জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ শিক্ষার্থী

  • জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ও সরকারি কবি নজরুল কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে রায় সাহেব বাজার অতিক্রম করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ গুলি বর্ষণ করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়া ৪ জন হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যচের মার্কেটিং বিভাগের এর শিক্ষার্থী অনিক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ ব্যাচের নাসিম ও কবি নজরুল কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিব। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছুরিকাঘাতে তায়াফ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।

গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ বলেন, চারজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ও ১ জনকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় পেয়েছি। গুলিবিদ্ধ চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর ছুরিকাঘাতের একজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কোতয়ালী জোনের এএসপি নজরুল বলেন, গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা এক গ্রুপকেই মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।

এরআগে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে স্ট্যাম্প, লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা- 'আন্দোলনে হামলা কেনো? প্রশাসন জবাব চাই', 'কোটা না মেধা, মেধা, মেধা', 'দালালী না রাজপথ, রাজপথ, রাজপথসহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উদ্দেশ্যে দুপুট ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসে করে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। তবে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ায় পুরান ঢাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের সামনে শোডাউন দিতে দেখা যায়।