ইবির অভ্যন্তরীণ আন্দোলনে বহিরাগতদের ভীড়
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ করার পরপরই একদিকে যেমন অভিভাবক শূন্যতায় ভুগছে, অপরদিকে কে হবে আগামীর অভিভাবক এমন প্রশ্নেও এক জলঘোলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভেতরে।
তবে এসবের ভিড়ে দু’দফা আন্দোলন করে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষককেই ক্যাম্পাসের উপাচার্য হিসেবে দেখতে চেয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী৷ এই আন্দোলনে ইবির অভ্যন্তরীন ইস্যুতে দেখা যায় কিছু অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল পড়ুয়া ও বহিরাগতদের। এমন অভিযোগ এসেছে। এ যেনো অভ্যন্তরীণ আন্দোলনে বহিরাগতদের হিড়িক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোটা পুনর্বহাল চলবেনা (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) নামের গ্রুপে রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে একাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে এমন পোস্ট করেন পোস্টদাতা এনামুল হোসাইন।
ঐ পোস্টটিতে এনামুল বলেন, ‘বহিরাগত কোনো স্কুল শিক্ষার্থীরা যদি ইবির ভিসি নিয়ে কথা বলতে আসে এর থেকে লজ্জার কিছু নেই। নিউজে দেখেছি ইবির স্থানীয় বিতর্কিত ভিসি প্রার্থীরা ছাত্রদলের মদদে এসব করাচ্ছে। অত্যন্ত লজ্জার বিষয়!’
পোস্টের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তাজমিন খান নামের একজন কমেন্ট করে বলেন, এমন স্বাধীনতাই কি চেয়েছিলাম? শেখপাড়ার মানুষ এসে আমাদের ভিসি চয়েজ করে দিচ্ছে।
মোঃ এনামুল হক পুলক নামের অন্য আরেকজন লিখেন, আপনারা কি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্যারকে ভিসি হওয়ার যোগ্য মনে করেন না? বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু আমাদের ভিসি ও হবে আমাদের স্যার এটায় হওয়া উচিত। তাহলে এত জট থাকবে না। নিজের ব্যাথা অন্যকে দিয়ে খোঁজার চেয়ে নিজে খোঁজ করা অনেক ভালো এবং কার্যকরি।
এবিষয়ে পোস্টদাতা এনামুল হোসাইনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভিসি ক্যাম্পাস থেকে হবে এমন আন্দোলন হতেই পারে। যে দল ইচ্ছে করতে পারে। কিন্তু প্রথমত যে স্যারের নাম এসেছে, উনি বিতর্কিত এবং আন্দোলনে যারা এসেছে অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়া।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সার্বজনীন আন্দোলনে যে কেউ অংশ নিতে পারে। কিন্তু ভিসি নির্ধারণ আন্দোলনে যদি স্কুল শিক্ষার্থীরা আসে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মান আর থাকলো কোথায়!