রাবিতে হল বন্ধের নির্দেশনা: তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, ছবি: বার্তা২৪.কম

তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, ছবি: বার্তা২৪.কম

তিন দফা দাবি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন মেয়েদের হল প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য বাসভবনের সামনে আবস্থান নেন তারা।

এসময় আন্দোলনকারীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ক্যাম্পাস কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দালালি নাকি ছাত্র, ছাত্র ছাত্র’, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’,‘ যুগে যুগে জিতল কারা, ছাত্র ছাত্র’ সহ বেশকিছু স্লোগান দিতে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন দেখা যায়, স্লোগান দিতে দিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল প্রশাসনিক ভানের সামনে অবস্থান করেন। এসময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, জনসংযোগ প্রশাসকসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়ে দুপুর ২টার মধ্যে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য আহ্বান করেন।

তাদের দাবি তিনটি হলো- গতকালের ঘোষিত ছুটি বাতিল করতে হবে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি হল সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতিমুক্ত থাকতে হবে এবং প্রতিটি হলের প্রতিটি কক্ষ সার্চ করে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘ইউজিসির পা চাটা গোলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা কেন ইউজিসির কথা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করল? আমরা এই ঘোষণা মানি না। ইউজিসিকে মানতে আমরা বাধ্য নই। এই ছুটি বাতিল করতে হবে। ছাত্রলীগের হলে হলে পিস্তল, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র আছে। সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে৷ আমাদের দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে উঠব না।’

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের যেন কোন আঘাত না আসে আমরা সব সময় সতর্ক ছিলাম। বিশেষ করে যখন তারা বাহিরে আন্দোলন করতে যায়। তবে যে অস্ত্রের বিষয়টা আসলো, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা কখনোই চাইনা। বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী আরেকটি শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারাবে সেটাও আমরা চাই না। গতকাল তোমাদের যদি কেউ মারতে আসতো তাহলে আমরা ঢাল হয়ে থাকতাম। আমরা প্রায় শতাধিক শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা ছিলাম।’