বেরোবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেরোবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক

বেরোবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে পদত্যাগ করা শুরু করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকে তাদের এই পদত্যাগ শুরু হয়। মধ্য রাতেও চলে তাদের এই পদত্যাগ।

বিজ্ঞাপন

সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া স্কিনশটগুলোতে দেখা যায়, প্রায় কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে দুইটি গ্রুপ থেকে লিভ নিতে দেখা যায়। আবার অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেন।

বেরোবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আরিফ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, আজকের ঘটনা আমার আদর্শ বহির্ভূত, তাই আমি সকল ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।

বিজ্ঞাপন

সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বি লেখেন, ‘আমি এক কুলাঙ্গার, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’

পিয়াস লেখেন, ‘আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

সহ-সম্পাদক মো. আল আমিন মিয়া লেখেন, ‘আমি মো. আল আমিন মিয়া। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক পদে আছি। আমি আমার বিবেকের কাছে লজ্জিত হয়ে আমার ছাত্রলীগের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। এখন থেকে ক্যাম্পাসের কোনো রাজনীতির সাথে আমি আর যুক্ত নই।’

সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে একজন ছাত্রলীগ কর্মী লিখেন, একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এইটা কখনোই মানতে পারব না। সবার চোখে সামনে আমাদের ছোট ভাইয়ের বুকে গুলি করলো, সে মারাও গেল, অথচ আমরা চুপ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে আবু সাঈদ নিহত হন। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।