উপাচার্য ছাড়া অভিভাবকহীন রাবি

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

উপাচার্য ছাড়া অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা থাকলেও রাবিতে শুরু হয়নি ক্লাস।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পদত্যাগ করেছেন বর্তমান প্রশাসনের ৭৬ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা।

বিজ্ঞাপন

তবে রোববার (১৮ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের একটি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মোহা. জামিরুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে একটি ব্যাচের শুভেচ্ছা ক্লাস নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে জুলাইয়ের শুরু থেকে ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একের পর এক কর্মসূচির ফলে বন্ধ ছিল ক্লাস-পরীক্ষা। প্রায় দেড় মাস এমন অচল অবস্থা থাকায় সেশনজটের আশঙ্কা বাড়ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস শুরু না হলেও প্রতিনিয়ত হলে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। হল সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের মধ্যে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিবন্ধন খাতা অনুযায়ী রোকেয়া হলে ১৩৩ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ৬৫ জন, রহমতুন্নেসা হলে ১৫০ জন, খালেদা জিয়া হলে ১৫৫ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ১২০ জন, মন্নুজান হলে ১৪০ জন, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ২০০ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ১৬০ জন, মাদার বখ্শ হলে ১২৫ জন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৭০ জন, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ১৬০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৯৯ জন, শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে ১৩২ জন, মতিহার হলে ১৭১ জন, শাহ্ মখদুম হলে ১০৫ জন, সৈয়দ আমীর আলী হলে ১১৩ জন এবং নবাব আব্দুল লতিফ হলে ৯২ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন।

ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে উপাচার্যকে মার্ক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য নেই এবং ভারপ্রাপ্ত কাউকে দায়িত্বও দেয়া হয়নি। তাই শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাচার্য না থাকায় এ মুহূর্তে সিন্ডিকেট সভাও সম্ভব নয়।’