচালনা করছেন। তারা এতই শক্তিশালী যে মনে হয় রাজতন্ত্র কায়েম করছেন সরকারের ভেতরে। তারাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। আমাদের সাধারণ সম্পাদক যেমনটি বলেছেন আমরা যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসতে পারি, আমাদের দাবির যৌক্তিকতা দেখাতে পারি তাহলে সমাধান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া অব্দি শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার স্পিরিট দেখে আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা শিক্ষকরা কখনো আত্মসম্মানের ব্যাপারে আপোষ করবো না।