বাকৃবিতে প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষার্থীদের আবেদন

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থানের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাকৃবির প্রক্টর মো. আব্দুল আলীম।

বিজ্ঞাপন

আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা বলেন, এতদিন ছাত্রলীগের নির্যাতনের কারণে বৈধ ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আমরা হলে অবস্থান করতে পারি নি। বর্তমানে স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পরেও ছাত্রলীগের দোসররা ও অছাত্ররা বিভিন্নভাবে হলে অবস্থান করছে এবং আমাদের হলে উঠতে দিচ্ছে না।

এসময় স্নাতকোত্তর পাশ করা মাহফুজ মবিন, পোলেন এবং অনিকের নাম উল্লেখ করে তারা বলেন, হলকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে তারা ষড়যন্ত্র করছে।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী ফাহিম-উল-ইসলামের নামে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ফাহিম জুনিয়র লেভেলের শিক্ষার্থীদের ইন্ধন ও নেতৃত্ব দিয়ে হল প্রভোস্ট নিয়োগের আগে পূর্বের ছাত্রলীগের ৮ থেকে ১০ টি রুমের তালা ভেঙে অস্ত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরিয়ে নেয়।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, "গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় হল থেকে আমাদের বের করে দিয়ে পুনরায় সীট বানিজ্য করার পায়তারা করছে তারা।"

এছাড়া সম্প্রতি বাকৃবির পিএইচডি শিক্ষার্থীর রুমে গত ২৯ আগস্ট দিবাগত রাত দুইটার দিকে সম্রাট আল হাসানের এর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন ছেলে রুম ছেড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে বলেও জানান তারা।

ছাত্রলীগের হলে অবস্থান করা প্রসঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্রলীগের প্রেতাত্মা যদি হলে থাকে তবে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা হুমকির মুখে পড়বে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলে তারা নিজেদের ফায়দা হাসিলে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।

এপর্যায়ে তারা বাকৃবি প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক উল্লেখ করে বলেন, আপনাদের প্রতি আবেদন আপনারা অনতিবিলম্বে শাহজালাল হল থেকে ছাত্রলীগকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের হল ছাড়া করুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি অতিসত্বর কোনো সুষ্ঠু পদক্ষেপ না নেয় তাহলে বৈধ ছাত্র হিসেবে আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।

এ ব্যাপারে বাকৃবির প্রক্টর মো. আব্দুল আলীম বলেন, ছাত্রদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।